NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 3 হৃদযন্ত্রের যত কথা Solution

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 3 হৃদযন্ত্রের যত কথা Solution

Bangladesh Board Class 9-10 Science Solution Chapter 3 হৃদযন্ত্রের যত কথা Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের তৃতীয় অধ্যায় হৃদযন্ত্রের যত কথা অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 9-10 Chapter 3 হৃদযন্ত্রের যত কথা : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 9-10
Subject Science
Chapter 3
Chapter Name হৃদযন্ত্রের যত কথা

হৃদযন্ত্রের যত কথা অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 3 হৃদযন্ত্রের যত কথা Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : 

(১) রক্ত জমাট বাঁধানো কোনটির কাজ?

(ক) লোহিত কণিকা

(খ) অণুচক্রিকা

(গ) শ্বেত কণিকা

(ঘ) লসিকা কোষ

উত্তর : 

(খ) অণুচক্রিকা

(২) অক্সিজেনযুক্ত রঙ সরবরাহ করে-

(ক) ধমনি ও পালমোনারি ধমনি

(খ) শিরা ও পালমোনারি শিরা

(গ) ধমনি ও পালমোনারি শিরা

(ঘ) শিরা ও ধমনি

উত্তর : 

(খ) শিরা ও পালমোনারি শিরা

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : 

অভিষেক ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ যাওয়ার পথে পাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে তার বন্ধুর মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয়। ফলে রত্নের প্রয়োজন। বন্ধুর রস্ত পরীক্ষা ছাড়াই অভিষেক বলল, আমি রুস্তু দিতে পারব।

(৩) অভিষেকের রক্তের গ্রুপ কী ছিল?

(ক) A

(খ) B

(গ) AB

(ঘ) O

উত্তর : 

(ঘ) O

(৪) রক্তরসে কোন গ্যাসীয় পদার্থ নেই?

(ক) O2

(খ) CO2

(গ) Cl2

(খ) N2

উত্তর : 

(গ) Cl2

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) রাফিন ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তার আব্বা সুঠাম দেহের অধিকারী। রাফিন লক্ষ করছে, তার আব্বার দেহে ক্ষত সৃষ্টি হলে শুকাতে দেরি হচ্ছে, চামড়া শুকিয়ে যাচ্ছে, সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এসব কারণে রাফিনের আব্বা ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সুস্থ থাকার জন্য কিছু নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলার উপদেশ দিলেন।

(ক) চাপ কাকে বলে?

উত্তর : শরীরে হৃদপিন্ডের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে রক্ত হৃদপিন্ড থেকে ধমনীর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় ধমনীপ্রাচীরে যে পার্শ্ব চাপের সৃষ্টি হয় তাই রক্তচাপ নামে পরিচিত। তাই সহজ ভাষায় বললে ধমনীর রক্তচাপকেই রক্তচাপ বলে। মানব দেহের রক্তচাপ রক্তের পরিমান ও  রক্তের ঘনত্বের উপর নির্ভর করে থাকে। মানব দেহের স্বাভাবিক রক্ত চাপের সাথে সাথে উচ্ছ রক্তচাপ এবং নিম্নরক্ত চাপ পরিলক্ষিত হয়।

(খ) সিস্টোলিক রক্তচাপ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : মানবদেহের নিলয়ের সিস্টোল অবস্থায় ধমনীতে যে চাপ সৃষ্টি হয় তাকে সিস্টেলিক রক্তচাপ বলে। একজন সুস্থ ও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক সিস্টেলিক রক্তচাপ থাকে পারদ স্তরের ১১০ থেকে ১৪০ মিলিমিটার (mm Hg) পর্যন্ত।

(গ) রাফিনের আব্বা কী রোগে আক্রান্ত হয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর :  রাফিনের বাবা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ একজন সুস্থ মানুষের শরীরে ডায়াবেটিস হলেই একমাত্র আলোচ্য লক্ষণ গুলি  পরিলক্ষতি হয়ে থাকে অর্থাৎ শরীরের কোথাও ক্ষতের সৃষ্টি হলে, দেরিতে শুকানো, সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্তি ও দুর্বলতা বোধ করা ও চামড়া শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। আমরা যখন কোনো খাবার গ্রহণ করি তখন সেই খাবার গ্লুকোজে পরিণত হয়। প্যানক্রিয়া থেকে ইনসুলিন নামক একধরণের বিশেষ উপাদান নির্গত হয় যা গ্লুকোজকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। কিন্তু কোনো কারণে শরীরে প্যানক্রিয়া থেকে এই ইনসুলিনের ক্ষরণ বন্ধ হয়ে গেলে মানব দেহে গ্লুকোজের পরিমান বেড়ে যায় এবং এর ফলস্বরূপ ডায়াবেটিস রোগ সৃষ্টি হয়। গ্লুকোজের পরিমান বৃদ্ধি হওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন স্বাভাবিক কাজ বাধা প্রাপ্ত হয়। ডায়াবেটিস রোগীর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

(ঘ) ডাক্তার সাহেব রাফিনের আব্বাকে সুস্থ থাকার জন্য কী উপদেশ দেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ডাক্তার রাফিনের বাবাকে সুস্থ থাকার জন্য খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন এবং দৈনিন্দন জবনে  ব্যায়াম ও পরিশ্রম করার উপদেশ দিয়েছেন। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের সকলকে এই নিয়মগুলি মেনে চলতে হয়। খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মধ্যে দিয়ে রোগীর দেহে শর্করা জাতীয় খাবার প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। রোগীকে শুধু প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।  রোগীরদেহে যাতে কোনো ভাবে শর্করা বা অধিক শ্বেতসার যুক্ত খাবার না যায় সেই দিকে লক্ষ রাখতে হবে। নিয়মিত ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ সেবন করতে হবে। যাতে দেহের গ্লুকোজের পরিমান নিয়ন্ত্রিত থাকে। দৈনিন্দন জীবনে ব্যায়াম ও পরিশ্রম যুক্ত কাজ করা আবশ্যক। কারণ পরিশ্রমের কাজ করতে বা বয়াম করতে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয় আর আমাদের দেহে গ্লুকোজ থেকেই শক্তি উৎপন্ন হয়। তাই পরিশ্রমের কাজ করলে আমাদের দেহের গ্লুকোজের পরিমাণও কমতে থাকে ফলে ডায়াবেটিস রোগ নিরাময় হয়।

(২) নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

(ক) রন্তু কাকে বলে?

উত্তর :  প্রাণীদেহের মধ্যে উপস্থিত লাল বর্ণের অস্বচ্ছ, অন্তঃকোষীয় লবনাক্ত এবং ক্ষারধর্মী যোজক টিস্যুকে রক্ত বলা হয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের শরীরে প্রায়  ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকতে  পারে। রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিন নামক এক ধরণের লোহিত কণিকা থাকে যার জন্য রক্তের রং লাল হয়। লোহিত কণিকা  ছাড়াও রক্তের মধ্যে শ্বেতরক্ত কণিকা, অনুচক্রিকা, রক্তরস, প্লাজমা ইত্যাদি উপস্থিত থাকে।

(খ) কৈশিক জালিকা বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : এন্ডোথেলিয়ামের সূক্ষ্ম  রক্তবাহিকা শাখা ধমনী ও শিরার সংযোগস্থলে জালিকার ন্যায় কাজ করে রক্ত ও কলারসের মধ্যে ব্যাপন  ক্রিয়ার খাদ্যসার, শ্বসন, বায়ু রেচ দ্রব্য ইত্যাদি আদান প্রদান করতে সাহার্য্য করে। এই জালিকাকেই কৌশিক জালিকা বলে।

(গ) মানবদেহে চিত্রের B চিহ্নিত কোষের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রের কোষটি একটি শ্বেতরক্ত কণিকা যা ইওসিনোফিল বলে। ইওসিনোফিল দেহের  প্রতিরক্ষার কাজে অংশ গ্রহণ করে। আমাদের দেহে কোনো রকম অণুজীব, ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কিছু প্রবেশ করলে  ইওসিনোফিলস আমাদের দেহকে রক্ষা করার কাজে  নিযুক্ত হয়ে যায়।

(ঘ) চিত্রের A C একই যোজক কলায় অবস্থিত হলেও এদের কাজ ভিন্ন”— উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রের A অর্থাৎ হিমোগ্লোবিন বা লোহিত রক্তকণিকা এবং C হলো অনুচক্রিকা। এই দুটো  কণাই দেহের রক্তের মধ্যে উপস্থিত থাকে। কিন্তু এই উভয় কনিকারই কাজ ভিন্ন। নিম্নে লোহিত  রক্ত কণিকা এবং অণুচক্রিকার কাজ আলোচনা করা হলো।

(১) লোহিত রক্তকণিকার কাজ  : 

(ক) লোহিত রক্তকণিকা দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পৌঁছতে সাহার্য্য করে।

(খ) লোহিত রক্তকণিকা দেহের থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড নিষ্কাশনের জন্য কার্বনডাই অক্সাইডককে টিস্যু থেকে ফুসফুসে বহন করে।

(গ) রক্তে অম্ল ও খড়ের সমতা বজায় রাখার জন্য হিমগ্লোবিন বাফার হিসেবে কাজ করে।

(২) অনুচক্রিকার কাজ  : 

অনুচক্রিকার  প্রধান কাজ হলো রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহার্য্য করা। আমাদের শরীরের কোনো অংশে কেটে গেলে সেখান থেকে রক্ত বের হতে থাকে। এই বের হতে থাকা রক্তকে বের হওয়া থেকে আটকানোর জন্য অনুচক্রিকা সক্রিয় হয়ে উঠে। মানব দেহের রক্তকে জমাট বাধানোই অণুচক্রিকার প্রধান কাজ।

 

More Solutions : 

Updated: October 31, 2023 — 8:10 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *