NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 14 জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান Solution

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 14 জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান Solution

Bangladesh Board Class 9-10 Science Solution Chapter 14 জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB)কর্তৃক প্রকাশিত নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের চতুর্দশ অধ্যায় জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 9-10 Chapter 14 জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 9-10
Subject Science
Chapter 14
Chapter Name জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান

জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 14 জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) ক্যান্সারের চিকিৎসার কোনটি ব্যবহার করা হয়?

(ক) এমআরআই

(গ) এনজিওগ্রাফি

(খ) কেমোথেরাপি

(ঘ) আলট্রাসনোগ্রাফি

উত্তর :

(খ) কেমোথেরাপি

(২) এন্ডোস্কোপিতে প্রয়োগ করা হয়

(i) আলোর প্রতিসরণ

(ii) বৈদ্যুতিক তরঙ্গের নিঃসরণ

(iii) আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) ii

(খ) iii

(গ) i iii

(ঘ) ii iii

উত্তর :

(গ) i ও iii

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

রফিক সাহেব বুকে ব্যথা অনুভব করলে তিনি একটি পরীক্ষা করালেন। এই পরীক্ষা করার সময় রফিক সাহেবের রক্তনালিকা দিয়ে এক ধরনের বিশেষ তরল পদার্থ প্রবেশ করানো হয়।

(৩) রফিক সাহেব কোন পরীক্ষাটি করালেন?

(ক) এন্ডোস্কোপি

(খ) এনজিওগ্রাফি

(গ) কেমোথেরাপি

(ঘ) রেডিওথেরাপি

উত্তর :

(খ) এনজিওগ্রাফি

(৪) রফিক সাহেবের রক্ত নালিকায় প্রবেশ করানো পদার্থটি কী?

(ক) ডাইনামক ভরল

(গ) মলিবডেনাম

(খ) তরল অক্সিজেন

(খ) টাংস্টেন

উত্তর :

(ক) ‘ডাই’ নামক ভরল

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) রহমান সাহেব দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছেন। এ সমস্যার অন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার তাকে এন্ডোস্কোপি করতে বললেন। অন্যদিকে রহমান সাহেবের ছেলে সুমন হঠাৎ সিঁড়িতে পড়ে গিরে হাতে আধাত পার এবং হাত ভেঙে যার। পরবর্তীসময়ে ভাণ্ডারের কাছে গেলে ভাঙার এক্স-রে করার পরামর্শ দেন।

(ক) MRI-এর পূর্ণরূপ লিখ।

উত্তর : MRI-এর পূর্ণ রূপ হলো ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং (Magnetic Resonance Imaging) চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি বিশেষ যন্ত্র  মানুষের শরীরের জলের হাইড্রোজেন এবং হাইড্রোজেন  নিউক্লিয়াসের প্রোটন গুলোকে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র প্রয়োগ করে চৌম্বকক্ষেত্রের দিকে সারিবদ্ধ করে এবং এরপর নির্দিষ্ট একটি কম্পনের মাধ্যমে  ওই প্রোটোনগুলোতে তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ প্রেরণ করলে প্রোটন গুলি শক্তি সংগ্রহ করে এবং দিক পরিবর্তন করে। তখন এই প্রোটন গুলো থেকে ফিরে আসা সংকেতকে কম্পিউটার দ্বারা বিশ্লেষণ করে শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অঙ্গের প্রতিবিম্ব তৈরী করা যায়। এই ভাবে  MRI স্ক্যান করে কোনো রোগীর দেহের ভেতরের বিভিন্ন অংশের সম্পর্কে অনেক বেশি স্পষ্ট ভাবে জানা যায়।

 (খ) রেডিওথেরাপি বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : রেডিওথেরাপি অর্থাৎ Radiation Therapy এই যন্ত্রটির সাহার্য্যে চিকিৎসক কোনো রোগীর ক্ষতিকারক কোষকে সরাসরি ধ্বংস করতে পারে। রেডিওথেরাপির কাজ হলো উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এক্সরে রশ্মি ব্যবহার করে দেহের ভেতরের কোষকে ধ্বংস করা এবং পুনরায় বিয়োজিত হওয়ার থেকে আটকানো। অর্থাৎ রেডিওথেরাপি দেওয়ার জন্য যে বিশেষ যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয় তা একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এক্সরে মেশিন। সাধারণত এই উচ্ছ ক্ষমতা সম্পন্ন এক্সরে তৈরি করার জন্য লিনিয়ার এক্সলেটর নামক আরেকটি মেশিন ব্যবহার করা হয়। এই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এক্সরে বিম সরাসরি ক্ষতিকারক কোষকেই ধ্বংস করে। ক্যান্সার রোগের ক্ষতিকারক সেল বা কোষকে ধ্বংস করা এবং পুনরায় বিয়োজিত হওয়ার থেকে আটকানোর জন্য রেডিও থেরাপি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কোনো টিউমারকে অপারেশন করার আগে ছোট করতে ও টিউমার অপারেশন করার পর টিউমারের অবশিষ্ট অংশকে সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস করার জন্যও রেডিওথেরাপি ব্যবহার করা হয়।

(গ) ডাক্তার সুমনকে এক্স-রে করার পরামর্শ দিলেন কেন?

উত্তর : উদ্দীপকের সুমন সিঁড়ি থেকে পরে গিয়ে তার হাতে আঘাত পায় ফলে তার হাত ভেঙে যায়। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুমনকে এক্সরে করতে বলেন। কারণ ভেঙে যাওয়া হাতকে উপর থেকে দেখে বোঝা সম্ভব নয় হাতের কোথায় কি ধরণের ক্ষতি হয়েছে বা কোথায় কোথায় হাড় ভেঙেছে। এক্সরে মেশিন থেকে নির্গত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ যা আমাদের ত্বক ও  মাংসপেশি ভেদ করে হাড়ের সঠিক প্রতিবিম্ব তৈরী করতে পারে। এই কারণে কোনো কারণে আমাদের দেহের কোনো হাড়  ভেঙে গেলে এই মেশিনের মাধ্যমে ডাক্তার ভাঙা হারের একটি সঠিক ছবি দেখতে পান এবং সেই হিসাবে সঠিক চিকিৎসা করতে পারেন। এই কারণের জন্য ডাক্তার সুমনকে তার ভেঙে যাওয়া হাতের এক্সরে করতে বলেছিলেন।

(ঘ) রহমান সাহেবের রোগ নির্ণয়ে এন্ডোস্কোপি কতুটুকু কার্যকর? মতামত দাও।

উত্তর : এন্ডোস্কোপি এমন একটি যন্ত্র যা দেহের ভেতরের কোন অঙ্গ বা ফাঁকা গহ্বরকে বাইরে থেকে দেখা যায়। এন্ডোস্কোপি যন্ত্র হলো অপটিক্যাল ফাইবারের তৈরী একটি ফাঁপা তারের মতো যন্ত্র। এই যন্ত্রটিতে দুটি ফাঁপা নল থাকে। এই তারটিকে রোগীর গলা দিয়ে দেহের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। দেহের ভেতরে প্রবেশ করানোর পর এই অপটিক্যাল তারের বাইরের অংশের একটি নল দিয়ে তীব্র আলো প্রবেশ করানো হয় যাতে দ্বিতীয় নলের মাধ্যমে দেহের ভেতরের দৃশ্য স্পষ্ট ভাবে দেখা সম্ভব হয়। এই যত্রটি আলোকরশ্মির পূর্ণঅভন্তরীন প্রতিফলনের উপর নির্ভর করে কাজ করে। এই কারণে এন্ডোস্কপির অপটিক্যাল ফাইবারটি আঁকাবাঁকা হলেও স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। এই কারণে ডাক্তার এন্ডোস্কোপি ব্যবহার করে রহমান সাহেবের পেট ব্যথার সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে পারবেন। বর্তমানে এন্ডোস্কপি অনেক উন্নত হয়েছে এবং অপ্টিক্যাল ফাইবারের পরিবর্তে ছোট ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে যা দেহের ভেতরের আরো বেশি সঠিক ও স্পষ্ট ছবি দেখতে সক্ষম হয়েছে। তাই নিশ্চিত ভাবে এই যন্ত্র ব্যবহার করে ডাক্তার রহমান সাহেবের পেটের রোগ নিরাময় করতে সক্ষম হবেন।

(২) রশিদ সাহেব অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন। হঠাৎ গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়লে তিনি মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। সহকর্মীরা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে সিটি স্ক্যান করতে বলেন। কিছুদিন পর রশিদ সাহেবের ভাই বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলেন। পরবর্তীসময়ে ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি ECG করার পরামর্শ দিলেন।

(ক) এনজিওগ্রাফি কী?

উত্তর : এক্সরের মাধ্যমে শরীরের রক্তনালীগুলোকে দেখার জন্য এ বিশেষ পক্রিয়ার সাহার্য্য নেওয়া হয় তাকে এনজিওগ্রাফি বলে। এক্সরে শরীরের রক্তনালিকে পরীক্ষা করতে সক্ষম নয় এই কারণে দেহের যে স্থানের রক্তনালীগুলোকে পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয় সেখানে এক ধরণের ডাই বা রঙিন তরলের ব্যবহার করা হয় একে ক্যাথিটার বলে। এই বিশেষ ডাই থাকার কারণে এক্সরেতে রক্তনালী গুলো স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। এই ডাই বা ক্যাথিটার শরীরের জন্য সে রকম হানিকারক নয় কারণ এক্সরের কাজ সম্পন্ন হলে এই ডাইকে কিডনির সাহার্য্যে ফিল্টার করে মূত্রের মাধ্যমে দেহ থেকে বের করা যায়। বিশেষ তরল বা ডাই ব্যবহার করে এক্সরের মাধ্যমে রক্তনালীর পরীক্ষা করাকে এনজিওগ্রাফি বলে।

(খ) আলট্রাসনোগ্রাফি বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : আল্ট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রে উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে দেহের ভেতরের বিভিন্ন অঙ্গের প্রতিচ্ছবি তৈরী করা হয়। এই যন্ত্রের মধ্যে ট্রান্সডিউসার নামক একটি স্ফটিককে তড়িৎ শক্তি প্রেরণ করে এই উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ উৎপন্ন করা হয়। এই শব্দ দেহের ভেতরের অঙ্গের মধ্যে প্রতিধনিত হয়ে পুনরায় ট্রান্সডিউসারে ফিরে আসে। পরে এই সংকেত গুলোকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তরিত করে ছবিতে পরিণত করা হয়। আল্ট্রাসোনোগ্রাফ কিডনি, যকৃত, পাকস্থলী, খাদ্যনালী ইত্যাদি দেহের গুরুপ্তপূর্ণ অঙ্গগুলিকে পর্যবেক্ষণ করতে সাহার্য্য করে। বর্তমানে আল্ট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রের সাহার্য্যে ২D ছবির সাথে ৩D ছবিও পাওয়া সম্ভব হয়েছে।আল্ট্রাসোনোগ্রফির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয় স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিজ্ঞানে।

(গ) রশিদ সাহেবকে ডাক্তার সিটি স্ক্যান করতে বললেন কেন?

উত্তর : রশিদ সাহেব দুর্ঘনাটির জন্য মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন যা আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুপ্তপূর্ন অঙ্গ। মাথার ভেতরের চোট ভালো করে পরীক্ষা না করলে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। এই কারণে ডাক্তার রশিদ সাহেবকে সিটি স্ক্যান করতে বলেছিলো। সিটি স্ক্যান একটি টিউবের মতো ফাঁকা অংশ যার ভেতরে রোগীকে প্রবেশ করিয়ে তার শরীরের একটি পূর্ণ ত্রিমাত্রিক স্ক্যান করতে সক্ষম হয় এবং বর্তমান সেই অংশে কি হচ্ছে তা মনিটরের মধ্যে দেখা যায়। এই মেশিনটি বৃত্তাকারে ঘুরে শরীরের বিভিন্ন অংশের স্ক্যান করে। এর ফলে রশিদ সাহেবের মাথার একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি পাওয়া সম্ভব হবে। এর ফলে আঘাতের দরুন রশিদ সাহেবের ব্রেনের কোন অংশে রক্ত জমাট বেঁধেছে কিনা বা মাথার খুলির কোনো অভন্তরীন ক্ষতি হয়েছে কিনা তাও জানা সম্ভব হবে।

(ঘ) রশিদ সাহেবের ভাইয়ের চিকিৎসায় ECG-এর ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : রশিদ সাহেবের ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য ECG-এর গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের হৃদপিন্ড কাজ করার সময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরী করে। এই বৈদ্যুতিক সংকেত পেশির মধ্যে ছড়িয়ে পরে এবং এর থেকে হৃদস্পন্দন হয়। ECG করার সময় এই বৈদ্যুতিক সংকেতগুলোকে ধরার জন্য ইলেক্ট্রোড ব্যবহার করা হয়। দেহের নির্দিষ্ট কতগুলো স্থানে এই ইলেক্ট্রোড গুলি লাগাতে হয়। এই প্রত্যেকটি ইলেক্ট্রোড থেকে বৈদ্যুতিক সংকেত সংগ্রহ করে ছাপানো হয় এই প্রক্রিয়াকেইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম বলে। এর রোগীর দেহ থেকে পাওয়া সংকেতের উপরে নির্ভর করে বানানো গ্রাফের সাথে একজন সুস্থ মানুষের গ্রাফের তুলনা করা হয়। এই ভাবে ECG পদ্ধতিতে কোনো রোগীর হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা নির্ণয় করা হয়। এই পক্রিয়ার সাহার্য্যে রশিদ সাহেবের ভাইয়ের বুকের ব্যাথার কারণ সঠিক ভাবে জানা সম্ভব হবে।

 

More Solutions : 

Updated: October 31, 2023 — 8:18 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *