NCTB Class 6 Science Chapter 10 গতি Solution

NCTB Class 6 Science Chapter 10 গতি Solution

Bangladesh Board Class 6 Science Solution Chapter 10 গতি Solution. Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের দশম অধ্যায় গতি অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 6 Chapter 10 গতি : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 6
Subject Science
Chapter Ten
Chapter Name গতি

গতি অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 6 Science Chapter 10 গতি Solution

শূন্যস্থান পুরণ কর :

(১) ঢালু জায়গা দিয়ে কোনো বস্তু পিছলে পড়ার গতিকে ___ বলে।

(২) গড়িয়ে যাওয়া মার্বেলের গতি হলো ___

(৩) সময়ের সাথে ___ হারকে ত্বরণ বলে ।

(8) ___ মান ও দিক উভয়ই আছে।

উত্তর :

(১) ঢালু জায়গা দিয়ে কোনো বস্তু পিছলে পড়ার গতিকে ঘূর্ণন চলন গতি বলে।

(২) গড়িয়ে যাওয়া মার্বেলের গতি হলো ঘূর্ণন চলন গতি।

(৩) সময়ের সাথে গতির বৃদ্ধির হারকে ত্বরণ বলে ।

(8) বেগের মান ও দিক উভয়ই আছে।

নিচের কোনটি কোন ধরণের গতি লেখ।

(১) চলমান বাসের চাকার গতি

(২) দোলনার গতি ।

(৩) সাইকেলের প্যাডেলের গতি।

(৪) নিজ অক্ষের চারদিকে পৃথিবীর গতি ।

(৫) স্কিপিং করার সময় তোমার হাতের গতি ।

(৬) আঁকাবাঁকা রাস্তায় গাড়ির গতি ।

উত্তর :

ঘূর্ণন চলমান গতি :

(১) চলমান বাসের চাকার গতি

(৬) আঁকাবাঁকা রাস্তায় গাড়ির গতি ।

ঘূর্ণন গতি :

(৩) সাইকেলের প্যাডেলের গতি।

(৪) নিজ অক্ষের চারদিকে পৃথিবীর গতি ।

(৫) স্কিপিং করার সময় তোমার হাতের গতি ।

দোলন গতি :

(২) দোলনার গতি

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) সময়ের সাথে সরণের পরিবর্তনের হারকে কী বলে?

(ক) দ্রুতি

(খ) বেগ

(গ) দূরত্ব

(ঘ) ত্বরণ

উত্তর :

(ক) দ্রুতি

(২) ঘড়ির সেকেন্ডের কাটার গতি কোন ধরনের গতি?

(ক) চলন গতি

(খ) ঘূর্ণন গতি

(গ) দোলন গতি

(ঘ) পর্যাবৃত্ত গতি

উত্তর :

(খ) ঘূর্ণন গতি

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

রিমি একটি স্থান থেকে নির্দিষ্ট দিকে সোজাপথে ৮ মিটার গেল। সেখান থেকে একই পথে একই দিকে ৬ মিটার ফিরে এলো ।

(৩) রিমি কত দূরত্ব অতিক্রম করল ?

(ক) ২ মিটার

(খ) ১০ মিটার

(গ) ১৪ মিটার

(ঘ) ৪৮ মিটার

উত্তর :

(ক) ২ মিটার

(৪) রিমির সরণ কত?

(ক) ২ মিটার

(খ) ৬ মিটার

(গ) ৮ মিটার

(ঘ) ১৪ মিটার

উত্তর :

(ক) ২ মিটার

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :

(১) পর্যাবৃত্ত গতি কাকে বলে? দুটি উদাহরণ দাও ।

উত্তর :  একটি বিন্দুকে কেন্দ্র করে তার চারপাশে বৃত্তাকার পথে কোনো কিছু বারবার একই পথে গমন করলে যে গতি সম্পন্ন হয় তাকে পর্যায়ক্রমিক গতি বলে।

উদাহরন এক : একটি ঘড়ির সেকেন্ডের কাটাটি প্রত্যেক এক মিনিট অন্তর অন্তর এর কেন্দ্র চারপাশে বৃত্তাকার পথে ঘুরে আসে এই গতিকেই পর্যায়ক্রমিক গতি বলে।

উদাহরণ দুই : যখন কেউ খেলার মাঠে বা পার্কে একটি নির্দিষ্ট পথে তার চারিদিকে দৌড়োয় তখন পর্যায়ক্রমিক গতি সম্পন্ন হয়।

(২) ঘূর্ণন গতি ও ঘূর্ণন চলন গতির মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর :

ঘূর্ণন গতি :

(১) যখন কোনো বস্তূ একটি নির্দিষ্ট স্থানের কেন্দ্রবিন্দুর চারিদিকে গোলগোল করে চক্রাকারে পরিক্রমণ করে, তার ফলে যে গতি উৎপন্ন হয় তাকে ঘূর্ণন গতি বলে।

(৩) এই গতি একটি নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে তার চারিদিকে সম্পন্ন হয় তাই বস্তূটি একটি  নির্দিষ্ট কক্ষপথেই পরিক্রমণ করে।

(৪) ঘড়ির কাটার গতি, বৈদ্যুতিক পাখার গতি ঘূর্ণন গতির আদর্শ উদাহরণ।

ঘূর্ণন চলন গতি :

(১) যখন কোনো বস্তূ কোনো বিন্দুকে কেন্দ্র করে তার চারিদিকে পরিক্রমণের সাথে সাথ সামনের দিকে অগ্রসর হয় বা পথ অতিক্রম করে তখন সেই গতিকে ঘূর্ণন চলন গতি বলে।

(২) এই গতি একটি নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরতে ঘুরতে অগ্রসর হয় বা পথ অতিক্রম করে।

(৩) এই গতিতে বস্তুটি কেন্দ্রের চারিদিকে পরিক্রমণের সাথে সাথে অগ্রসর হতে থাকে বস্তূটিকে যেকোনো দিকে যেতে পারে। শুধু নির্দিষ্ট কোনো কক্ষপথকে অনুসরণ  করে না।

(৪) সাইকেলের চাকা, ড্রিলমেশিনের গতি ঘূর্ণন চলন গতির উদাহরণ।

(৪) দ্রুতি ও বেগের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর :

দ্রুতি : 

(১) কোনো বস্তূ একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে দ্রুতি (Speed) বলে।

(২) দ্রুতির শুধু মান আছে কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট দিক নেই।

(৩) প্রকৃত পক্ষে একটি বস্তূর বেগের মানকেই দ্রুতই বলে

বেগ : 

(১) কোনো বস্তূর একটি নির্দিষ্ট দিকের দ্রুতিকেই বেগ বলা হয়।

(২) বেগের মান ও নির্দিষ্ট দিক দুটোই আছে।

(৩) কোনো বস্তু যদি একটি নির্দিষ্ট দিকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের দ্রুতিকে সেই বস্তুর বেগ বলে।

(৫) মন্দন ও ত্বরণের মধ্যে পার্থক্য কী ?

উত্তর :

ত্বরণ : 

(১) কোনো বস্তূর একটি নির্দিষ্ট সময়ে তার বেগের বৃদ্ধি হলে তাকে সেই বস্তূটির ত্বরণ বলে।

(২) ত্বরণের ফলে বস্তুর গতি বেগ বৃদ্ধি পায়।

(৩) ত্বরণ যে কোনো বস্তূর গতি বৃদ্ধিপেলেই সম্বব হয়।

মন্দন : 

(১) কোনো গতিমান বস্তূর বেগ একটি নির্দিষ্ট সময়ে যদি হ্রাস পায়, তখন সেই অবস্থাকে সেই গতিমান বস্তূর মন্দন বলে।

(২) এই অবস্থাতে যে কোনো গতিশীল বস্তূর গতি সবসময় হ্রাস পেয়ে থাকে।

(৩) মন্দন কোনো গতিশীল বস্তূর গতি বাধাপ্রাপ্ত হলেই সম্ভব।

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) খুশবু, হৃদিতা ও সদিচ্ছা বাড়ি থেকে স্কুলে রওনা হলো। স্কুলে পৌঁছাতে খুশবুর ১৫ মিনিট, হৃদিতার ২০ মিনিট এবং সদিচ্ছার ৩০ মিনিট সময় লাগল । খুশবুর বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ১৫০০ মিটার, হৃদিতার ১৮০০ মিটার এবং সদিচ্ছার ২১০০ মিটার ।

(ক)  পর্যাবৃত্ত গতি কাকে বলে?

উত্তর : একটি বিন্দুকে কেন্দ্র করে তার চারপাশে বৃত্তাকার পথে কোনো কিছু বারবার একই পথে গমন করলে যে গতি সম্পন্ন হয় তাকে পর্যায়ক্রমিক গতি বলে।

(খ) দেয়াল ঘড়ির দোলকের গতি কী ধরনের গতি? ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর : দেওয়াল ঘড়ির দোলকের গতিকে দোলন গতি বা স্পন্দন গতি বলা হয়। কারণ দেওয়াল ঘড়ির দোলকটি স্থির অবস্থা থেকে তার দুই দিকে গতিমান হচ্ছে এবং পুনরায় আবার আগের স্থির অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। তাই ঘড়ির দোলকের গতিটি একটি দোলন গতি বা স্পন্দন গতি।

(ক) স্থিতি কাকে বলে?

উত্তর : স্থিতি বলতে বোঝায় “সময়ের সাথে পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে কোনো বস্তূ যদি স্থান পরিবর্তন না করে তাহলে বস্তূর সেই অবস্থাকে স্থিতি বলে। যেমন – ঘর-বাড়ি, গাছপালা এগুলি হলো স্থিতিশীল বস্তূর উদাহরণ।

(খ) প্রসঙ্গ কাঠামো বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : যে পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে কোনো বস্তূর স্থিতি বা গতি পরিমাপ করা হয়, সেই পর্যবেক্ষককে প্রসঙ্গ কাঠামো বলা হয়। অর্থ্যাৎ সাধারণ ভাষায় বললে কোনো বস্তূর গতিশীলতা বা স্থিতিশীলতা নির্ণয় করার জন্য যে নির্দিষ্ট একটি বিন্দু বা কেন্দ্রকে ব্যবহার করা হয় তাকেই প্রসঙ্গ কাঠামো বলে। মনে করো পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব নির্ণয় করা হলে পৃথিবী হবে প্রসঙ্গ কাঠামো। কারণ এখানে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব মাপার কথা বলা হয়েছে। তাই পৃথিবীকে কেন্দ্র বিন্দু বলা হয়েছে।

(ঘ) সমত্বরণে চলে কণাটি যদি A বিন্দু থেকে C বিন্দুতে পৌঁছে তাহলে কি সময় বেশি লাগবে না কম লাগবে? উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও ।

উত্তর : সমত্বরণে চলে যদি কণাটি A  বিন্দু থেকে C বিন্দুতে পৌঁছয় তাহলে সময় বেশি লাগবে। কারণ সমত্বরণের জন্য কণাটির বেগ বৃদ্ধি হবে না তাই কণাটির A  বিন্দু থেকে C  বিন্দুতে পৌঁছতে সময় বেশি লাগবে। কিন্তু যদি ত্বরণের পরিমান বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে কণাটির বেগও বৃদ্ধি পাবে। ফলে কণাটির A বিন্দু থেকে C  বিন্দুতে পৌঁছতে সময় কম লাগবে।

 

More Solutions : 

Updated: October 4, 2023 — 2:22 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *