NCTB Class 6 Science Chapter 3 উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন Solution
Bangladesh Board Class 6 Science Solution Chapter 3 উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন Solution. Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের তৃতীয় অধ্যায় উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 6 Chapter 3 উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 6 |
Subject | Science |
Chapter | Three |
Chapter Name | উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন |
অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
শূন্যস্থান পূরণ কর :
(১) ____ কোষে কোষপ্রাচীর থাকে।
(২) প্লাস্টিড ____ কোষের বৈশিষ্ট্য।
(৩) ____ কোষে সাধারণত কোষগহ্বর থাকে না।
(৪) কোষপ্রাচীর ____ পদার্থ দ্বারা তৈরি।
(৫) ____ এর ভিতরে নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন তন্তু থাকে।
উত্তর :
(১) উদ্ভিদ কোষে কোষপ্রাচীর থাকে।
(২) প্লাস্টিড উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য।
(৩) প্রাণী কোষে সাধারণত কোষগহ্বর থাকে না।
(৪) কোষপ্রাচীর জড় পদার্থ দ্বারা তৈরি।
(৫) নিউক্লিয়াস এর ভিতরে নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন তন্তু থাকে।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
(২) প্লাস্টিডের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর :
প্লাসিড কোষের একটি গুরুপ্তপূর্ণ অংশ। কোষের বিভিন্ন কাজে প্লাস্টিডের ভূমিকা অসীম। নিম্নে প্লাস্টিডের বৈশিষ্ট গুলি আলোচনা করা হলো।
প্লাস্টিডের বৈশিষ্ট্য :
কোষের একটি গুরুপ্তপূর্ণ অংশ হলো প্লাস্টিড। প্লাস্টিড কোষের বর্ণ প্রদানকারী অংশ। কোষে প্লাস্টিডের উপস্থিতির উপর প্রাণী বা উদ্ভিদের বিভিন্ন বর্ণ নির্ধারিত হয়। প্লাস্টিডে মধ্যে আবার দুটি ভাগ থাকে। যথা বর্ণহীন প্লাস্টিড এবং বর্ণযুক্ত প্লাস্টিড। বর্ণহীন প্লাস্টিড কোষে খাদ্য সঞ্চয় করে থাকে। আবার উদ্ভিদের কোষে অবস্থিত সবুজ প্লাস্টিড উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে সাহার্য্য করে। জীবজগতের দেখতে পাওয়া বিভিন্ন রং-বেরঙের ফল, ফুল, পাতা সবই কোষের প্লাস্টিডের উপস্থিতির কারণে হয়ে থাকে।
(৩) উদ্ভিদ কোষে পাওয়া যায় কিন্তু প্রাণী কোষে পাওয়া যায় না; আবার প্রাণী কোষে পাওয়া যায় কিন্তু উদ্ভিদ কোষে পাওয়া যায় না এরূপ অঙ্গাণু গুলির নাম উল্লেখ কর।
উত্তর : প্রাণী কোষের এমন অনেক অঙ্গাণু থাকে যা উদ্ভিদ কোষে থাকে না আবার উদ্ভিদ কোষে এমন অনেক অঙ্গাণু থাকে যা প্রাণীকোষে পরিলক্ষিত হয় না। যেমন – উদ্ভিদ কোষের কোষ প্রাচীর, ক্লোরোপ্লাস্ট, এবং বিশেষ ধরণের প্লাসিড দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু এগুলি প্রাণীকোষে উপস্থিত থাকে না। আবার, প্রাণী কোষে সেন্ট্রোসোম এবং লাইসোসোম থাকে কিন্তু কিন্তু উদ্ভিদকোষে এগুলি দেখতে পাওয়া যায় না।
উদ্ভিদ কোষের অঙ্গাণু :
(ক) কোষপ্রাচীর
(খ) ক্লোরোপ্লাস্ট
(গ) বিশেষায়িত প্লাস্টিড
(ঘ) কোষগহ্বর
প্রাণী কোষের অঙ্গাণু :
(ক) সেন্ট্রোসোম
(খ) লাইসোম
(গ) মাইটোকন্ড্রিয়া
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
সঠিক উত্তরটিতে টিক (v) চিহ্ন দাও।
(১) পিয়াজের কোষ উদ্ভিদ কোষ কারণ এতে-
(ক) কোষপ্রাচীর আছে
(খ) প্লাস্টিড নেই
(গ) কোষগহ্বর নেই
(ঘ) মাইটোকন্ড্রিয়া আছে
উত্তর :
(ক) কোষপ্রাচীর আছে
(২) কোন বিজ্ঞানী জীব কোষ আবিষ্কার করেন?
(ক) আইজ্যাক নিউটন
(খ) রবার্ট হুক
(গ) লিউয়েন হুক
(ঘ) ক্যারোলাস লিনিয়াস
উত্তর :
(খ) রবার্ট হুক
(৩) নিউক্লিয়াসের কাজ কী?
(ক) কোষের আকার ও আকৃতি ঠিক রাখা
(গ) কোষের যাবতীয় কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করা
(খ) খাদ্য সঞ্চয়ের ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করা
(ঘ) সাইটোপ্লাজম ধারণ করা
উত্তর :
(গ) কোষের যাবতীয় কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করা
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) দীপ্তি বাবার সাথে ঢাকায় বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে যায়। গার্ডেনে সে বিভিন্ন বর্ণের গাছপালা দেখতে পায়। পরবর্তীতে সে পার্শ্ববর্তী চিড়িয়াখানায় যায়। সেখানে সে বিভিন্ন প্রাণী দেখতে পায়।
(ক) নিউক্লিয়াস কী?
উত্তর :
নিউক্লিয়াস হলো প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে ভাসমান গোলাকার ঘন একটি বস্তূ। একটি কোষের সকল শারীরবৃত্তীয় কাজকে নিয়ন্ত্রণ করে নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াস সাধারণ ভাবে কোষের কেন্দ্রে অবস্থিত থাকে কিন্তু কোনো পরিণত কোষে নিউক্লিয়াসের অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে। কোষের নিউক্লিয়াস বিভিন্ন আকার বা আকৃতির হতে পারে। যেমন – গোলাকার, উপবৃত্তাকার বা নলাকার। এমন অনেক কোষ আছে যেখানে নিউক্লিয়াস উপস্থিত থাকে না। কোষের নিউক্লিয়াসকে প্রধানত চারটি অংশ নিয়ে গঠিত যথা –
(১) নিউক্লিয়ার মেমব্রেন
(২) নিউক্লিওপ্লাজম
(৩) ক্রোমাটিন তন্তু
(৪) নিউক্লিওলাস
(খ) কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র কোনটি? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :
কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রটি মাইটোকন্ড্রিয়া নামে পরিচিত।
কোষে অবস্থিত মাইটোকন্ড্রিয়া নামক অঙ্গাণুটি জীবের শ্বাস প্রক্রিয়ার সাহায্যে কোষে শক্তি উৎপন্ন করে কোষের সমস্ত কাজকে সচল রাখে। মাইটোকন্ড্রিয়া ছাড়া কোনো কোষ তার কার্য পরিচালনা করার জন্য শক্তি উৎপন্ন করতে পারবে না ফলে কোষটি নষ্ট বা ধ্বংস হয়ে যাবে। কোষের এই বিশেষ অঙ্গাণুর অভ্যন্তরে শক্তি উৎপাদনের সকল বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তাই মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দো বলা হয়।
(গ) দীপ্তির পর্যবেক্ষণকৃত উদ্ভিদগুলো বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দীপ্তির পর্যবেক্ষণকৃত উদ্ভিদগুলির বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করার হলো এদের কোষে বর্ণ প্রদানকারী প্লাস্টিডের উপস্থিতি। উদ্ভিদ কোষের এক বিশেষ ধরণের অঙ্গাণু থাকে যা প্লাস্টিড নামে পরিচিত। উদ্ভিদ কোষের প্লাস্টিড গুলি উদ্ভিদের ফুল, ফল, পাতাকে বিভিন্ন বর্ণ প্রদান করে। পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন উদ্ভিদ এই প্লাস্টিডের সাহার্য্যে তার ফুল, ফল, ও পাতাকে বিভিন্ন বর্ণের এবং আকর্ষক করে তোলে। উদ্ভিদ কোষে প্লাসিড দু-প্রকারের হয়ে থাকে। একটি বর্ণ প্রদানকারী প্লাস্টিড যা উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে সাহার্য্য করে। দ্বিতীয় ধরণের প্লাস্টিড যা হয় বর্ণহীন। এটি কোষের খাদ্য সঞ্চয় করে। দীপ্তির পর্বেক্ষনকৃত উদ্ভিদগুলি বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করার মূল কারণ হলো এদের কোষে প্লাস্টিডের উপস্থিতি।
(ঘ) দীপ্তির দেখা জীবগুলোর কোষীয় বৈশিষ্ট্যের তুলনা কর।
উত্তর : দীপ্তি চিড়িয়াখানাতে বেড়াতে গিয়ে সেখানে বিভিন্ন প্রকারের জীবজন্তু ও উদ্ভিদ পরিলক্ষিত করে ছিল। সেই উদ্ভিদ এবং জীবগুলির বিভিন্ন কোষীয় বৈশিষ্ট পরিলক্ষিত হয়। নিম্নে এই কোষীয় বৈশিষ্টগুলি নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করা হলো –
(ক) প্রাণিকোষে কোষপ্রাচীর থাকে না, কিন্তু উদ্ভিদকোষে কোষপ্রাচীর থাকে।
(খ) প্রাণী কোষে নিউক্লিয়াস সাধারণত কোষের কেন্দ্র অবস্থিত থাকে, কিন্তু উদ্ভিদ কোষে নিউক্লিয়াস পক্ষের পরিধির কাছে অবস্থান করে।
(গ) প্রাণী কোষে সেন্ট্রোসোম এবং লাইসোসোম থাকে, কিন্তু উদ্ভিদ কোষে এগুলি উপস্থিত থাকে না।
(ঘ) প্রাণী কোষ এবং উদ্ভিদ কোষ উভয় স্থানে গলজি বস্তূ উপস্থিত থাকে কিন্তু প্রাণিকোষে এর পরিমান বেশি এবং উদ্ভিদ কোষে কম।
(ঙ) প্রাণী কোষে প্লাস্টিডের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় না, কিন্তু উদ্ভিদ কোষে প্লাস্টিডের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়।
(চ) প্রাণী কোষের খাদ্য গ্লাইকোজেন রূপে সঞ্চিত থাকে কিন্তু উদ্ভিদ কোষে খাদ্য স্টার্চ বা শর্করা রূপে সঞ্চিত থাকে।
(ক) কোষ কী?
উত্তর : কোষ হলো সকল জীবজগতের গঠন একক। এক কথায় জীবের গঠন ও কাজের একককে কোষ বলে। জীব জগতের প্রত্যেকটি প্রাণী ও উদ্ভিদের দেহ কোটি কোটি ক্ষুদ্র কোষের সমন্বয়য়ে গঠিত হয়েছে। নিউক্লিয়াসের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে কোষকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। (১) আদি কোষ এবং (২) প্রকৃত কোষ। এই প্রকৃত কোষ আবার দু-ভাগে বিভক্ত যথা (১) দেহ কোষ এবং (২) জনন কোষ। জীবদেহে বিভিন্ন আকার এবং আকৃতির কোষ দেখতে পোয়া যায় যেমন – গোলাকার, ডিম্বাকার, আয়তকার ইত্যাদি। জীবজগতে যেমন বহুকোষী জীব দেখতে পাওয়া যায় তেমনি আবার এক কোষীয় জীবও দেখতে পাওয়া যায়। যেমন অ্যামিবা বা ক্লোরেলা।
(খ) জনন কোষ বলতে কী বুঝায়?
উত্তর :
প্রকৃত কোষের একটি অংশ হলো জনন কোষ। এই কোষের প্রধান কাজ হলো জীবের প্রজনন পক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করা। উদ্ভিদের অভিউলে ডিমবোমাতৃকোষ ও পরাগধানীতে পরাগমাতৃকোষ জনন পক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে। প্রাণীদের ওভারির ডিম্বমাতৃকোষ এবং টেস্টিসের শুক্রমাতৃকোষ জনন কোষের উদাহরণ।
More Solutions :