NCTB Class 6 Science Chapter 8 মিশ্ৰণ Solution

NCTB Class 6 Science Chapter 8 মিশ্ৰণ Solution

Bangladesh Board Class 6 Science Solution Chapter 8 মিশ্ৰণ Solution. Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের অষ্টম অধ্যায় মিশ্ৰণ অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 6 Chapter 8 মিশ্ৰণ : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 6
Subject Science
Chapter Eight 
Chapter Name মিশ্ৰণ

মিশ্ৰণ অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 6 Science Chapter 8 মিশ্ৰণ Solution

শূন্যস্থান পূরণ কর :

(১) পানি ও স্পিরিটের দ্রবণ একটি ____ দ্রবণ।

(২) ____ একটি সার্বজনীন দ্রাবক ।

(৩) দ্রবণে দ্রবের পরিমাণ থাকে আর দ্রাবকের পরিমাণ ____  থাকে ।

(৪) দুধ ও কুয়াশা হলো ____

উত্তর :

(১) পানি ও স্পিরিটের দ্রবণ একটি তরলতরল দ্রবণ।

(২) জল একটি সার্বজনীন দ্রাবক ।

(৩) দ্রবণে দ্রবের পরিমাণ কম থাকে আর দ্রাবকের পরিমাণ বেশি থাকে ।

(৪) দুধ ও কুয়াশা হলো কলয়েড

 বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : 

(১) কোনটি তরল-গ্যাস দ্রবণ?

(ক) লেবুর শরবত

(খ) কোমল পানীয়

(গ) ভিনেগার

(ঘ) স্যালাইন

উত্তর :

(খ) কোমল পানীয়

(২) কোনটি কলয়েড?

(ক) চক ও পানি

(খ) আটা ও পানি

(গ) চর্বি ও পানি

(ঘ) মাটি ও পানি

উত্তর :

(গ) চর্বি ও পানি

উদ্দীপকের আলোকে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

কক্ষ তাপমাত্রায় সোডিয়াম কার্বনেটের দ্রবণীয়তা ২১.৬ ।

(৩) কক্ষ তাপমাত্রায় ২০০ গ্রাম পানি নিয়ে সোডিয়াম কার্বনেটের সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরি করতে কতটুকু সোডিয়াম কার্বনেট লাগবে?

(ক) ২.১৬ গ্রাম

(খ) ৪.৩২ গ্রাম

(গ) ২১.৬ গ্রাম

(ঘ) ৪৩.২ গ্রাম

উত্তর :

(ঘ) ৪৩.২ গ্রাম

(৪) সোডিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ যদি ১০ গ্রাম কম হয় তবে দ্রবণটি-

(ক) সম্পৃক্ত দ্রবণ

(খ) অসম্পৃক্ত দ্রবণ

(গ) সাসপেনসন

(ঘ) কলয়েড

উত্তর :

(গ) সাসপেনসন

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :

(১) দ্রবণ কাকে বলে? দ্রবণ ও মিশ্রণের মূল পার্থক্য কী ?

উত্তর :

যে অবস্থায় দুই বা ততোধিক পদার্থ একে অপরের মধ্যে দ্রবীভূত হয়ে একটি সমস্বত্ত মিশ্রন তৈরী করে এবং যাতে সব পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম বজায় থাকে। সেই মিশ্রণকে দ্রবণ বলে। যেমন – জলের মধ্যে চিনি দ্রবীভূত হলে চিনির শরবত পাওয়া যায়।

দ্রবণ ও মিশ্রনের মূল পার্থক্য :

দ্রবণ  ও মিশ্রনের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো কোনো মিশ্রণ থেকে খুব সহজেই মিশ্রিত পদার্থ গুলোকে আলাদা করা সম্ভব হয়। কিন্তু কোনো দ্রবণ থেকে সেই দ্রবনের মিশ্রিত পদার্থ গুলোকে আলাদা করা খুবই কঠিন। কেননা যে কোনো দ্রবণে মিশ্রিত পদার্থ গুলি একে অপরের মধ্যে দ্রবীভূত হয়ে যায়।

(২) দ্রবণীয়তা বলতে কী বুঝায় ?

উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ১০০ গ্রাম দ্রাব দিয়ে একটি কোনো দ্রবের সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরী করতে হলে যে পরিমান দ্রব্যের প্রয়োজন হয় তাকে ওই দ্রাবকে ওই দ্রবের দ্রবণীয়তা বলে।

(৩) তরল-গ্যাস দ্রবণ বলতে কী বুঝ? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : যে সকল দ্রবণের দ্রাবক কোনো তরল পদার্থ হয় এবং দ্রবনের দ্রাবটি একটি গ্যাসীয় পদার্থ হয় সেই সব দ্রবণকে তরল-গ্যাস দ্রবণ বলে। যেমন – আমরা যখন কোনো কার্বোনেটেড কোল্ডড্রিঙ্ক। যখন এই সমস্ত কোল্ড্রিংঙ্কের বোতলের মুখো খোলা হয় তখন বোতলের অনেকটা পানীয় বুদ্বুদের আকারে বাইরে বেরিয়ে আসে এই হয় কেননা এখানে পানীয়ের মধ্যে কার্বনডাই-অক্সাইড গ্যাস মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। এই সব বোতলের ওপরের দিকটা কিছুটা ফাঁকা রাখা হয় যাতে অতিরিক্ গ্যাস সেখানে জমা হতে পারে।

(৪) সাসপেনসন কাকে বলে?

উত্তর : কোন দ্রবণে মিশ্রিত পদার্থগুলি সম্পূর্ণ ভাবে দ্রবীভূত হয় না তাই দ্রবণটিকে কিছুক্ষন সময়ের জন্য রেখে দিলে সেই দ্রবণে মিশ্রিত ভারী পদার্থ গুলি দ্রবনের একদম তলায় গিয়ে জমা হতে থাকবে। এই ভাবে প্রায় অনেকটা সময়ের পরে দ্রবণটিতে দ্রবীভূত পদার্থ গুলি নিচে পরে থাকবে এবং জলীয় অংশটি ওপরে উঠে আসবে। দ্রবনের এই প্রক্রিয়াটিকেই সাসপেনসন বলে।   অর্থাৎ এক কথায় কোনো দ্রবণকে কিছু সময়ের জন্য স্থায়ী ভাবে রেখে দিলে তার মধ্যে থাকা পদার্থ গুলির আংশিকভাবে আলাদা হয়ে যাওয়াকে দ্রবনের সাসপেনসন বলে। উদাহরণ স্বরূপ যেমন – একটি কাছের টিউবে জল ও মাটি মিশ্রিত একটি দ্রবণ তৈরী করলে এবং সেই দ্রবণটিকে অনেক্ষন নড়াচড়া না করলে দেখা যাবে যে দ্রবণটিতে মাটির কনা গুলি নিচে জমা হয়ে গিয়েছে এবং জল উপরের দিকে স্বচ্ছ হয়ে গিয়েছে।

(৫) কলয়েড ও সাসপেনসন কী একই? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তর : না, সাসপেনসন ও কলয়েড দ্রবনের দুটি ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা। কোনো দ্রবণকে অনেকক্ষন নড়াচড়া না করলে দ্রবনের মধ্যে মিশ্রিত পদার্থের কনা গুলি দ্রবনের তলাতে জমা হয় দ্রবনের এই অবস্থাকে সাসপেনসন বলে। অন্যদিকে, দ্রবণে এমন অনেক সুক্ষ সুক্ষ পদার্থের কনা থাকে যা কখনোই দ্রবনের উপরে বা তলাতে জমা হয় না। এই কনা গুলি দ্রবনের মধ্যে ভাসমান অবস্থায় থাকে। দ্রবনের এই অবস্থাকে কলয়েড বলে। তাই বলা যায় যে কলয়েড ও সাসপেনসন দ্রবনের দুটি ভিন্ন ভিন্ন অবস্থাকে বোঝায়।

সৃজনশীল প্রশ্ন : 

(১) কক্সবাজারে সমুদ্রের পানিতে নেমে প্রিয়স্তি ও রূপন্তি খুব আনন্দ করছিল। হঠাৎ সমুদ্রের পানি রূপন্তির মুখে যাওয়ায় সে লক্ষ করল সমুদ্রের পানি নোনতা। এর কারণ প্রিয়স্তিকে জিজ্ঞেস করায় সে রূপন্তিকে বলল, এটি পানি ও লবণের দ্রবণ। এ থেকেই লবণ তৈরি করা হয়। রূপন্তি অবাক হয়ে ব্যাপারটা জানতে চাইল। বাড়িতে এসে প্রিয়ন্তি রূপন্তিকে লবণ তৈরি করে দেখাল

(ক) মিশ্রণ কী?

উত্তর : বিভিন্ন পদার্থকে একত্রে সংমিশ্রণ করলে যা পাওয়া যায় তাকেই মিশ্রণ বলে। যেমন বিভিন্ন খাবার মিশ্রনের মিশ্রনের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কারণ যে কোনো খাবার তৈরী করতে গেলে  আমাদের অনেক গুলো পদার্থকে একত্রে মিশ্রণ করতে হয়। যেমন শাকসবজি, তেল,মশলা, লবন, চিনি, ইত্যাদি।

(খ) পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয় কেন ?

উত্তর : জলকে স্বর্বজনীন দ্রাবক বলার মূল কারণ হলো জলের মধ্যে পদার্থকে তার যে কোনো অবস্থাতে অর্থাৎ (কঠিন, তরল ও গ্যাসীয়) খুব সহজেই দ্রবীভূত করা যায়। এছাড়া জল যে কোনো তরলের চেয়ে পদার্থকে দ্রবীভূত করতে বেশি সক্ষম। এছাড়া জলের অণুগুলি অন্যান্য বিভিন্ন অনুকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম। মূলত এই সকল কারণের জন্যই জলকে “সর্বজনীন দ্রাবক” বলে।

(ঘ) দ্রবণটি থেকে দুটি উপাদানই আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব বিশ্লেষণ কর ।

উত্তর : দ্রবণটি থেকে দুটি উপাদানকে আমরা ক্ষুব সহজেই ফিরে পেতে পারি বাষ্পীভবন পক্রিয়ার মাধ্যমে। এই পক্রিয়াটির জন্য আমাদের একটি কাচের পাত্র, একটি বার্নার, একটি শীতল পাত্র বা ফিল্টার প্রয়োজন হবে। প্রথমে কাচের পাত্রটিতে সমুদ্রের জলকে রেখে পাত্রটিকে বার্নারের উপরে রাখতে হবে। দ্বিতীয় ভাগে বার্ণারটিকে জ্বালিয়ে সমুদ্রের জলকে তার ফুটন্ত অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে যাতে কাছের পাত্রটি থেকে সমুদ্রের জল বাষ্পীভূত হতে শুরু করে। কারণ সমুদ্রের জলে দ্রবীভূত লবন এই বাষ্পের মধ্য দিয়ে আলাদা হয়ে যাবে। এই বাস্পকে একটি শীতল পাত্রের সংস্পর্শে নিয়ে এলে এর থেকে শুদ্ধ মিষ্টি পানীয় জল পাওয়া যাবে। সব জল শেষে শুধু লবন পরে থাকবে।

(২) ঔষধ খাওয়ানোর সময় আদিল প্রতিবারই লক্ষ করে মা ঔষধের বোতল ঝাঁকিয়ে নেন। কিন্তু দুধ খাওয়ানোর সময় ঝাকান না ।

(ক) অসমস্বত্ব মিশ্রণ কী?

উত্তর : অসমস্বত্ব মিশ্রণ বলা হয় সেই সব মিশ্রণকে যাতে দুই বা ততোধিক যৌগের অসমবন্টন থাকে। যেমন – যদি চিনি ও জলের মিশ্রনের মধ্যে যদি অন্য একটি পদার্থ যা চিনি ও জলের সাথে সামনজষ্য রাখে না তখন সেই  মিশ্রণকে আমরা অসমস্বত্ত মিশ্রণ বলি।

(খ) দ্রবণীয়তা বলতে কী বুঝায় ?

উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ১০০ গ্রাম দ্রাব দিয়ে একটি কোনো দ্রবের সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরী করতে হলে যে পরিমান দ্রব্যের প্রয়োজন হয় তাকে ওই দ্রাবকে ওই দ্রবের দ্রবণীয়তা বলে।

(গ) ঔষধের বোতল আদিলের মা কেন ঝাঁকিয়ে নেন ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর :

আদিলের মা ঔষধের বোতলকে ভালো করে ঝাকিয়ে নেন কারণ যাতে ওই ঔষধের বোতলের সব যৌগগুলি ভালো করে পস্পরের মধ্যে দ্রবীভূত বা মিশ্রিত হয়ে যায়। কারণ যে কোনো দ্রবণকে কিছু সময়ের জন্য নড়াচড়া না করলে দ্রবনে মিশ্রিত পদার্থ গুলি পাত্রের নিচে জমা হতে শুরু করে এবং দ্রবনের জলীয় পর্দাথটি থেকে আলাদা হতে শুরু করে।

(ঘ) মিশ্রণ দুটি কি একই? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও ।

উত্তর : আদিলের মা ঔষধের বোতলকে ভালো করে ঝাকিয়ে নেন কারণ যাতে ওই ঔষধের বোতলের সব যৌগগুলি ভালো করে পস্পরের মধ্যে দ্রবীভূত বা মিশ্রিত হয়ে যায়। কারণ যে কোনো দ্রবণকে কিছু সময়ের জন্য নড়াচড়া না করলে দ্রবনে মিশ্রিত পদার্থ গুলি পাত্রের নিচে জমা হতে শুরু করে এবং দ্রবনের জলীয় পর্দাথটি থেকে আলাদা হতে শুরু করে। এই ঘটনাটি দ্রবনের সাসপেনসন নামে পরিচিত। তাই যে কোনো তরল ঔষধ পান করার আগে তা ভালো করে ঝাকিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

 

More Solutions : 

Updated: October 4, 2023 — 2:21 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *