NCTB Class 6 Science Chapter 6 সংবেদি অঙ্গ Solution
Bangladesh Board Class 6 Science Solution Chapter 6 সংবেদি অঙ্গ Solution. Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায় সংবেদি অঙ্গ অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 6 Chapter 6 সংবেদি অঙ্গ :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 6 |
Subject | Science |
Chapter | Six |
Chapter Name | সংবেদি অঙ্গ |
সংবেদি অঙ্গ অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
শূন্যস্থান পূরণ কর :
(১) ___ ভেতর দিয়ে আলো প্রবেশ করে।
(২) ___ মধ্যে তিনটি ক্ষুদ্র অস্থি থাকে ।
(৩) ___ বহিঃকর্ণের শেষ অংশ।
(৪) জিহ্বায় স্বাদ ___ থাকে।
(৫) ঘ্রাণ কোষগুলো বিশেষ স্নায়ুর সাহায্যে ___ সাথে সংযোগ রক্ষা করে ।
উত্তর :
(১) কর্নিয়ার ভেতর দিয়ে আলো প্রবেশ করে।
(২) মধ্যকর্ণের মধ্যে তিনটি ক্ষুদ্র অস্থি থাকে ।
(৩) কর্ণপটহ বহিঃকর্ণের শেষ অংশ।
(৪) জিহ্বায় স্বাদ করোক থাকে।
(৫) ঘ্রাণ কোষগুলো বিশেষ স্নায়ুর সাহায্যে মস্তিষ্কের সাথে সংযোগ রক্ষা করে ।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) আমাদের দেহের চালক কোনটি?
(ক) হাত
(খ) পা
(গ) চোখ
(ঘ) মস্তিষ্ক
উত্তর :
(ঘ) মস্তিষ্ক
(২) ঘাম তৈরি হয় কোথায় ?
(ক) উপচর্মে
(খ) অন্তঃত্বকে
(গ) ঘর্মগ্রন্থিতে
(ঘ) লোমকূপে
উত্তর :
(গ) ঘর্মগ্রন্থিতে
নিচের অংশটুকু পড় এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বারো বছর বয়সী একজন ছেলে অনিয়মিতভাবে গোসল করে, এমনকি গোসলের পর নির্দিষ্ট তোয়ালে ব্যবহার করে না । সম্প্রতি তার মাথায় খুশকির মাত্রা খুব বেড়েছে। এ ছাড়া তার গায়ে খোসপাচড়া হওয়ায় সে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে মলম কিনে লাগায়।
(৩) ছেলেটির মাথায় কীসের সমস্যা হয়েছে?
(ক) ত্বকের
(খ) চুলের
(গ) গ্রন্থির
(ঘ) মস্তিষ্কের
উত্তর :
(ক) ত্বকের
(৪) খোসপাঁচড়া যাতে না হয় সে জন্য ছেলেটিকে
(i) নিয়মিত গোসল করতে হবে
(ii) পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে
(iii) যেকোনো মলম লাগাতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) i, ii ও iii
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
(১) জিহ্বাকে স্বাদ ইন্দ্রিয় বলা হয় কেন?
উত্তর : জিহ্ববার সাহার্য্যে আমরা সকল খাদ্য বা যেকোনো বস্তু বা পদার্থের স্বাদ অনুভব করতে পারি তাই আমাদের জিহ্ববাকে স্বাদ ইন্দ্রিয় বলা হয়। আমাদের মুখগহ্বরের ভেতরে অবস্থিত পেশিবহুল অঙ্গটিকে জিহ্ববা বলা হয়। আমাদের জিহ্ববার উপরে প্রচুর ছিদ্র যুক্ত একটি আস্তরণ আছে। এই ছিদ্র মতো অংশটিতে স্বাদ কোরক থাকে। আর এই স্বাদ কোরকের সাহার্য্যেই আমরা মিষ্টি, নোনতা, ঝাল, তেতো প্রভৃতি স্বাদকে চিনতে এবং অনুভব করতে পারি।
(২) মধ্যকৰ্ণ কীভাবে শ্রবণে সহায়তা করে?
উত্তর : আমরা আমাদের শ্রবণের জন্য আমাদের কানের উপর নির্ভরশীল। আমাদের কর্ণ তিনটি মূল ভাগ নিয়ে গঠিত। (১) বহিঃকর্ণ (২) মধ্য কর্ণ এবং (৩) অন্তকর্ণ। এর মধ্যে মধ্যকর্ণ অংশটি আমাদের শ্রবণের জন্য বিশেষ ভাবে আবশ্যিক। কারণ বহিঃকর্ণ ও অন্তঃকর্ণের মধ্যেবর্তী স্থানে আমাদের মধ্যকর্ণটি অবস্থান করে। এটি একটি বহুপূর্ণ থলি যার মধ্যে তিনটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হাড় বা অস্থি আছে। এই হাড় গুলির জন্যই শব্দ তরঙ্গ আমাদের অন্তঃকর্ণে পৌঁছতে পারে। এবং আমরা সেই শব্দকে শুনতে পারি।
(৩) চোখের রেটিনার কাজ কী?
উত্তর : আমাদের চোখের সবচেয়ে ভেতরের অংশটি হলো রেটিনা। চোখের রেটিনা একটি আলোক সগবেদী স্তর। রেটিনা আমাদের দেখতে সাহার্য্য করে। রেটিনাতে রড ও কোন কোষ থাকে। রেটিনার কোন কোষ আমাদের দিনের উজ্জ্বল আলোতে দেখতে সাহার্য্য করে এবং বিভিন্ন বর্ণকে চিনতে কোন কোষ সাহার্য্য করে। রেটিনার রড কোষ আমাদের রাতের অন্ধকার দেখতে সাহার্য্য করে। রেটিনা চোখের আকার ও আকৃতিকে বজায় রাখতে সাহার্য্য করে। রেটিনার সাহার্য্যে আমরা আলোর তারতম্য অনুভব করতে পারি। রেটিনার দুটি প্রকোষ্ঠের সাহার্য্যে আমাদের চোখে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ হয়ে থাকে।
(৪) চোখের লেন্স নষ্ট হয়ে গেলে কী ঘটবে?
উত্তর : আমাদের চোখের পিউপিলের পেছনের দ্বি-উত্তল অংশটিকে লেন্স বলে। লেন্সের ভেতর দিয়ে আলোক রশ্মি আমাদের চোখের রেটিনাতে পৌঁছতে পারে। এই লেন্স যদি খারাব হয়ে যায় তাহলে আলোক রশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটবে এবং আমাদের দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পারে বা অস্পষ্ট হয়ে যাবে। লেন্স শুধু চোখের দৃষ্টিকে সঠিক রাখার কাজই করে না, বিভিন্ন ধুলো বালিকে চোখের রেটিনার ভেতরে প্রবেশ হওয়া থেকে আটকায়।
(৫) ত্বকের কাজ কী?
উত্তর : আমাদের শরীরের মাংসপেশির উপরে যে স্তর আছে তাকে ত্বক বলে। ত্বকের প্রধান কাজ হলো দেহের অভ্যন্তরীন অঙ্গগুলিকে বাইরের আঘাত, জীবাণু এবং প্রাকৃতীক বিভিন্ন উপাদান থেকে রক্ষা করা। ত্বক বা চামড়া আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়াকে শরীরের ভেতরে প্রবেশ হওয়া থেকে আটকায়। ত্বক সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মিকে আটকে শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে। শরীরের অতিরিক্ত জল এবং বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থকে ত্বক ঘর্মগ্রন্থির সাহার্য্যে ঘাম রূপে বের করে দিতে সাহার্য্য করে। গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরমের জন্য বা কোনো কারণে আমাদের শরীর অতিরিক্ত উষ্ণ হয়ে গেলে ত্বকের লোমের মধ্য দিয়ে ঘাম বের হয় বাইরের হাওয়াতে বাষ্পীভূত হয়ে শরীরকে ঠান্ডা করে শরীরের উষ্ণতার ভারসাম্য বজায় রাখে।
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) পাশের চিত্র দেখে নিম্নের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও ।
স্কেরা কী?
উত্তর : আমাদের চোখের বাইরের সাদা যে স্তরটি আছে তাকে স্কেরা বলে। চোখের এই অংশটি একটি প্রতিরক্ষামূলক অংশ যা চোখের বেশির ভাগ জায়গাকে আবৃত করে রাখে। এই অংশের মধ্য দিয়ে কোনো আলোকরশ্মি প্রবেশ করতে পারে না। স্কেরা অংশটি চোখের কর্নিয়া থেকে অপটিক নার্ভ পর্যন্ত বিস্তৃত।
(খ) চোখের G অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে কী ঘটবে?
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রে G অংশটি চোখের লেন্স। এই অংশটি একটি পর্দার ন্যায় কাজ করে আলোক রশ্মিকে রেটিনার মধ্যে প্রবেশ করতে সাহার্য্য করে। এই অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে চোখে আলোকরশ্মির যাত্রা পথে ব্যাঘাত ঘটবে যার দরুন দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পাবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত লেন্সে আলোকরশ্মি সোজা পথে না গিয়ে বিচ্ছুরিত হবে ফলে দৃষ্টিশক্তি হবে ঘোলা বা অস্পষ্ট।
(গ) B অংশের কাজ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রে B অংশটি হলো আমাদের চোখের আইরিশ।এই অংশটি চোখের পিউপিলে কতটা আলো প্রবেশ করবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহার্য্য করে। এছাড়া রেটিনায় আলোকে সঠিক ভাবে ফোকাস করাতে সাহার্য করে। এই অংশটি আলোকরশ্মিকে লেন্সের মধ্য দিয়ে কর্নিয়ায় পৌঁছতে সহায়তা করে।
(ঘ) J অংশ কীভাবে আমাদের দেখতে সাহায্য করে আলোচনা কর।
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রের J অংশটি আমাদের চোখের রেটিনা। চোখের রেটিনা হলো চোখের সবচেয়ে ভেতরের অংশ। এই অংশটির মধ্যে রড ও কোন কোষ থাকে। এই কোষগুলো কোষগুলো আমাদের দিনের আলোতে এবং রাতের অন্ধকারে দেখতে সহায়তা করে। চোখের এই অংশটি প্রয়োজনে বড়ো হয়ে বেশি পরিমান আলোক রশ্মি গ্রহণ করে যাতে আমরা সঠিক ভাবে দেখতে পাই। আবার প্রয়োজনে কম আলোকরশ্মিও গ্রহণ করতে পারে আকারে ছোট হয়ে।
(২) পাশের চিত্র দেখে নিম্নের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও ।
(ক) সংবেদি অঙ্গ কাকে বলে?
উত্তর : আমাদের শরীরের যে সব অঙ্গগুলি আমাদের মস্তিস্তককে আমাদের চার পাশের পরিবেশ ও পরিস্থিতির সব খবরা খবর পৌঁছে দেয়, সেই সব অঙ্গগুলোকে সংবেদি অঙ্গ বলে। আমাদের শরীরের চোখ, কান, নাক, ত্বক, জিহ্ববা ইত্যাদি সংবেদি অঙ্গের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
(খ) A চিহ্নিত অংশ না থাকলে কী ঘটবে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমাদের কর্ণের বাইরের অংশটিকে বহিঃকর্ণ বলে। কর্ণের এই অংশটি পিনা, কর্ণকুহর, এবং কর্ণপটহ এর সমন্বয়ে গঠিত। এই অংশগুলি শ্রবণের প্রাথমিক কাজে সাহার্য্য করে। পিনা অংশটি কানের একবারে বাইরের অংশকে বলে এটি মাংসপেশি দিয়ে গঠিত। এটি যে কোনো শব্দকে কর্ণকুহরে পাঠানোর কাজ করে। কর্ণকুহর এটি কানের একটি নালীর মতো অংশ। পিনা অংশটি একটি নালীর মতো অংশ এর সাথে যুক্ত থাকে এই নালিটিকেই কর্ণকুহর বলে। কর্ণপটহ, এই অংশটি একটি পর্দার ন্যায় কাজ করে। কর্ণকুহর যে অংশতে শেষ হয় সেই অংশটিকে কর্ণপটহ বলে। তাই কানের এই অংশটি না থাকলে উপরিউক্ত কাজগুলি সম্পন্ন হতে পারতো না।
(গ) E চিহ্নিত অংশের কাজ উল্লেখ কর ।
উত্তর : প্রদত্ত চিত্র্রে উল্লেখিত অংশটি মধ্যকর্ণ। এই অংশটি বহিঃকর্ণ এবং অন্তঃকর্ণ এর মাঝে অবস্থান করে। এই অংশটি তিনটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হাড় দিয়ে গঠিত। শব্দতরঙ্গের প্রভাবে এই হাড় গুলি কম্পিত হয়। এই কম্পনের জন্যই আমাদের অন্তঃকর্ণে শব্দ পৌঁছতে পারে এবং আমরা শুনতে পারি।
(ঘ) Cও F চিহ্নিত অংশের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর ।
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রে C অংশটি হলো কর্ণপটহ এবং F অংশটি হলো কর্ণের সাথে গলার সংযোগকারী নালী। এই দুটি অংশই আমাদের শ্রবণের জন্য খুবই গুরুপ্তপূর্ণ। কর্ণপটহ যেমন শব্দ তরঙ্গের কম্পনের দ্বারা কম্পিত হয়ে আমাদেরর শ্রবনে সাহার্য্য করে। আবার, কানের প্রতিরক্ষার জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কারন কর্ণপটহ কানের ভেতরে বাইরের কোনো পদার্থ যেমন ধুলো বালি, নোঙ্গরা আবর্জনা, বা ক্ষুদ্র পোকামাকড়কে কানের ভেতরে যেতে বাধা দেয়। গলা ও কানের সংযোগকারী নালিটিও গুরুপ্তপূর্ণ। এই অংশটি আমাদের কর্ণপটহের বাইরের ও ভেতরের বায়ুরচাপকে সমান রাখতে সাহার্য্য করে। বায়ুর চাপের তারতম্য হলে আমাদের কর্ণপটহের পর্দাটি ফেটে যেতে পারে।
More Solutions :