NCTB Class 6 Science Chapter 7 পদার্থের বৈশিষ্ট্য এবং বাহ্যিক প্রভাব Solution
Bangladesh Board Class 6 Science Solution Chapter 7 পদার্থের বৈশিষ্ট্য এবং বাহ্যিক প্রভাব Solution. Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের সপ্তম অধ্যায় পদার্থের বৈশিষ্ট্য এবং বাহ্যিক প্রভাব অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 6 Chapter 7 পদার্থের বৈশিষ্ট্য এবং বাহ্যিক প্রভাব :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 6 |
Subject | Science |
Chapter | Seven |
Chapter Name | পদার্থের বৈশিষ্ট্য এবং বাহ্যিক প্রভাব |
পদার্থের বৈশিষ্ট্য এবং বাহ্যিক প্রভাব অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
(১) বাম পাশের শব্দের সাথে ডান পাশের শব্দের মিল কর ।
বাম | ডান |
প্রতিটি পদার্থেরই | কোন পদার্থ নয়। |
শব্দ | তাপ পরিবহন করে না |
কঠিন পদার্থের | নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে |
ধাতব পদার্থসমূহ আঘাতে | ভর আছে |
ভেঙে যায় না |
উত্তর :
প্রতিটি পদার্থেরই → ভর আছে
শব্দ → কোন পদার্থ নয়।
কঠিন পদার্থের → নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে
ধাতব পদার্থসমূহ আঘাতে → ভেঙে যায় না
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
(১) পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী কী? উদাহরণ দিয়ে বুঝাও।
উত্তর :
পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি নিন্মে আলোচনা করা হলো –
(১) প্রতিটি পদার্থের ভর আছে।
(২) প্রতিটি পদার্থ কিছু না কিছু স্থান বা জায়গা অধিকার করে থাকে।
(৩) পদার্থের তিনটি অবস্থা থাকে যথা – (১) কঠিন (২) তরল এবং (৩) গ্যাসীয়।
(৪) তরল, গ্যাসীয়, ও কঠিন পদার্থের প্রত্যেকের আবার আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট আছে।
যেমন কঠিন পদার্থ শক্ত। এর নির্দিষ্ট আকার আছে। তরল পদার্থের নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই। গ্যাসীয় পদার্থ চোখে দেখা যায় না।
(২) আলো এক ধরনের পদার্থ এটা কি সত্য না মিথ্যা? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও। কঠিন, তরল ও বায়বীয় পদার্থের মধ্যে মূল পার্থক্য কী কী ?
উত্তর :
না, আলো একটি পদার্থ নয়। কারণ বিজ্ঞানের ভাষায় যার ভর আছে তাই পদার্থ। কিন্তু আলোর কোনো ভর নেই তাইম আলো একটি পদার্থ নয়।
কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় পদার্থের মূল পার্থক্য গুলি হলো –
(১) কঠিন অবস্থায় পদার্থের একটি নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে।
(২) তরল অবস্থায় পদার্থের কোন নির্দিষ্ট আকার থাকে না।
(৩) গ্যাসীয় অবস্থায় পদার্থকে খালি চোখে দেখা যায় না কিন্তু এর উপস্থিতি অনুভব করা যায়। যেমন বায়ু।
(৩) বৈদ্যুতিক তারে তামা ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর : তামা একটি উৎকৃষ্ট মানের ধাতু। তামা বিদ্যুতের জন্য অত্যন্ত সুপরিবাহী। তাই তামাকে বৈদ্যুতিক তারে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া তামাতে সহজে জং ধরে না তাই তামা অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়। তামা নমনীয় হয় তাই তামা ধাতুর সাথে সুক্ষ বৈদ্যুতিন সরঞ্জামে ব্যবহার করা সহজ।
(৪) গলনাংক ও স্ফুটনাংক উদাহরণ দিয়ে বুঝাও ।
উত্তর :
গলনাঙ্ক :
যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রাতে কোনো কঠিন পদার্থ গলে তরলে পরিনত হয় সেই নির্দিষ্ট উষ্ণতাকে পদার্থের গলনাঙ্ক বলা হয়। যেমন বরফের গলনাঙ্ক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্ফুটনাংক :
যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো পদার্থ বাস্পে বা গ্যাসে পরিণত হয় সেই নির্দিষ্ট উষ্ণতাকে পদার্থের স্ফুটনাংক বলে। যেমন – জল ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বাস্পীভূতপ হওয়া শুরু হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) কোন পদার্থের দৃঢ়তা কম?
(ক) ইট
(খ) লোহা
(গ) কলা
(ঘ) বরফ
উত্তর :
(গ) কলা
(২) কোন পদার্থটি বোতলে রেখে দিলে সম্পূর্ণ বোতল জুড়ে থাকবে?
(ক) পানি
(খ) সেন্ট
(গ) দুধ
(ঘ) পাউডার
উত্তর :
(খ) সেন্ট
নিচের ছকটি লক্ষ কর এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
মাথিনের মা | মাটির পাতিলে রান্না করেন |
মাথিনের বাবা | তামার তারের যন্ত্র ব্যবহার করেন |
মাথিনের দাদি | বাঁশের ঝুড়ি ব্যবহার করেন |
মাথিন | কাচের গ্লাসে পানি পান করেন |
(৩) ছখের কোন ব্যক্তির ব্যবহারের জিনিসটি বিদ্যুৎ ও ভাগ পরিবাহী?
(ক) মাথিনের মার
(খ) মাথিনের বাবার
(গ) মাথিনের দাদির
(ঘ) মাখিনের
উত্তর :
(খ) মাথিনের বাবার
(৪) তাপ পরিবাহিতার ক্ষেত্রে-
(i) মাথিনের মার চেয়ে বাবা বেশি সুবিধা পায়।
(ii) মাথিনের বাবার চেয়ে মাথিন বেশি সুবিধা পায়
(iii) মাথিনের বাবার চেয়ে দাদি কম সুবিধা পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) ফজলুল হক সাহেবের মা মাটির চুলায় মাটির পাতিলে রান্না করেন। অপরদিকে তার স্ত্রী গ্যাসের চুলায় এলুমিনিয়ামের পাতিলে রান্না করেন ।
(ক) পদার্থ কী?
উত্তর : পদার্থ বলতে সেই সব বস্তূকে বোঝায় যার ভর আছে এবং যা কোনো জায়গা বা স্থান দখল করে থাকে, একেই আমরা পদার্থ বলবো। পদার্থ তিন রকমের কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয়। কয়েকটি পদার্থের উদাহরন যেমন – জল, বায়ু , কাঠ, বালি পাথর ইত্যাদি।
(খ) অধাতু বলতে কী বুঝায় ?
উত্তর :
যে সকল পদার্থ কঠিন নয় এবং যা ঘষলে চককক করে না এবং যা তাপ ও বিদ্যুতের কু-পরিবাহী, এবং যাতে আঘাত করলে কোনো শব্দ করে না সেই সকল পদার্থকে অধাতু বলে।
(গ) ফজলুল হক সাহেবের ব্যবহৃত পাত্রটির উপাদানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর : যে সকল পদার্থ কঠিন নয় এবং যা ঘষলে চককক করে না এবং যা তাপ ও বিদ্যুতের কু-পরিবাহী, এবং যাতে আঘাত করলে কোনো শব্দ করে না সেই সকল পদার্থকে অধাতু বলে। কতগুলি অধাতুর উদাহরণ হলো অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, আয়োডিন ইত্যাদি।
(ঘ) রান্নার ক্ষেত্রে ফজলুল হক সাহেবের মা ও স্ত্রীর মধ্যে কে বেশি সুবিধা পায় বিশ্লেষণ কর ।
উত্তর : রান্নার ক্ষেত্রে ফজলুল হক সাহেবের স্ত্রী বেশি সুবিধা পাবে। কারণ তার স্ত্রী ধাতুর তৈরি একটি পাত্র ব্যবহার করছেন। আর আমরা জানি যে যেকোন ধাতুই তাপের সুপরিবাহী। তাই তার পাত্রটি অনেক বেশি ও তাড়াতাড়ি উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। অপরদিকে, ফজলুল সাহেবের মা রান্নার জন্য মাটির পাত্ৰ ব্যবহার করছেন যে করে তার পাত্রটি অনেক কম ও দীর্ঘ্য সময় নিয়ে উতপ্ত হবে। এতে জ্বালানির খরচ অনেক বেশি হবে। তাই ফজলুল সাহেবের স্ত্রী রান্নার ক্ষেত্রে বেশি সুবিধা পাবে।
(ক) স্ফুটনাংক কী ?
উত্তর :
স্ফুটনাংক হলো এমন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা যে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ ফুটতে শুরু করে। বিভিন্ন তরলের স্ফুটনাংক বিভিন্ন তাপমাত্রায় হয়। যেমন জলের স্ফুটনাংক ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রাতে এসে জল ফুটতে শুরু করে।
(খ) তাপ পরিবাহিতা বলতে কী বুঝায় ?
উত্তর : তাপ পরিবাহিতা বলতে আমরা সাধারণ ভাবে তাপের পরিচলনকে বুঝি। অর্থাৎ একটি লোহার দন্ডের এক পাশ একটি জ্বলন্ত শিখার উপরে রাখলে কিছুক্ষন পরে এর অন্য পাশটিও উত্তপ্ত বা গরম হতে শুরু করে এই পক্রিয়াকেই তাপের পরিবাহিতা বলে।
(গ) চিত্রে X কীভাবে Z এ পরিণত হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : চিত্রের X টি একটি বরফ এবং এটি চিত্রের Z এ পরিণত হয় পদার্থের তিনটি অবস্থার মধ্যে দিয়ে। অর্থাৎ কঠিন থেকে তরলে এবং তরল থেকে গ্যাসে। নিম্নে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রদপ্ত চিত্রের প্রথম অবস্থাটি হলো পদার্থের কঠিন অবস্থা। এই অবস্থায় পদার্থটি একটি বরফ। কঠিন অবস্থা থেকে বরফটি তাপের কারণে তরলে পরিণত হয়েছে। যেহেতু বরফের গলনাঙ্ক হলো ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় বরফ গলে জলে পরিণত হয়। এটি পদার্থটির Y চিত্রে দেখা যাচ্ছে। এরপর এই পদার্থটিকে উত্তপ্ত করা হলে আমরা চিত্রের X অবস্থাটি পাবো। চিত্রটিতে দেখা যাচ্ছে পাত্রটি থেকে জল বাষ্পীভূত হচ্ছে। অর্থাৎ পদার্থটি তার স্ফুটনাঙ্কতে পৌঁছে গিয়েছে। অর্থাৎ প্রদপ্ত চিত্রের X অবস্থা থেকে Z অবস্থায় পৌঁছনোর জন্য তাপের প্রভাবে ঘটিত পদার্থের গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক দায়ী।
(ঘ) তিনটি চিত্রের পদার্থই একই উপাদানে গঠিত বিশ্লেষণ কর ।
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রের পদার্থটি যেহেতু কঠিন অবস্থা থেকে বাষ্পীভূত হয়েছে। এর মাঝে অন্য কোনো পদার্থ বা উপাদান মিশ্রিত হয়নি। কঠিন পদার্থটি যে উপাদানে তৈরী ছিল সেই একই উপাদান পরবর্তী তরল পদার্থগুলিতে আছে। এই পক্রিয়াতে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু পদার্থের উপাদানের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
More Solutions :