NCTB Class 6 Science Chapter 4 উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য Solution

NCTB Class 6 Science Chapter 4 উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য Solution

Bangladesh Board Class 6 Science Solution Chapter 4 উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য Solution. Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের চতুর্থ অধ্যায় উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 6 Chapter 4 উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 6
Subject Science
Chapter Four
Chapter Name উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য

NCTB Class 6 Science Chapter 4 উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য Solution

উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

শূন্যস্থান পূরণ কর :

(১) একটি সরল পত্রের প্রধান শিরাকে __ বলা হয়।

(২) অখণ্ড পত্র ফলক আছে এরূপ পত্রকে __ পত্র বলে।

(৩) স্থানিক মূল বড় হয়ে যে মূল সৃষ্টি করে তাকে __  মূল বলে ।

(৪) ভ্রূণমূল নষ্ট হয়ে গুচ্ছাকারে যে মূল সৃষ্টি হয় তাকে __  বলে।

উত্তর :

(১) একটি সরল পত্রের প্রধান শিরাকে মধ্যশিরা বলা হয়।

(২) অখণ্ড পত্র ফলক আছে এরূপ পত্রকে সরল পত্র বলে।

(৩) স্থানিক মূল বড় হয়ে যে মূল সৃষ্টি করে তাকে প্রধান মূল বলে ।

(৪) ভ্রূণমূল নষ্ট হয়ে গুচ্ছাকারে যে মূল সৃষ্টি হয় তাকে গুচ্ছ মূল বলে।

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :

(১) পত্রবৃত্ত কী? এর অবস্থান কোথায় ?

উত্তর : উদ্ভিদের পাতার দণ্ডাকার অংশটিকে পত্রবৃত্ত বা বোঁটা বলা হয়। উদ্ভিদের দেহের সাথে পাতা তার বৃত্তের সাহাৰ্য্যে আটক থাকে। পত্রের বোঁটা বা বৃত্ত পত্রফলককে এমন ভাবে ধরে রাখে যাতে সবচেয়ে বেশি সূর্যরশ্মি গ্রহণ করতে পারে।

পত্রবৃত্তটি পাতার অগ্রভাগে অবস্থান করে।

(২) পত্রের কাজ কী?

উত্তর : উদ্ভিদে জন্য তার পত্র একটি বিশেষ এবং গুরুপ্ত পূর্ণ অংশ। পাতা গাছের বৃদ্ধি ও বেঁচে থাকার জন্য বিশেষ ভূমিকে পালন করে থাকে। পাতার বিভিন্ন কাজ গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।

পত্রের বিভিন্ন কাজ : 

(১) পত্রের মধ্যে বিশেষ ধরণের এক সবুজ গ্রন্থি থাকে (ক্লোরোফিল) যা সাহার্য্যে সূর্যালোকের আলোকরশ্মি গৃহীত হয় এবং উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপন্ন হয়।

(২) উদ্ভিদের শ্বাসপ্রশ্বাস চালানোর জন্য তার পত্রের ওপর নির্ভরশীল। পাতা উদ্ভিদের শ্বাস কার্য্য পরিচালনা করার জন্য অক্সিজেন ও কার্বনডাই অক্সাইড আদান প্রদান করে।

(৩) উদ্ভিদের খাদ্য তৈরি করার সময় প্রচুর পরিমান কার্বনডাই অক্সাইড প্রয়োজন হয় যা উদ্ভিদ তার পাতার সাহার্য্যে বায়ুমণ্ডল থেকে গ্রহণ করে।

(৪) পাতা উদ্ভিদের মূল দ্বারা শোষিত অতিরিক্ত জলকে বাষ্পীভূত পদ্ধতিতে বের করে দেয়।

(৩) সরল পত্রের প্রধান শিরাকে কী বলে?

উত্তর :

সরল পত্রের প্রধান শিরাকে মধ্য শিরা বলে।

(৪) যৌগিক পত্রের র‍্যাকিস কী?

উত্তর :

যৌগিক পত্রের অনুফলক বা পত্রফলক গুলো যে দন্ডে সাজানো থাকে তাকে যৌগিক পত্রের র‍্যাকিস বলে।

যৌগিক পত্রে অনেকগুলো ছোট ছোট ফলক থাকে। এদের অনুফলক বলে। এই অনুফলক গুলি আবার একটি দন্ডে সজ্জিত থাকে।অনুফলকের দ্বারা সজ্জিত এই দণ্ডটিকেই র‍্যাকিস বলে।

(৫) যৌগিক পত্র কাকে বলে?

উত্তর :

যখন কোনো পত্রের পত্রফলক বিভাজনকারী রেখাগুলি পত্রের মধ্য শিরাকে স্পর্শ করে এবং পাতাটিকে কয়েকটি পত্রকের মধ্যে বিভক্ত করে দেয়, সেই পাতাকে যৌগিক পত্র বলে। যৌগিক পত্রের করেকটি উদাহরণ হলো – গোলাপ, নিম, সজনে, তেতুল ইত্যাদি।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) কাণ্ডের সাথে পাতা যে কোণ সৃষ্টি করে তার নাম –

(ক) পর্ব

(খ) মুকুল

(গ) পর্বমধ্য

(ঘ) পত্রকক্ষ

উত্তর :

(ঘ) পত্রকক্ষ

(২) আখ তৃণ কাণ্ড । কারণ –

(i) কাণ্ড খাট ও মোটা

(ii) পর্ব ও পর্বমধ্য খুবই স্পষ্ট

(iii) পর্ব থেকে অস্থানিক মূল বের হয়

নিচের কোনটি সঠিক

(ক) iii

(খ) i iii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ক) iii

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

সুফিয়া বেগম তার বাড়ির আঙিনায় প্রথম বছর কুমড়া এবং পরবর্তী বছর পুঁইশাক আবাদ করলেন ।

(৩) সুফিয়া বেগমের প্রথম বছর আবাদকৃত উদ্ভিদটির কাণ্ডের প্রকৃতি কীরূপ?

(ক) তৃণ

(খ) লতানো

(গ) শয়ানো

(ঘ) আরোহিণী

উত্তর :

(খ) লতানো

(৪) সুফিয়া বেগমের দ্বিতীয় বছরে আবাদকৃত উদ্ভিদের কাণ্ডের ক্ষেত্রে বলা যায়-

(i) এটি মাটির উপরে ছড়িয়ে পড়ে

(ii) পর্ব থেকে মূল বের হয় না

(iii) অবলম্বনকে আঁকড়ে ধরে বৃদ্ধি লাভ করে

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) i iii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(খ) i ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) (ক) সপুষ্পক উদ্ভিদ কী?

উত্তর :

যে সকল উদ্ভিদের দেহ মূল, কান্ড, ও পাতা এই তিনটি নির্দিষ্ট অংশে বিভক্ত এবং যে সকল উদ্ভিদের ফুল, ফল ও বীজ হয় তাদের সপুষ্পক উদ্ভিদ বলে। কয়েকটি সপুষ্পক উদ্ভিদের উদাহরণ হলো – আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু , ধান, গম, ইত্যাদি।

(খ) বিটপ বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর :

মাটির উপরে অবস্থিত উদ্ভিদের সকল অঙ্গকে একত্রে বিটপ বলে। অর্থাৎ উদ্ভিদের কান্ড, পাতা,  ফুল, ফল, সব সব কিছুকে একত্রে বিটপ বলে।

(গ) A B অংশের মধ্যে পার্থক্যগুলো উল্লেখ কর।

উত্তর :

প্রদপ্ত চিত্র্রে A অংশটি হলো উদ্ভিদের কাণ্ডের অংশ। এবং B অংশটি হলো উদ্ভিদের মূলের অংশ। নিম্নে কান্ড ও মূলের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা  করা হলো –

উদ্ভিদের কান্ড : 

(১) কান্ড উদ্ভিদের বাইরের অংশ। এই অংশটি উদ্ভিদের বৃদ্ধির সাথে সাথে মাটি থেকে ওপরে উঠতে থাকে।

(২) উদ্ভিদের কাণ্ডে পাতা, ফুল ও ফল দেখতে পাওয়া যায়।

(৩) উদ্ভিদের কাণ্ডে উদ্ভিদের খাদ্য তৈরী হয়।

(৪) উদ্ভিদের শ্বাসকার্য কাণ্ডে অবস্থিত পাতার সাহার্য্যে সম্পন্ন হয়।

উদ্ভিদের মূল  : 

(১) উদ্ভিদের গোড়ার দিকের এবং মাটির ভেতরের অংশটিকে মূল বলে।

(২) উদ্ভিদের মূল মাটি থেকে প্রয়জনীয় জল ও খনিজ লবন সরবারহ করে।

(৩) মূল গাছকে দৃঢ়তা প্রদান করে। মাটির নিচে মূল অনেক গভীরে ছড়িয়ে যায় এবং শক্ত করে আঁকড়ে ধরে থাকে।

(৪) অনেক সময় গাছের মূল থেকে আবার নতুন করে গাছকে পুনর্জীবিত করে তোলে।

(ঘ) A B অংশের গুরুত্ব আলোচনা কর ।

উত্তর :

একটি উদ্ভিদের জন্য A ও B অংশ বিশেষ ভাবে গুরুপ্তপূর্ণ। প্রদপ্ত চিত্রতে A অংশটি উদ্ভিদের কান্ড এবং B অংশটি উদ্ভিদের মূল। কান্ড এবং মূল উদ্ভিদের জন্য সমান ভাবে গুরুপ্তপূর্ণ।

কারণ সকল উদ্ভিদের দুটি প্রধান অংশ থেকে যা মূল ও কান্ড নামে পরিচিত। কান্ড উদ্ভিদের মাটির বাইরের অংশকে বলে এবং উদ্ভিদের মাটির নিচের অংশকে মূল বলে।

কাণ্ডের গুরুপ্ত : 

(১) কান্ড উদ্ভিদের খাদ্য তৈরী কর।

(২) কান্ডতে উদ্ভিদের ফল ও ফুল সৃষ্টি হয়। যার সাহার্য্যে উদ্ভিদের বংশবিস্তার হয়ে থাকে।

(৩) কান্ড উদ্ভিদকে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে সাহায্য করে।

(৪) উদ্ভিদের অতিরিক্ত জল কান্ড তার পাতার মধ্যে দিয়ে বের করে দেয়।

(৫) কান্ড উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

মূলের গুরুপ্ত : 

(১) উদ্ভিদের মূল মাটি থেকে প্রয়োজনীয় জল ও খনিজ লবন শোষণ করে তা উদ্ভিদের কাণ্ডের বিভিন্ন অংশে প্রেরণ করে।

(২) মূল মাটির গভীরে প্রবেশ করে এবং মাটিকে দৃঢ়তার সাথে আঁকড়ে থাকে। যা উদ্ভিদকে মাটিতে স্থায়িত্ব দেয়।

(৩) মূল উদ্ভিদের বংশ বিস্তার করতেও সাহার্য্য করে। অনেক উদ্ভিদে মূল থেকে আবার নতুন একটি উদ্ভিদের জন্ম হয়।

(২) প্রাপ্তি ও প্রমি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যায়। একদিন তারা গ্রামে ঘুরতে বেড়িয়ে উদ্ভিদ কাণ্ডের বিভিন্ন ধরনের বিন্যাস বিশেষভাবে লক্ষ করল। এদের মধ্যে কোনটির শাখা-প্রশাখার বিন্যাস মঠ আকৃতির, আবার কোনটির গম্বুজ আকৃতির । এই কাণ্ডগুলোর আকৃতি ও কাজ সম্পর্কে জানতে তারা কৌতূহলী হয়ে উঠল।

(ক) মূল কাকে বলে?

উত্তর : যে কোনো উদ্ভিদের পর্ব, পর্বমধ্য ও অগ্রমুকুলবিহীন যে অংশ থেকে তাকেই মূল বলা হয়। সহজ ভাষায় বললে উদ্ভিদের মাটির নীচে যে অংশ থাকে তাকেই মূল বলে। মূল গাছকে মাটির সাথে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে থাকে এবং গাছের প্রয়োজনীয় খনিজ লবন এবং জল  সরবরাহ  করে। মূলকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় এক স্থানিক মূল এবং অপরটি অস্থানিক মূল।

(খ) আম গাছের পাতার ধরন ব্যাখ্যা কর।

উত্তর :

আম গাছের পাতা সরল পাত্র অন্তর্গত। আম গাছের পাতাকে সরল পাতা বলে। সরল পত্রে একটি মাত্র পত্রফলক থাকে। সরল পত্র গুলির কিনারা খণ্ডিত বা অখন্ডিত হতে পারে। আম পাতা গুলি একটি সম্পূর্ণ অংশ নিয়ে গঠিত। আম পাতার পত্রফলকগুলি বিভক্ত থাকে না।

 

More Solutions : 

Updated: October 2, 2023 — 2:04 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *