NCTB Class 8 BGS Chapter 2 বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ Solution/Guide
Bangladesh Board Class 8 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 2 বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ. Solution for Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 8 Chapter 2 বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 8 |
Subject | BGS |
Chapter | দ্বিতীয় |
Chapter Name | বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ |
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) ১৯৭১ সালের কোন তারিখে মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়?
(ক) ২৬শে মার্চ
(খ) ১০ই এপ্রিল
(গ) ২৭শে মার্চ
(ঘ) ১৭ই এপ্রিল
উত্তর :
(ঘ) ১৭ই এপ্রিল
(২) ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল-
(i) জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বর্জন করা
(ii) কলকারখানা বন্ধ করে দেওয়া
(iii) সর্বত্র বঙ্গবন্ধুর নিয়ন্ত্রণে চলে আসা
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী নাওমি ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তার ছবিতে একজন লোক চশমা পরা, কোটপরা, একটি আঙ্গুল উঁচু করে ভাষণ দিচ্ছেন আর উপস্থিত জনতা উত্তেজনায় ফেটে পড়ছে।
(৩) নাওমির অঙ্কিত চিত্রে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
(ক) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
(খ) আবুল কাশেম ফজলুল হক
(গ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
(ঘ) মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
উত্তর :
(গ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
(৪) উদ্দীপকে উক্ত ব্যক্তির ভাষণ প্রধানত কীসের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে?
(ক) ভাষা আন্দোলনের
(খ) স্বাধীনতা আন্দোলনের
(গ) ছয় দফা আন্দোলনের
(ঘ) অসহযোগ আন্দোলনের
উত্তর :
(খ) স্বাধীনতা আন্দোলনের
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) (ক) আত্মসমর্পন দলিলে যৌথবাহিনীর পক্ষে কে স্বাক্ষর করেন?
উত্তর : আত্মসমর্পণ দলিলে যৌথবাহিনীর পক্ষে লে. জেনারেল অরোরা স্বাক্ষর করেন এবং পাকিস্থানের বাহিনীর পক্ষ থেকে লে. জেনারেল এ.এ.কে নিয়াজি স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কাছে পরাজিত হয় পাকিস্তানের অস্ত্র সজ্জিত বাহিনী। এবং ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ পায় “স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র” ।
(খ) ‘গণহত্যার‘ ধারণাটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার খানের তথ্যাবধানে পাকিস্তানের বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে “অপারেশন সার্চলাইট” এর অধীনে বাংলাদেশের নিরীহ ও নির্দোষ জনগণের উপর নিমর্ম গণহত্যাকান্ড চালিয়েছিল। এই হত্যাকান্ডের বা আক্রমণের পরিকল্পনা মার্চ মাসের শুরু থেকেই পরিকল্পিত হয়েছিল। ইয়াহিয়ার খান বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের সাথে বৈঠক করার উদ্যেশে ছিল বাংলার প্রস্তুতি ও অনভন্তরীন পরিকল্পনার ব্যাপারে সুনিশ্চিত খবর রাখা এবং চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র ও রসদ বোঝাই এম.ভি সোয়াত জাহাজের থেকে সবার দৃষ্টি সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র। এই আকস্মিক আক্রমণের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে ভয়ভীত করা এবং বাংলার সকল পুলিশ ফাড়ি এবং ইপিযার গুলোকে অধিগ্রহন করে। এবং ধীরে ধীরে ঢাকা শহরের অধিকাংশ ব্যাংক, টেলফোন এক্সচেঞ্জ, টিভি ও রেডিও সেন্টার ইত্যাদি পাকিস্তানি সেনা নিজেদের ক্ষমতার অধীন করে নিয়েছিল। এর মধ্যেই বঙ্গবন্ধুকে তারা গ্রেফতার করে এবং নিজের হেফাজতে বন্দি করে। ঢাকা শহরের সকল মাধমের উপর নিয়ন্ত্রণ করা ছিল পাকিস্থানের সৈন্যদের প্রাথমিক দায়িত্ব। এই ভাবে দীর্ঘ পরিকল্পনার পর “অপারেশন সার্চলাইট” বাস্তবায়িত করা হয়েছিল। যার ফলে প্রায় ১০ লক্ষ বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল।
(গ) চিত্র-১ বাংলাদেশের ইতিহাসের কোন ঘটনার প্রতিচ্ছবি?
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্র-১ বাংলাদেশের ইতিহাসের ২৫শে মার্চ মধরাতে পাকিস্তান সৈন্যদের দ্বারা চালানো নির্মম গণহত্যার প্রতিচ্ছবি। ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ পাকিস্তান সরকার তৎকালীন পাকিস্থানের পূর্ব পাকিস্তানের বিদ্রোহী মানুষের উপর মধ্যরাতে নির্মম হত্যাকান্ড চালায় এবং সমগ্র ঢাকার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা উদ্দেশে ” অপারেশন সার্চলাইট” শুরু করে। এই হত্যাকান্ড বাংলাদেশের ইতিহাসের এক দুঃখপূর্ণ ঘটনা হিসেবে স্মরণীয় স্মরণীয় হয়ে আছে। এই ঘটনার পরেই বাংলাদেশ সম্পূর্ণ ভাবে এবং সর্বশক্তি দিয়ে নিজেদের স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পরে। এই যুদ্ধে বাংলাদেশের বহু মায়ের কোল খালি করে তরুণ যুবক যুবতীরা শহীদ হয় বাংলার জন্য। এই আক্রমণের ফলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষই সব থেকে বেশি মারা গিয়েছিলো।
(ঘ) চিত্র-২ এ উল্লিখিত বাহিনীর কার্যক্রমই কি এ দেশের স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করেছিল? বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যৌথবাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। পাকিস্তানের আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত সৈন্যদের সাথে বাংলাদেশের নিরস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে লড়াই করা বাংলাদেশের যোদ্ধারা পেরে উঠতে পারছিলোনা। এর ফলে বাংলাদেশ মিত্ররাষ্ট্র ভারতের থেকে সাহার্য্য চায় এই ভাবে ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশ এবং ভারত মিলিত হয়ে যৌথবাহিনী গঠন করে। ভারত থেকে সৈন্য, ট্যাংক, আধুনিক অস্ত্র আসতে শুরু করে এবং এরই সঙ্গে বাংলাদেশ সাহার্য্য পায় ভারতের নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর। এই দ্বৈত বাহিনীর প্রতিরোধের সামনে পাকিস্তানের সৈন্য দিশেহারা হয়ে পরে। ভারত থেকে আগত সৈন্য যশোরে নিজেদের ঘাঁটি স্থাপন করে। এই যৌথবাহিনীর মিলিত আক্রমণ পাকিস্তানের সৈন্যদের থেকে ধীরে ধীরে ঢাকার ক্ষমতা নিজেদের অধীনে নিতে শুরু করে। এই সময় ভারতের থেকে আসা সৈন্যদেরকে মিত্রবাহিনী বলা হতো। পাকিস্থানের সৈন্যবাহিনীর কাছে মিত্রবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনী ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং তাদেরকে অনেক বেশি দুর্বল করেছিল। এই অবস্থায় পাকিস্তানের বিমান বাহিনী ৩রা ডিসেম্বর ভারতের অনেক গুলো বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ করলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শুরু হয় সর্বাত্মক যুদ্ধ। এরপর ক্ষিপ্ত ভারত সরকার বাংলাদেশকে ৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং এক বিশাল আক্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এরপরের পদক্ষেপে ভারত সকল বিদেশ নাগরিকদের সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয় এবং একই সাথে বিশাল বিমান বাহিনীর দ্বারা পাকিস্তান বাহিনীর উপর আক্রমণ শুরু করে। এই ভাবে ৮ ও ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া দখল করে এবং ১১ ও ১২ই ডিসেম্বরের মধ্যে ময়মনসিংহ, হিলি , খুলনা ইত্যাদি সহ পূর্ব পাকিস্তানের সকল জাগা পাকিস্তান বাহিনীর থেকে মুক্তি পায়। এবং অবশেষে ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানের অবশিষ্ট সৈন্য বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
(২) নাসিফের বাবা মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি প্রশিক্ষণ নিতে এসে সাতক্ষীরা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ করেন। এই যুদ্ধে আমাদের প্রতিবেশী দেশ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গড়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছিল।
(ক) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার পতাকা কত তারিখ উত্তোলন করা হয়?
উত্তর : আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীন বাংলার পতাকা ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাবেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।
(খ) যৌথবাহিনী গঠন করা হয়েছিল কেন?
উত্তর : যৌথবাহনী গঠন করা হয়েছিল পাকিস্থানের সৈন্যদের হারানো এবং বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ও মনোবল বৃদ্ধি করা। পাকিস্তানের আধুনিক অস্ত্র সজ্জিত সৈন্যদের সাথে লড়াই করে বাংলাদশের দেশীয় অস্ত্র ও নিরস্ত্র যোদ্ধারা পেরে উঠছিলো না। এই কারণে বাংলাদেশকে সামরিক দিক থেকে সাহার্য্য করার অন্য ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল। সৈন্য বাহিনী, অস্ত্র, যুদ্ধকৌশল, অর্থ ও খাদ্য সব রকমের সাহার্য্য করত এগিয়ে এসেছিলো ভারত। পরবর্তী সময়ে ভারত থেকে আগত সৈন্য বাহিনী ও বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরী হয়েছিল যৌথবাহিনী। পাকিস্তান বাহিনীকে হারিয়ে তাদের দখল করে থাকা বাংলা ও বাংলার মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তৈরী করা হয়েছিল এই যৌথবাহিনীকে। পাকিস্তানের মধ্যে সৈন্যরা যৌথবাহিনীর আক্রমণে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এক দিকে বাংলার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত গেরিলা যোদ্ধাদের আক্রমণ আবার অন্যদিকে যৌথবাহিনীর শক্তিশালী প্রতিরোধে পাকিস্তানের সৈন্যরা দিশে হারা হয়ে পরেছিল। এবং এই যৌথবাহিনীর আক্রণের জেরেই অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছিলো।
(গ) নাসিফের বাবা মুক্তিবাহিনীর কোন সেক্টরের সদস্য ছিলেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : নাসিফের বাবা মুক্তিবাহিনীর আট নম্বর সেক্টরের সদস্য ছিলেন। মুক্তিবাহিনীর এই আট নম্বর সেক্টরটি কুটিয়া, যশোর, ফরিদপুর, খুলনাম, দৌলতপুর এবং সাতক্ষীরা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য মুক্তিবাহিনীকে সমগ্র বাংলায় এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাবে মোট ১১টি প্রধান সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। যাতে এলাকার নাম জানা থাকলেই সেখানে কোন মুক্তিবাহিনী আছে তা জানা যায় এবং সকলের মধ্যে সুষ্ঠ ভাবে যোগযোগ রাখা সম্ভব হয়। এই সেক্টরগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয় একজন কমান্ডারকে। আবার এই কমান্ডারের সাথে আরো বেশ কয়েকজন সাব-কমান্ডারও নিযুক্ত ছিল। প্রত্যেক সেক্টরের অধীনে আবার অনেকগুলো সাব-সেক্টরও ছিল।
(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত দেশটির সহযোগিতাই এদেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছিল- মূল্যায়ন করো।
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান অস্বীকার করা সম্ভব নয়। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশে পাকিস্তানবাহিনীর করা গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল এবং সমগ্র বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের এই নির্মম বর্বরতাকে তুলে ধরেছিল। ভারতের বিভিন্ন নেতা, লেখক, গায়ক, শিল্পী বাংলাদেশের এই খারাব সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধাদের যুদ্ধকৌশল শেখানো থেকে শুরু করে আধুনিক অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে সাহার্য্য করা ভারত সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছিল। ভারতের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলেই সমগ্র বিশ্বের মানুষ পাকিস্থানের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়েছিল এবং বিশ্বের দরবারের পাকিস্তানের ও এর সহায়ক রাষ্ট্রগুলির বিরোধিতা ও সমালোচনা শুরু হয়েছিল। ভারতের সহযোগিতার কারণেই বাংলাদেশ যৌথবাহিনী গড়ে তুলতে পেরেছিলো এবং নতুন করে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পেরেছিলো। ভারতের নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর হামলায় পাকিস্তান বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয় যার ফলে পাকিস্তানের সেনাবল দুর্বল হয়ে পরে। ভারত শুধু সামরিক দিক থেকেই নয়, সামাজিক ও মানবিক ভাবেও সাহার্য্য করেছিল। বাংলাদেশের মানুষেদের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা, এবং শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া ইত্যাদি। ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বাপেক্ষা বেশি সাহার্য্য ও গভীর ভাবে যুক্ত ছিল।