NCTB Class 8 BGS Chapter 1 ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম Solution/Guide

NCTB Class 8 BGS Chapter 1 ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম Solution/Guide

Bangladesh Board Class 8 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 1 ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম. Solution for Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের প্রথম অধ্যায় ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 8 Chapter 1 ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 8
Subject BGS
Chapter প্রথম
Chapter Name ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম

ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 8 BGS Chapter 1 ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম Solution/Guide

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন কে ?

(ক) নবাব সিরাজউদ্দৌলা

(খ) ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ

(গ) নবাব আলীবর্দি খা

(ঘ) ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজি

উত্তর :

(ঘ) ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজি

(২) শশাঙ্কের মৃত্যুর পর একশত বছরকে মাৎস্যন্যায়ের যুগ বলা হয়। কারণ তখন-

(i) দেশে সর্বত্র বিশৃঙ্খলা বিরাজ করত ।

(ii) বড়মাছ ছোট ছোট মাছকে ধরে খেয়ে ফেলত।

(iii) শাসকবর্গ সুশাসনে অক্ষম ছিল।

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i ii

(খ) i iii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(খ) i ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

আশার দাদু তাকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা প্রসংগে বললেন যে, বাংলার নবাবকে শাসন কাজের জবাবদিহি করতে হতো। তাকে এ কাজে অর্থের জন্য অন্য একটি কর্তৃপক্ষের মুখাপেক্ষী থাকতে হতো ।

(৩) আশার দাদুর বর্ণিত ঘটনায় কোন শাসনের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে ?

(ক) নবাব শাসন

(খ) সুবাদার শাসন

(গ) দ্বৈত শাসন

(ঘ) ইংরেজ শাসন

উত্তর :

(গ) দ্বৈত শাসন

(8) বর্ণিত ঘটনার ফলে –

(i) দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটে ।

(ii) জনগণ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

(iii) জনগণের মধ্যে বিদ্রোহী মনোভাব জেগে উঠে।

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i

(খ) ii

(গ) iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) নবীনপুর শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকার ফলে এলাকাবাসী সবক্ষেত্রে অনগ্রসর ছিল। উক্ত এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী ও সম্পদশালী এক ব্যক্তির উদ্যোগে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ধীরে ধীরে এলাকার মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো প্রজ্জ্বলিত হয়। কয়েক বছরের ব্যবধানে উক্ত এলাকার মানুষ সমাজ সচেতন হয়ে উঠে। এলাকার শিক্ষিত উন্নয়নকর্মী রায়হানা নারীশিক্ষা, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করে তোলেন।

(ক) ভারতে প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন কে ?

উত্তর : ব্রিটিশ সরকারের শাসন প্রতিষ্ঠার পর ভারতের প্রথম ভাইসরয় হিসেবে নিযুক্ত হন লর্ড ক্যানিং। ১৮৫৮ সালের ২রা আগস্ট ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন পাশের মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির থেকে ভারতের শাসন ভার নিজেদের হাতে  তুলে নেয়।

(খ) বাংলা ১১৭৬ সনে এ দেশে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় কেন ?

উত্তর : ইংরেজ কোম্পানির কর্তা রবার্ট ক্লাইভ ১৭৬৫ সালে দিল্লির মোঘল সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন এবং এরপরে তিনি বাংলার ক্লাইভ বাংলার নবাবকে বৃত্তভোগীতে পরিণত করে। এরফলে নবাব রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত থাকেন এবং কোম্পানির থেকে মাসিক একটি বৃত্তিলাভ করেন। এই ভাবে বাংলায় দ্বৈতশাসন পদ্ধতি চালু হয় এর ফলে বাংলার মানুষেদের শুরু হয় চরম দুর্ভোগের। কারণ ইংরেজরা রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা অর্জন করার পর বাংলার মানুষদের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে ছিল এর ফলে বাংলার মানুষের দুর্ভোগ চরমসীমা অতিক্রম করে। এই সময় বাংলার মানুষ ইংরেজদের অতিরিক্ত কর আদায়ের জন্য পড়েন চরম দারিদ্রতার মুখে। কর দিতে গিয়ে বাংলার মানুষের ভিটে-মাটি, গবাদিপশু সব কিছুই চলে যায় ইংরেজদের হাতে।  এই ভাবে ক্রমাগত অত্যাচারের থেকে দেখা দিয়েছিলো চরম দুর্ভিক্ষের। বাংলার মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যায়। চারিদিকে দেখা দেয় খাদ্যের অভাব। এই দুর্ভিক্ষের জন্য বাংলার প্রায় একতৃতীয়াংশ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। এই কারণে বাংলার দ্বৈতশাসনকেই এই দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী করা হয়। এবং বাংলার এই দুর্ভিক্ষের নাম দেওয়া হয় ছিয়াত্তরের মন্বন্তর।

(গ) উদ্দীপকে বর্ণিত পরিস্থিতির মতো ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলায় কীসের উদ্ভব ঘটেছিল? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : উদ্দীপকের বর্ণিত পরিস্থিতির মতো ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলায় বিভিন্ন কলেজ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি চালু করা হয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো ইংরেজদের সুবিধার জন্য এবং বাংলার মানুষকে বিদ্রোহের থেকে বিরত রাখার জন্য তৈরী করা হলেও তা বাংলার মানুষকে অনেক বেশি শিক্ষিত ও সচেতন হতে সাহার্য্য করেছিল। এই সময় বাংলায় তৈরী হয়েছিল এক শিক্ষিত সমাজ। এই শিক্ষিত সমাজের নেতৃত্ব ছিল রাজারামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, প্রফুল্লচন্দ্র ইত্যাদি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে। এই সময় বাংলার এই শিক্ষিত সমাজের প্রচেষ্টায় এবং কিছু ইংরেজ কর্তাদেড় সাহার্য্যে বাংলার বিভিন্ন কুসংস্কার যেমন সতীদাহ প্রথা, বাল্যবিবাহ ইত্যাদি বন্ধ করা সম্ভব হয় এবং বিধবা বিবাহের মতো সামাজিক কর্মসূচি শুরু করা হয়। এই সময় বাংলার ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছতে শুরু করে। বাংলার নারীদেরকে শিক্ষিত করার জন্য শুরু হয় বিভিন্ন প্রচেষ্ট্রা। বহুস্থানে তৈরী করা হয় মহিলাবিদ্যালয়। এই ভাবে বাংলার সমাজের শিক্ষিতকরণের মাধ্যমে বাংলার মানুষ হয়ে উঠেছিল অনেক বেশি সচেতন, স্বাধীনতা আগ্রহী। এর ফলে বাংলার মানুষ ইংরেজদের বিভিন্ন অনৈতিক ও বাংলা বিরোধী কাজের বিরোধিতা করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে বাংলার মানুষ হয়ে উঠেছিল অনেক বেশি সমাজ সতেচন এবং আত্মবিশ্বাসী।

(ঘ) রায়হানার মতো উন্নয়নকর্মীদের উদ্যোগের ফলই ভারতের স্বাধীনতার পথ সুগম করে‘- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।

উত্তর : এই উক্তিটি যথার্তই সত্য বাংলা সহ সমগ্র ভারতের বিভিন্ন উন্নয়নকর্মীদের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলেই ভারতের স্বাধীনতার পথ প্রশস্থ হয়েছিল। ঊইনবিংশ শতাব্দীতে সমগ্র ভারতে শিক্ষার জোয়ার এসেছিলো এবং সূচনা হয়েছিল এক নব্য ভারতের। এই নব্য ভারতের যুব সমাজ শিক্ষিত হওয়ার কারণে হয়ে উঠেছিল অনেক বেশি সচেতন। এই সময় সমগ্র ভারতে বিভিন্ন উন্নয়নকর্মীদের উদ্যোগে ভারতবাসী নিজেদের স্বাধীনতা সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হয়ে  উঠতে থাকে। এই উন্নয়ন কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ভারতের নিরক্ষর মানুষেরা শিক্ষার আলো দেখতে পায়। এই উয়ন্নয়ন কর্মীদের প্রচেষ্টার ফলে অবসান ঘটেছিলো ভারতের বিভিন্ন কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোড়ামির। সাধারণ মানুষ মুক্তি পেয়েছিলো সমাজের অত্যাচারের থেকে। কেউ উন্নয়নকর্মীদের মধ্যে অনেক মহান ব্যক্তি সামাজিক উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষকে ব্রিটিশদের পরাধীনতার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করেছিল এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ রোপন করে ছিল। সমগ্র ভারতে শুরু হয়েছিল ইংরেজদের বিভিন্ন জনবিদ্বেষী মূলক কাজের বিরোধিতা। এই নেতা- কর্মীরাই ভিত্তি স্থাপন করেছিল ভারতের স্বধীনতা সংগ্রামের। এই উন্নয়নকর্মীদর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং ব্রিটিশ বিরোধী কাজ কর্ম ভারতের মানুষকে দিয়েছিলো মনোবল এবং আত্মবিশ্বাস যা ভারতের স্বাধীনতার পথ সুগম করতে সাহার্য্য করেছিল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *