NCTB Class 6 BGS Chapter 1 বাংলাদেশের ইতিহাস Solution/Guide
Bangladesh Board Class 6 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 1 বাংলাদেশের ইতিহাস Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের প্রথম অধ্যায় বাংলাদেশের ইতিহাস অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 6 Chapter 1 বাংলাদেশের ইতিহাস :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 6 |
Subject | BGS |
Chapter | 1 |
Chapter Name | বাংলাদেশের ইতিহাস |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) কোন তারিখে বিজয়দিবস পালিত হয়?
(ক) ২১শে ফেব্রুয়ারি
(খ) ২৬শে মার্চ
(গ) ১৭ই এপ্রিল
(ঘ) ১৬ই ডিসেম্বর
উত্তর :
(ঘ) ১৬ই ডিসেম্বর
(২) প্রাচীন বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের কারণ কী?
(ক) অত্যন্ত কর্মঠ জনগণ
(খ) উন্নত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
(গ) অধিক উৎপাদনশীল কৃষি ও শিল্প
(ঘ) অত্যাধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থা
উত্তর :
(ক) অত্যন্ত কর্মঠ জনগণ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও-
তথ্য – ১: নরসিংদীতে মাটি খনন করে পাথর ও কাঠের তৈরি হাত কুঠার, বাটালি, তীরের ফলা পাওয়া গেছে।
তথ্য-২ : ঢাকার একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সভ্যতার নিদর্শন দেখার জন্য বগুড় ও নরসিংদীতে শিক্ষা সফরে যায় ।
(৩) তথ্য -১ কোন যুগকে নির্দেশ করে?
(ক) মধ্যযুগ
(খ) আধুনিক যুগ
(গ) তাম্র প্রস্তর যুগ
(ঘ) প্রাগৈতিহাসিক যুগ
উত্তর :
(ঘ) প্রাগৈতিহাসিক যুগ
(8) তথ্য-১ ও ২ এর স্থানে শিক্ষার্থীরা পর্যবেক্ষণ করবে-
(i) পুণ্ড্রনগরের লিপি
(ii) নানারকম প্রাচীন হাতিয়ার
(iii) বিদেশে রপ্তানিকৃত শস্যভাণ্ডার
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ক) i ও ii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
তথ্য – ১
প্রধান ফসল ধান।
প্রচুর ধান উৎপাদন।
রপ্তানিকৃত দ্রব্য চিংড়ি ও ব্যাঙ ।
তথ্য – ২
আকাশপথে আমেরিকায় তৈরি পোশাক রপ্তানি।
পাটজাত দ্রব্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।
(ক) কোন সম্রাট ৫০টি বৌদ্ধবিহার নির্মাণ করেন?
উত্তর : সম্রাট ধর্মপাল ৫০টি বৌদ্ধবিহার নির্মাণ করেছিলেন। বাংলাদেশের স্থাপত্য শিল্পে পাল রাজবংশ এক বিশেষ ভূমিকা রাখে। পালরাজবংশ শিল্প, সংষ্কৃতি ও স্থাপত্যে প্রচুর নিদর্শন রেখেছেন।
(খ) ‘টোল‘ বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : টোল বলতে বোঝানো হয় কোনো কিছুর নেওয়ার পরিবর্তে অন্য কিহু দেওয়া। প্রাচীন কালে যখন টাকা বা মুদ্রার প্রচলন ছিল না তখন এই পদ্ধতি অবলম্বন করে পস্পরের মধ্যে জিনিসের আদান প্রদান করা হতো। যেমন – চালের বদলে মাটির পাত্র বা অলংকারের বদলে ধান ইত্যাদি।
(গ) তথ্য-১ এর মতো প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরবময় ক্ষেত্রটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরবময় ক্ষেত্র ছিল সমাজ, অর্থনীতি ও ধর্ম। বাংলাদেশে প্রাচীন যুগের অর্থনীতি ছিল সমৃদ্ধ এবং বিকশিত। প্রাচীন বাংলাদেশ ছিল কুটির শিল্প, বাবসা-বাণিজ্য ইত্যাদির দিক থেকে উন্নত। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, ধাতবপত্র, পোড়ামাটির ভাস্কর্য, বিভিন্ন অলংকার তৈরিতে নিপুন। এই দ্রব্য বাংলাদেশ থেকে নদী পথে আশেপাশের দেশে ও বিদেশে রপ্তানি করা হতো। বাংলাদেশের তাঁত শিল্পীদের তৈরি করা মসলিন কাপড় এবং সুতি বস্ত্র ছিল বিশ্বের দরবারে সমাদৃত। এই সময় বাংলাদেশের কৃষিকাজও ছিল বেশ উন্নত। প্রাচীনকালে বাংলাদেশের মাটিতে উৎপন্ন ধান, আখ, তুলা, সরিষা, সুপারি, কাঁঠাল, কলা, ডুমুর ইত্যাদি। বাংলাদেশের চিনি ও গুড় বিভিন্ন দেশ ও বিদেশে রপ্তানি করা হতো। আখ, সরিষা, ও পান চাষে বাংলাদেশের বিশেষ খ্যাতি ছিল। বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ তাই নদীপথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল বেশ উন্নত। এই সবের সাথে সাথে প্রাচীন বাংলাদেশে ধর্মমত ও সম্প্রচারও ছিল বেশ প্রসিদ্ধ। প্রাচীন কাল থেকেই বাংলাদেশের লোকেরা বিভিন্ন দেবদেবী, নদী, পাহাড়, সূর্য, চন্দ্র ইত্যাদির পূজাঅর্চনা করতো। প্রাচীন বাংলাদেশে ব্রহ্মণ্য, জৈন, বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্মের নিদর্শন পাওয়া যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির সহ বিভিন্ন ধর্মীয়পীঠের নিদর্শন পাওয়া যায়। এই সব দিক থেকে বিচার করে দেখা যায় যে বাংলাদেশ প্রাচীনকালে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষিকাজের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল তেমনি আবার ধর্মীয় সম্প্রচারের কেন্দ্রও ছিল।
(ঘ) তথ্য-২ এ উল্লিখিত বিষয়গুলো প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ-মতামত দাও।
উত্তর : তথ্য-২ উল্লিখিত বিষয় গুলি প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরবের সঙ্গে সম্পূর্ণ ভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ। প্রদপ্ত তথ্যের মতোই প্রাচীন বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভূত উন্নত ছিল। প্রাচীন বাংলাদেশের তাঁত শিল্পীরা সুতি কাপড় ও রেশমি কাপড় প্রস্তুত করতে বিশেষ ভাবে পারদর্শী ছিল। এই শিল্পীদের বোনা একধরণের বিশেষ কাপড় মসলিন বিশ্ব প্রসিদ্ধ ছিল। নদী মধ্যে দেশ বিদেশে বাংলাদেশের শিল্পীদের তৈরি করা কাপড় রপ্তানি করা হতো এবং এই কাপড়ের চাহিদাও ব্যাপক। অপরদিকে, বাংলাদেশের মাটিতে ফলত ধান, আখ, তুলা, সরিষা, পান, ডুমুর, কলা, সুপারি, নারিকেল ইত্যাদি চাষে ও উৎপাদনে অগ্রগণ্য ছিল। এই সব ফসলের মধ্যে সরিষা, পান ও উৎকৃষ্টমানের তুলা উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশের বিশ্বজোড়া খ্যাতি ছিল। আখ থেকে উৎপাদিত চিনি ও গুড় বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে ও বিদেশে রপ্তানি করা হতো। এছাড়া বাংলাদেশের মৃৎশিল্পীদের তৈরী করা মাটি ও ধাতুর বিভিন্ন ভাস্কর্য এবং মূলবান ধাতুর তৈরী অলংকার, মুদ্রাও ছিল প্ৰশংসিত। তাই বলা যায় যে প্রাচীন বাংলাদেশের শিল্প, ভাস্কর্য, ব্যবসা-বাণিজ্য উল্লিখিত তথ্যের সঙ্গে সাদৃশ্য পূর্ণ হয়েছে।
(২) আধুনিক ইতালির জনক ছিলেন কাউন্ট ক্যাভুর। ইতালির স্বাধীনতা ও ঐক্য অর্জনে তাঁর দান ছিল সর্বাধিক। অন্যদিকে যোসেফ মাৎসিনি ইতালির যুবশক্তিকে সংঘবদ্ধ করেন। যুব সমাজ অত্যাচার, অবিচার, কারাবাস প্রভৃতির ভয়ভীতি না করে দলে দলে তাঁর সংঘে যোগ দেয়। তাঁর নেতৃত্বে ইতালির জনগণের মধ্যে এক ব্যাপক জাগরণের সৃষ্টি হয়।
(ক) পূর্ব-পাকিস্তান ও পশ্চিম-পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব কত মাইল?
উত্তর : পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব ছিল প্রায় ১ হাজার মাইল। তৎকালীন পাকিস্তান দেশের একটি অংশ ছিল আজকের বাংলাদেশ যা পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। এই পশ্চিম পাকস্থান এবং পূর্ব পাকিস্তান এর মাঝে ছিল ভারত দেশ। ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার সময় ভারত থেকে আলাদা হয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান দেশের উৎপত্তি হয়েছে। পরবর্তীকালে পশ্চিম পাকিস্তানের অত্যাচার ও স্বৈরাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পূর্ব পাকিস্তান বিদ্রোহ ঘোষণা করলে ১৯৭১ সালে আজকের বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল।
(খ) পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৯৪৭ সালে ভারত ব্রিটিশদের থেকে নিজেদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে নেওয়ার সময় মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ পাকিস্তান দেশের উৎপত্তি হয়েছিল। এই পাকিস্তানের সেই সময় দুটো অংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান। পশ্চিম পাকিস্তান সমগ্র পাকিস্তানের কেন্দ্র ছিল অর্থাৎ প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, বৈদেশিক সব কর্মকান্ড হতো পশ্চিম পাকিস্তানে। পাকিস্তানের সকল প্রশাসনিক ক্ষমতা ছিল অবাঙ্গালী শাসকদের হাতে এই কারণে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ বাঙালি জনগণের চলতো শোষণ, অত্যাচার ও নিপীড়ন। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা ধীরে ধীরে পূর্ব পাকিস্থানের বাংলীদের ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতিতে দুরাবস্থার সৃষ্টি করে। বাংলীদের সংস্কৃতির রটাতে শুরু করে কুৎসা। বাংলাভাষাকে ধ্বংস করার প্রয়াস শুরু হয়। এর ফলস্বরূপ বাংলাদেশের সকল জনসাধারণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এবং জ্বলতে শুরু করে বিদ্রোহের আগুন। অবশেষ ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ শুরুই হয় বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধ।
(গ) কাউন্ট ক্যাভুরের মধ্যে কোন মহান নেতার প্রতিচ্ছবি লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কাউন্ট ক্যাভুরের মধ্যে বাংলাদেশের মহান নেতা ও পথপ্রদর্শক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি লক্ষ করা যায়।
(ঘ) মাৎসিনির মতো উক্ত নেতার নেতৃত্বের ফলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল-মূল্যায়ন কর।
উত্তর : কাউন্ট ক্যাভুরের মধ্যে বাংলাদেশের মহান নেতা ও পথপ্রদর্শক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সবথেকে বড়ো প্রেরণা ছিল বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান। তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে রক্ষা করেছিলেন নিরীহ ও অসহায় বাঙ্গালীদের। তিনি মুক্তি যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন সমাজের তরুণ-তরুণীদের। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দ্বারানো এবং নিজের প্রাপ্প অধিকারকে বুঝে নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়াই ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ। ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সখাগরিষ্ঠতা দিয়ে জয়ী করেছিল সাধারণ মানুষ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষক সহ যুবসমাজ সবাই মিলিত ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের বীর ও মহান নেতাদের নেতৃত্ত্বে অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। তাই ইতালির কাউন্ট ক ক্যাভুরের মধ্যে বাংলাদেশের মহান নেতা মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু ছাড়া আরো কয়েকজন মহান মুক্তিযদ্ধা ও নেতা হলেন মোস্তফা কামাল, হামিদুর রহমান, মুন্সি আবদুর রউফ, রুহুল আমিন ইত্যাদি।
More Solutions :
(৩) বিশ্ব ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ
(৪) বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিচিতি
(৮) বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক
(১১) বাংলাদেশে শিশুর বেড়ে ওঠা ও প্রতিবন্ধকতা