NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 6 পরমাণুর গঠন Solution

NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 6 পরমাণুর গঠন Solution

Bangladesh Board Class 8 Science Solution Chapter 6 পরমাণুর গঠন Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায় পরমাণুর গঠন অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 8 Chapter 6 পরমাণুর গঠন : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 8
Subject Science
Chapter Six 
Chapter Name পরমাণুর গঠন

পরমাণুর গঠন অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 6 পরমাণুর গঠন Solution

শূন্যস্থান পূরণ কর :

(১) ___ এর মতবাদে পরমাণু ___ অবিভাজ্য।

(২) পরমাণুর ভরের প্রায় পুরোটাই ___ থাকে।

(৩) পরমাণুর বেশিরভাগ জায়গা ___

(৪) পরমাণুতে ___ সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা বলে।

(৫) একটি মৌলের বিভিন্ন আইসোটোপের প্রোটনের সংখ্যা ___

উত্তর :

(১) ডেমোক্রিটাস এর মতবাদে পরমাণু কণা অবিভাজ্য।

(২) পরমাণুর ভরের প্রায় পুরোটাই নিউক্লিয়াসে অর্থাৎ নিউট্রন ও প্রোটোনে থাকে।

(৩) পরমাণুর বেশিরভাগ জায়গা ফাঁকা

(৪) পরমাণুতে প্রোটনের সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা বলে।

(৫) একটি মৌলের বিভিন্ন আইসোটোপের প্রোটনের সংখ্যা বিভিন্ন হয়

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :

(১) একটি পরমাণুতে কোথায় কোথায় ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন থাকে তা চিত্র এঁকে দেখাও ও বর্ণনা করো ।

উত্তর : আমাদের বিশ্বের সকল বস্তূ বা পদার্থ অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দিয়ে গঠিত। পদার্থের এই ক্ষুদ্রতম কণাকে পরমাণু বলে। পরমাণুকে বা বিভাজ্য করলে আবার পরমাণুর থেকেও ক্ষুদ্র তিনটি কণা পাওয়া যায়। এগুলি হলো নিউট্রন, প্রোটন এবং ইলেক্ট্রন। পরমাণু এই তিনটি কণার সমন্বয়ে তৈরী হয়েছে। পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াসের কেন্দ্রে রয়েছে নিউট্রন এবং প্রোটন। আর এই নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরছে ইলেক্ট্রন। একটি পরমাণুর প্রোটন কণাটি সবসময় ধনাত্বক আধান যুক্ত হয়, নিউট্রন কণাটি নিরপেক্ষ আধান যুক্ত হয় এবং ইলেক্ট্রন কণা সবসময় ঋনাত্বক আধানযুক্ত হয় এবং নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমা করে। একটি পরমাণুর প্রথম কক্ষপথ সর্বোচ্চ ২টি ইলেক্ট্রন থাকতে পারে, পরমাণুর দ্বিতীয় কক্ষপথে সর্বোচ্চ  ৮টি ইলেক্ট্রন থাকতে পারে এবং পরমাণুর তৃতীয় কক্ষপথে সর্বোচ্চ ১৮টি ইলেক্ট্রন থাকতে পারে। পরমাণুর ইলেক্ট্রন কণাগুলির কোনো ভর থাকে না তাই একটি পরমাণুর ভর তার প্রোটন এবং নিউট্রন কনার উপর নির্ভর করে।

(৩) চিকিৎসা ও কৃষিক্ষেত্রে আইসোটোপের ব্যবহার আলোচনা করো ।

উত্তর : যে সকল মৌলের পরমাণুর প্রোটন বা পারমাণবিক সংখ্যা সমান কিন্তু পরমাণুর ভর সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে ওই মৌলের আইসোটোপ বলে। সাধারণ ভাবে পরমাণুর আইসোটোপ অস্থায়ী প্রকৃতির হয়। তাই আইসোটোপ থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরিত হয়। আইসোটোপের এই তেজস্ক্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আইসোটোপকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাবস্থার করা হয়। যেমন চিকিৎসা ক্ষেত্রে এবং কৃষি ক্ষেত্রে।

চিকিৎসাক্ষেত্রে আইসোটোপের ব্যবহার : 

(১) মানুষের দেহের বিভিন্ন রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করতে এবং রোগের নিরাময়ের জন্য আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।

(২) দেহের কোনো সূক্ষ্ম বা ক্ষুদ্র রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হলে আইসোটোপের তেজস্ক্রিয় বিকিরণের  সাহার্য্যে তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে ফলে বর্তমানে মানবদেহে সুক্ষ ও জটিল চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছে।

(৩) মানব দেহের মারণ রোগসৃষ্টিকারী ক্যান্সার কোষকে সনাক্ত করতে এবং সেই ক্ষতিকারক কোষকে ধংস করতে আইসোপটোপের তেজস্ক্রিয় রশ্মির বিকিরণ ব্যবহার করা হয়।

(৪) মানব দেহের চিকিৎসার জন্য ব্যাবহৃত বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জমকে সম্পূর্ণভাবে জীবাণু মুক্ত করতে আইসোটোপের তেজস্ক্রিয় রশ্মির ব্যবহার করা হয়।

কৃষিক্ষেত্রে আইসোটোকিত্ পের ব্যবহার : 

(১) বর্তমানে কৃষিজমিতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গকে ধ্বংস করতে আইসোটোপের তেজস্ক্রিয়রশ্মি ব্যাবস্থা করা হয়।

(২) কৃষি জমিতে কোন সময়ে কি পরিমান সার ব্যবহার করতে হবে তা জানার জন্যও বর্তমানে আইসোটোপের তেজস্ক্রিয় বিকিরণের সাহার্য্য নেওয়া হয়ে থাকে।

(৩) জমিতে উৎপাদিত ফসলকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে এবং ফসলকে কীটপতঙ্গের থেকে  রক্ষা করতে আইসোটোপের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করা হয়।

(৪) পরমাণু কেন আয়নে পরিণত হয় তা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর : পরমাণুতে একাধিকবার ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জন করালে পরমাণুটি আয়নে পরিণত হয়। পরমাণুর মধ্যে ইলেক্ট্রন ও প্রোটনের সংখ্যা সবসময় সমান থাকে। এবং এই পরিস্থিতির জন্য একটি পরমাণুর চার্জও নিরপেক্ষ থাকে। কিন্তু যখন কোনো পরমাণুতে পর্যায়ক্রমিক ভাবে এই ইলেক্ট্রন ও প্রোটনের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয় তখন এই ক্রমবর্ধমান হ্রাসবৃদ্ধির ফলে পরমাণুটি আয়নে পরিণত হয়ে যায়। এই সময় পরমাণুটিকে বারবার ইলেক্ট্রন গ্রহণ ও বর্জন করতে হয়।

(৫) ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন কীভাবে তৈরি হয় তা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : কোনো পরমাণু যখন আয়নে রূপান্তরিত হওয়ার সময় এক বা একাধিক ইলেক্ট্রন বর্জন বা অপসারণ করে আয়নে পরিণত হয় তখন তাকে ক্যাটায়ন বলে। আবার যখন পরমাণু এই একই  পক্রিয় করার সময় এক বা একাধিক ইপলেক্ট্রন গ্রহণ করে আয়নে পরিণত হয় তখন তাকে অ্যানায়ন বলে। অর্থাৎ পরমাণু ইলেক্ট্রন বর্জন করে আয়নে পরিণত হলে তা ক্যাটায়ন এবং ইলেক্ট্রন গ্রহণের মধ্যে আয়নে পরিণত হলে তাকে অ্যানায়ন বলে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) একটি পরমাণুর দ্বিতীয় কক্ষপথে সর্বোচ্চ কয়টি ইলেকট্রন থাকে?

(ক) ২

(খ) ৮

(গ) ১৮

(ঘ) ৩২

উত্তর :

(খ) ৮

(২) রাদারফোর্ডের পরীক্ষণ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় যে-

(i) পরমাণু অবিভাজ্য

(ii) পরমাণুকে ভাঙ্গা যায়

(iii) পরমাণুর বেশিরভাগ অংশই ফাঁকা

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) ii

(খ) iii

(গ) i iii

(ঘ) ii iii

উত্তর :

(গ) i ও iii

নিচের বাক্যটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

কোনো মৌলের একটি পরমাণুতে ১০টি প্রোটন ও ৮টি নিউট্রন রয়েছে।

(৩) পরমাণুটির ভরসংখ্যা কত?

(ক) ১০

(খ) ১৬

(গ) ১৮

(ঘ) ২৬

উত্তর :

(গ) ১৮

(৪) উদ্দীপকের মৌলটি কী?

(ক) অক্সিজেন

(খ) সালফার

(গ) সোডিয়াম

(ঘ) নিয়ন

উত্তর :

(ঘ) নিয়ন

সৃজনশীল প্রশ্ন :

 (১) X পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা ১১। অন্যদিকে Y পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা ১৭ এবং নিউট্রন সংখ্যা ১৮।

(ক) কার্বনের আইসোটোপ কয়টি?

উত্তর : কার্বনের আইসোটপের সংখ্যা ৩টি। কারণ কার্বনের বেশির ভাগ পরমাণুতে ৬টি প্রোটন থাকে এবং তাই এর নিউট্রনের সংখ্যাও ৬টি। কিন্তু কার্বনের কিছু পরমাণুতে ৭টি বা ৮টি  নিউট্রনও লক্ষ করা যায়। ফলে কার্বনের আউসোটোপের সংখ্যা হয়েছে ৩টি।

(খ) ক্যাটায়ন বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর : পরমাণু ইলেক্ট্রন বর্জন করে আয়নে পরিণত হলে তাকে ক্যাটায়ন বলে। এই পক্রিয়ায় কোনো পদার্থের পরমাণু তার শক্তিস্তরে এক বা একাধিক ইলেক্ট্রনকে বর্জন বা অপসারণের মধ্যে দিয়ে আয়নে পরিণত হয়।

(গ) Y পরমাণুর ভরসংখ্যা কত ?

উত্তর : যেহেতু, Y পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা ১৭ এবং নিউট্রন সংখ্যা ১৮ তাই Y পরমাণুর ভরসংখ্যা হবে ৩৫। কারণ পরমাণুর ভরসংখ্যা সবসময় পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা + পরমাণুর নিউট্রন সংখ্যা হয়। আর পরমাণুর পারমানবিক সংখ্যাই ওই পরমাণুর প্রোটন সংখ্যাকে বলে। তাই প্রদপ্ত Y পরমাণুটির প্রোটন সংখ্যা ১৭ এবং নিউট্রন সংখ্যা ১৮ তাই Y পরমাণু ভরসংখ্যা হবে নিউট্রন ও  প্রোটনের মিলিত যোগফল অর্থাৎ ৩৫।

(ঘ) X Y পরমাণুর ইলেকট্রনবিন্যাস প্রদর্শনপূর্বক এদের কখন তৈরি করার সক্ষমতা ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর :

(২)  (ক) এটম শব্দের অর্থ কী ?

উত্তর : এটম শব্দের অর্থ হলো অবিভাজ্য। এই এটম শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ এটোমোস থেকে নেওয়া আর এটোমোস শব্দের অর্থ হলো অবিভাজ্য। গ্রিক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ অব্দে এই শব্দটি ব্যবহার হয়েছিল।

(খ) অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা ৮ বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর : অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা ৮ বলতে আমরা অক্সিজেনের পরমাণুর ভরসংখ্যা, নিউট্রন ও প্রোটনের সংখ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারি। যেমন অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা ৮ তাই অক্সিজেনের পরমাণুর মধ্যে ৮ টি নিউট্রন ও ৮টি প্রোটন কণা থাকবে। আর কোনো পরমাণুর ভরসংখ্যা যেহেতু ওই পরমাণুর নিউট্রন ও প্রোটন কণার মিলিত যোগফলকে বলে তাই অক্সিজেন পরমাণুর সংখ্যা হবে ১৬। এখন যেহেতু আমরা অক্সিজেনের ভরসংখ্যা ও প্রোটনের সংখ্যা জানতে পেরেছি তাই এখন আমরা অক্সিজেনের নিউট্রন সংখ্যাও জানতে পারবো। কারণ কোন পরমাণুর ভরসংখ্যা থেকে প্রোটনের সংখ্যা বাদ দিলেই আমরা নিউট্রনের সংখ্যা জানতে পারি। তাই অক্সিজেনের নিউট্রনের সংখ্যা হবে =  ১৬ – ৮ =  ৮ অর্থাৎ অক্সিজেনের নিউট্রন সংখ্যা হবে ৮। অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা থেকে আমরা অক্সিজেন পরমাণুর প্রোটন, নিউট্রন, ভরসংখ্যা জানতে পারি।

(ঘ) ১ ও ২ নং চিত্রের পরমাণুর পারমাণবিক গঠনের তুলনামূলক আলোচনা করো।

উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রের মধ্যে পরমাণুর ভর সংখ্যা, ইলেক্ট্রন সংখ্যা, প্রোটন সংখ্যা, নিউট্রনের সংখ্যা, এবং এর সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় ধর্মের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষতি হবে। কারণ প্রদপ্ত চিত্রে স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে যে দুটি পরমাণুর মধ্যে ইলেক্ট্রনের সংখ্যা ভিন্ন। চিত্র ১ পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা ইলেক্ট্রনের সংখ্যা অনেক বেশি।

 

More Solutions :  
Updated: October 19, 2023 — 2:41 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *