NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 2 জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি Solution
Bangladesh Board Class 8 Science Solution Chapter 2 জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 8 Chapter 2 জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 8 |
Subject | Science |
Chapter | 2 |
Chapter Name | জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি |
জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
শূন্যস্থান পূরণ কর :
(১) ___ ধাপে ক্রোমোজোম ক্রোমাটিড সহ বিষুবীয় অঞ্চলে অবস্থান নেয়।
(২) ক্রোমোজোম সংখ্যা হ্রাস পায় ___ বিভাজনে।
(৩) অ্যামিবায় ___ বিভাজন দেখা যায়।
(৪) জীবের দেহকোষে ক্রোমোজোমের প্রকৃতি ___
(৫) নিউক্লিয়াস বিভাজন পদ্ধতিকে ___ বলে।
উত্তর :
(১) মেটাফেজ ধাপে ক্রোমোজোম ক্রোমাটিড সহ বিষুবীয় অঞ্চলে অবস্থান নেয়।
(২) ক্রোমোজোম সংখ্যা হ্রাস পায় মিয়োসিস বিভাজনে।
(৩) অ্যামিবায় অ্যামাইটোসিস বিভাজন দেখা যায়।
(৪) জীবের দেহকোষে ক্রোমোজোমের প্রকৃতি ডিপ্লয়েড ।
(৫) নিউক্লিয়াস বিভাজন পদ্ধতিকে কোষ বিভাজন বলে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) মাইটোসিস বিভাজনের কোন ধাপে ক্রোমোজোমগুলো সর্বাধিক খাটো ও মোটা হয় ?
(ক) প্রোফেজ
(খ) প্রো-মেটাফেজ
(গ) মেটাফেজ
(ঘ) অ্যানাফেজ
উত্তর :
(গ) মেটাফেজ
(২) মানুষের চোখের রং নিয়ন্ত্রণ করে কোনটি?
(ক) DNA
(গ) নিউক্লিওলাস
(খ) RNA
(ঘ) সেন্ট্রোমিয়ার
উত্তর :
(ক) DNA
নিচের অংশটুকু পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
সাফওয়ান অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পিঁয়াজের মূলের কোষ পর্যবেক্ষণ করছিল। সে কোষ বিভাজনের একটি দশায় কোষের নিউক্লিয়াসে কোনো আবরণী ও নিউক্লিওলাস দেখতে পেল না, তবে ক্রোমোজোমগুলো কোষের ঠিক মাঝ বরাবর অবস্থান করতে দেখল।
(৩) সাফওয়ান কোষ বিভাজনের কোন দশাটি পর্যবেক্ষণ করেছিল ?
(ক) প্রোফেজ
(খ) প্রো-মেটাফেজ
(গ) মেটাফেজ
(ঘ) অ্যানাফেজ
উত্তর :
(গ) মেটাফেজ
(৪) সাফওয়ান এর পর্যবেক্ষণকৃত দশাটির পরবর্তী দশায় –
(i) ক্রোমোজোমগুলো সেন্ট্রোমিয়ার থেকে বিচ্ছিন্ন হবে
(ii) ক্রোমাটিডগুলো পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে
(iii) সেন্ট্রোমিয়ার দুভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) ফারাবী স্যার বিজ্ঞান ক্লাসে কোষ বিভাজন সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। তিনি বললেন, কোষ বিভাজনের একটি বিশেষ ধাপে নিউক্লিয়াসে অবস্থিত সুতার মতো অংশের সেন্ট্রোমিয়ার দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। ফলে বিভাজিত কোষে এর সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।
(ক) কোন ধরনের কোষ বিভাজনে জননকোষ উৎপন্ন হয় ?
উত্তর : মিয়োসিস কোষ বিভাজনের সময় জনন কোষ উৎপন্ন হয়। তাই উদ্ভিদ বা জীবদেহে মিয়োসিস পদ্ধতিতে কোষের বিভাজন ঘটলে জনন কোষ সৃষ্টি হয়।
(খ) অ্যামাইটোসিস বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : জীবের কোষ বিভাজনের একটি পক্রিয়া হলো অ্যামাইটোসিস। মূলত ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ইস্ট ও অ্যামিবা জাতীয় এককোষী জীবদেহে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন পক্রিয়া সংগঠিত হয়। অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনের সময় কোষের নিউক্লিয়াসটি ডাম্বেলের আকার ধারণ করে অর্থাৎ বলের মতো হয়ে ঠিক মাঝ বরাবর সংকুচিত হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে পরস্পরের থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। এই পক্রিয়ার সময় প্রায় একই সময়ে সাইটোপ্লাজমও একই ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে দুটি কোষে পরিণত হয়। কোষ বিভাজনের এই পক্রিয়ায় মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজওম উভয় সরাসরি বিভক্ত হয় এবং দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে। তাই কোষ বিভাজনের এই প্রক্রিয়াকে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলে।
(২) (ক) মানুষের প্রতিটি দেহকোষে কয়টি ক্রোমোজোম রয়েছে?
উত্তর : মানুষের কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে।
(খ) জিন বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : মাতাপিতার বৈশিষ্ট্য পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বহনকারী কোষকে জীন বলে। মাতাপিতার বৈশিষ্ট্য যে পক্রিয়ায় পরবর্তী প্রজন্মে চালিত বা বাহিত তাকে বংশগতি বলে। আমাদের শরীরে বংশগতির বৈশিষ্ট্য বহনকারী কোষ হলো জীন বা DNA নামের এক নিউক্লিক এসিড। মানব দেহে এই অণুগুলি মাতাপিতার বৈশিষ্ট্যকে সন্তানের মধ্যে বহন করে।
(গ) P কোষ বিভাজনটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : P কোষ বিভাজনটি একটি অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন পক্রিয়ায় বিভাজিত হয়েছে। জীবদেহের কোষের এই বিভাজনটিকে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলা হয়ে থাকে। কোষ বিভাজনের এই পক্রিয়ায় কোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম একই সাথে মাঝ বরাবর সংকুচিত হয়ে দুটি আলাদা আলাদা কোষের সৃষ্টি করে। এই পক্রিয়ার সময় কোষের নিউক্লিয়াস অনেকটা ডাম্বেলের মতো আকার ধারণ করে। এই ধরণের কোষের বিভাজন প্রধানত এককোষী জীবের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় যেমন – ইস্ট, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি।
(ঘ) উন্নত প্রাণীতে P ও Q কোষ বিভাজন দুইটির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করো।
উত্তর :
অ্যামাইটোসিস :
(১) এই ধরণের কোষ বিভাজন শুধুমাত্র এককোষী জীবের মধ্যে দেখা যায়।
(২) এই পক্রিয়ায় কোষ বিভাজনের সময় নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম একই সাথে এবং একই পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়।
(৩) এই বিভাজনের সময় নিউক্লিয়াস অনেকটা ডাম্বেলের আকারের হয়।
(৪) এই বিভাজন একটি নিউক্লিয়াস থেকে দুটি নতুন অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়।
(৫) এই প্রকার বিভাজন দেখা যায় ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট, ছত্রাক ইত্যাদি জীবের দেহে।
মাইটোসিস :
(১) এই বিভাজন পক্রিয়ায় মাতৃ কোষের নিউক্লিয়াসটি পরপর দুবার বিভাজিত হয়।
(২) কোষের এই বিভাজন পক্রিয়ায় ফলে জীবের দেহের আকার ও আয়তন বৃদ্ধি পায়।
(৩) এই পক্রিয়ায় কোষের বিভাজনের সময় মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসটি একই আকৃতির ও সমগুন্ সম্পন্ন এবং সম সংখ্যক ক্রোমোজম বিশিষ্ট দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে।
(৪) এই প্রকারের বিভাজন উদ্ভিদেড় ভাজক টিস্যুর কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
(৫) এই প্রকারের কোষ বিভাজন প্রধানত বহুকোষী উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে সংগঠিত হয়।