NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 1 প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস Solution
Bangladesh Board Class 8 Science Solution Chapter 1 প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের প্রথম অধ্যায় প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 8 |
Subject | Science |
Chapter | 1 |
Chapter Name | প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস |
প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
শূন্যস্থান পূরণ করো :
(১) যকৃৎ কৃমির রেচন অঙ্গ হলো ___
(২) চিংড়ির রক্তপূর্ণ গহ্বরকে ___ বলে।
(৩) ___ পেশিবহুল পা দিয়ে চলাচল করে।
(8) ___ উপপর্বের প্রাণীরা মেরুদণ্ডী ।
(৫) ইউরোকর্ডাটা উপপর্বভুক্ত প্রাণীদের লেজে ___ থাকে।
উত্তর :
(১) যকৃৎ কৃমির রেচন অঙ্গ হলো শিখা অঙ্গ।
(২) চিংড়ির রক্তপূর্ণ গহ্বরকে হিমেসিল বলে।
(৩) স্তন্যপায়ী প্রাণীরা পেশিবহুল পা দিয়ে চলাচল করে।
(8) ভার্টিব্রাটা উপপর্বের প্রাণীরা মেরুদণ্ডী ।
(৫) ইউরোকর্ডাটা উপপর্বভুক্ত প্রাণীদের লেজে নটোকর্ড থাকে।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
(১) কোনো প্রাণীর দ্বিপদ নামে কয়টি অংশ থাকে? এ অংশগুলো কী কী? মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম কী ?
উত্তর :
মানুষের দ্বিপদ নাম দুটি অংশ থাকে। এই অংশ গুলো মানুষকে চলাফেরা করতে সাহার্য্য করে।
মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হলো হোমো সেপিয়েন্স (Homo Sapiens)
(২) তোমার চেনাজানা পাঁচটি আর্থ্রোপোডার নাম লেখ?
উত্তর :
কাঁকড়া, প্রজাপতি, আরশোলা, চিংড়ি, মৌমাছি ইত্যাদি প্রাণী আর্থ্রোপোডার উদাহরণ। আর্থ্রোপোডার পর্বটি প্রাণিজগতের সবচেয়ে বৃহৎ পর্ব। এই পর্বের প্রাণীরা পৃথিবীর সকল পরিবেশে বাস করতে পারে। তাই এই পর্বের প্রাণীদেরকে স্থলভূমিতে, জলাভূমিতে (নদী ও সমুদ্রে) সর্বত্ৰত দেখা যায়।
(৩) চিংড়ি কোন পর্বের প্রাণী? এদের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
উত্তর : চিংড়ি আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর অন্তর্গত। এই প্রাণীগুলি পৃথিবীর সকল পরিবেশে বাস করে। এই প্রাণীদের মধ্যে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট লক্ষ করা যায়। নিম্নে এই পর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করা হলো –
আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট :
(১) এই পর্বের প্রাণীগুলো স্থলভূমি ও জলাভূমি ( স্বাদু ও নোনা জল) সকল পরিবেশে বিদ্যমান থাকে।
(২) আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের মধ্যে পুঞ্জাক্ষি এবং অ্যান্টেনা থাকে।
(৩) এই পর্বের প্রাণীদের দেহটি বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত থাকে এবং এক প্রকারের সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গও দেখা যায়।
(৪) এই শ্রেণীর প্রায় সকল প্রাণীদের দেহ কেরোটিন প্রোটিন নির্মিত একটি শক্ত খোলের দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।
(৫) এই পর্বের প্রাণীদের দেহে একটি রক্তপূর্ণ গহ্বর থাকে একে হিমোসিল বলা হয়।
(৬) কাঁকড়া, চিংড়ি, আরশোলা, মৌমাছি, প্রজাপতি ইত্যাদি প্রাণী আর্থ্রোপোডা পর্বের অন্তর্গত।
(৪) স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।
উত্তর : যে সকল প্রাণী সন্তান প্রসব করে এবং বড়ো হওয়ার জন্য মাতৃদুগ্ধ পান করে তাদের স্তন্যপায়ী প্রাণী বলে। স্তন্যপায়ী প্রাণীর সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ হলো মানুষ। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট আছে যার ফলে এই শ্রেণীর প্রাণীরা পৃথিবীর অন্যান বাকি সব প্রাণীদের থেকে আলাদা করে। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বৈশিষ্ট গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো –
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের উল্লেখ যোগ্য বৈশিষ্ট :
(১) এই শ্রেণীর প্রাণীরা বংশবৃদ্ধির জন্য সন্তান প্রসব করে। অন্য প্রাণীদের মতো ডিম তৈরী করে না।
(২) এই শ্রেণীর প্রায় সকল প্রাণীর দেহ লোমে ঢাকা থাকে।
(৩) স্তন্যপায়ী প্রাণীরা বড়ো হওয়ার জন্য মাতৃদুগ্ধ পান করে।
(৪) এই শ্রেণীর প্রাণীদের খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করে এদের চোয়ালে বিভিন্ন রকমের দাঁতের বৈশিষ্ট লক্ষ করা যায়। যেমন – এই শ্রেণীর যে সকল প্রাণীরা তৃণভোজী এদের দাঁত চ্যাপ্টা আকারের হয় এবং যারা মাংসাশী তাদের দাঁত তীক্ষ্ণ আকারের হয়।
(৫) এই প্রাণীদের শ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়াটি সবথেকে জটিল হয়। এদের শ্বাস যন্ত্রের নাম ফুসফুস।
(৬) এই শ্রেণীর প্রাণীর হৃদপিন্ডটি চারটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত থাকে .
(৭) এই শ্রেণীর প্রাণীদের মধ্যে অনেক বৈচিত্র লক্ষ করা যায়।
(৫) ইউরোকর্ডাটার বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী ?
উত্তর : ইউরোকর্ডাটা একটি উপপর্ব। এই শ্রেণীর প্রাণীদের বৈশিষ্ট গুলো হলো –
(১) এই শ্রেণীর জীবের মধ্যে নটোকর্ড থাকে। কিন্তু শুধু লার্ভা দশাতেই এই শ্রেণীর জীবে নটোকর্ড পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।
(২) এই শ্রেণীর জীবের মধ্যে প্রাথমিক অবস্থায় ফুলকারন্ধ থাকে।
(৩) এই শ্রেণীর জীবের মধ্যে পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরন্ধ থাকে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) কোনটি Mollusca পর্বের প্রাণী?
(ক) কাঁকড়া
(খ) জোঁক
(গ) তারামাছ
(ঘ) ঝিনুক
উত্তর :
(ঘ) ঝিনুক
(২) স্কাইফা ও হাইড্রা উভয়ই-
(i) দ্বিস্তরী
(ii) বহুকোষী
(iii) সুগঠিত তন্ত্রবিহীন
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(গ) ii ও iii
নিচের ছকটি লক্ষ করো এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
(৩) ছকের কোন প্রাণীটি অমেরুদণ্ডী?
(ক) m
(খ) n
(গ) o
(ঘ) p
উত্তর :
(ক) m
(৪) উড়তে পারে—
(i) m ও n প্রাণী
(ii) n ও o প্রাণী
(iii) m ও p প্রাণী
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i
(খ) i ও i
(গ) i ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(গ) i ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(ক) শ্রেণিবিন্যাস কী?
উত্তর : পৃথিবীর বিশাল জীবজগতে রয়েছে জীবের এক বিশাল ভান্ডার। আজপর্যন্ত প্রায় ১৫ লক্ষের বেশি প্রজাতির জীবের পরিচয় পোয়া গিয়েছে এবং এই সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আমাদের পৃথিবীর জীবজগৎ বৈচিত্রময়। আমাদের জীবজগতে একেক জীব একেক রকমের বৈশিষ্ঠতায় পরিপূর্ণ। তাই বিজ্ঞানীরা জীবের বৈশিষ্ঠতার উপর ভিত্তি করে এই জীবজগতের জীবদের বিভিন্ন শ্রেনিতে ভাগ করেছেন। আর জীবেদের এই বিভিন্ন ধাপে ধাপে ভাগ করার পক্রিয়াকেই জীবের শ্রেণীবিন্যাস বলা হয়। আর এই শ্রেণীবিন্যাস জনক বলা হয় প্রকৃতি বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসকে।
(খ) বৈজ্ঞানিক নাম বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : এই নির্দিষ্ট প্রজাতির জীবকে সঠিক ভাবে চেনার জন্য একটি বিশেষ ভাষায় মনামকরণ করা হয় যা সর্বভাষা স্বকৃত হয় যাতে বিভিন্ন ভাষা বিশিষ্ট পৃথিবীতে ওই নির্দিষ্ট প্রাণীটিকে সঠিক ভাবে চেনা যায়। জীবের বৈজ্ঞানিক নাম প্রধানত ল্যাটিন বা ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়। প্রত্যেক জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ বা পদ বিশিষ্ট হয়। জীবের এই নামকরণের পক্রিয়াকেই দ্বিপদ নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নামকরণ বলা হয়। যেমন – মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হোমো সেপিয়েন্স (Homo Sapience) আবার, বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বৈজ্ঞানিক নাম প্যানথেরা টাইগ্রিস টাইগ্রিস (Panthera tigris tigris)।
(গ) P প্রাণীটি কোন শ্রেণির? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রে P প্রাণীটি অর্থোপোডা শ্রেণীর অন্তর্গত। এই প্রানিটিতে আমরা একাধিক পা দেখতে পাচ্ছি। মাথার উপর দুটো এন্টেনা দেখা যাচ্ছে। প্রাণীটি শারীরিক গঠন অর্থোপোডা শ্রেণীর প্রাণীরদেড় সাথে সমঞ্জস্যপূর্ণ। প্রাণীটির দেহটি একটি শক্ত খোল দিয়ে আবৃত আছে যা কেরোটিন নামক একটি প্রোটিন দিয়ে গঠিত।
(ঘ) প্রাণী দুইটি ভিন্ন শ্রেণিতে থাকার কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : আমাদের পৃথিবীর জীবজগত যেমন বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত তেমনি এই শ্রেণীর অন্তর্গত রয়েছে প্রাণীর বিভিন্ন প্রজাতি। আর আমাদের জীবগতে প্রত্যেক প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় চরিত্রগত, খাদ্যাভ্যাসগত, ও দেহের আকার আকৃতি গত পার্থক্য। জীবের এই পার্থককের জন্যই প্রদপ্ত প্রানীদুটি ভিন্ন শ্রেণীর অন্তর্গত হয়েছে। কারণ প্রদপ্ত প্রানীদুটির মধ্যে দেহের গঠনগত,এদের খাদ্যাভ্যাসের , বাসস্থানের, চরিত্রের, ও আকার-আকৃতির পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে। এরফলস্বরূপ প্রানীদুটি জীবজগতের শ্রেণীবিন্যাসে দুটি ভিন্ন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
(২) রাহাতের গায়ে মশায় কামড় দেওয়া মাত্র সে এটিকে হাতচাপা দিয়ে ধরে ফেলল। একটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে সে এর উপাঙ্গ, চক্ষু ও দেহাবরণ পর্যবেক্ষণ করল। পরবর্তীতে সে তার পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের আলোকে এটির শ্রেণিগত অবস্থান বোঝার চেষ্টা করল।
(ক) ফিতাকৃমি কোন পর্বের প্রাণী ?
উত্তর : জীবজগতের শ্রেণিবিন্যাসে ফিতাকৃমি প্লাটিহেলমিনথেস পর্বের অন্তর্গত। এই পর্বের প্রাণীরা অন্য প্রাণীরদেহে অন্তঃপরজীবী বা বহিঃপরজীবী হিসেবে বসবাস করে। আবার কিছু প্রাণী মুক্তজীবি হিসেবে নদীতে ও সমুদ্রেও থাকে। এই প্রাণীদের দেহ চ্যাপ্টা প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই শ্রেণীর প্রাণীদের মধ্যে পৌষ্টিকতন্ত্র থাকে না আর থাকলেও তা হয় অসম্পূর্ন্ন। এই প্রাণীরা মূলত ভেজা বা স্যাতস্যাতে স্থানে থাকে। এই শ্রেণীর প্রাণীদের মধ্যে খাদ্য গ্রহণের জন্য চোষক ও আংটা থাকে।
(খ) মানবদেহে নটোকর্ডের অবস্থান ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : মানুষের শরীরে নটোকর্ড শুধুমাত্র ভ্রুণীয় অবস্থায় পৃষ্ঠদশে অবস্থিত থাকে। ভ্রূণের বিকাশের সাথে সাথে এই নটোকর্ড মানুষের মেরুদণ্ডে পরিণত হয়ে যায়।
(গ) রাহাতের পর্যবেক্ষণের আলোকে প্রাণীটির শ্রেণিগত অবস্থান ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : রাহাতের পর্যবেক্ষণের আলোকে প্রাণীটির শ্রেণীগত অবস্থান হবে অর্থোপোডা পর্বে। কারণ মশার দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দিয়ে তৈরী, মশার মধ্যে পুঞ্জাক্ষি দেখা যায়। মশার চলা ফেরার জন্য অনেক গুলো চলন অঙ্গ থাকে। আবার মশার মধ্যে ডানা উপস্থিত থাকে যার সাহার্য্যে মশা উড়তে পারে। জলাশয়, নালানর্দমা, বা জমাজলে মশার লার্ভা সৃষ্টি হয়।
(ঘ) প্রাণীটির শ্রেণিগত অবস্থান জানা রাহাতের জন্য প্রয়োজন কেন? বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : রাহাতের জন্য প্রাণীটির শ্রেণীগত অবস্থান জানা প্রয়োজন ছিল কারণ রাহাত প্রাণীটির শ্রেণীগত অবস্থান জানতে পারলে প্রাণীটির শারীরিক গঠন, খাদ্যাভ্যাস, বাসস্থান, চারিত্রিক গঠন এবং এই প্রাণীর কার্যপ্রণালী সম্পর্কে জানতে পারবে। রাহাত প্রাণীটির শ্রেণীবিন্যাস জানতে পারলে প্রাণীটি তার জন্য ক্ষতিকারক না অক্ষতিকারক সেটাও জানতে পারবে। রাহাত পড়া নীতির শ্রেণীর হদিস পেলে এই প্রাণীটি কোন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত তাও জানতে পারবে।