NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 4 উদ্ভিদে বংশ বৃদ্ধি Solution
Bangladesh Board Class 8 Science Solution Chapter 4 উদ্ভিদে বংশ বৃদ্ধি Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের চতুর্থ অধ্যায় উদ্ভিদে বংশ বৃদ্ধি অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 8 Chapter 4 উদ্ভিদে বংশ বৃদ্ধি :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 8 |
Subject | Science |
Chapter | 4 |
Chapter Name | উদ্ভিদে বংশ বৃদ্ধি |
উদ্ভিদে বংশ বৃদ্ধি অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
শূন্যস্থান পূরণ কর :
(১) প্ৰজনন প্ৰধানত দুই রকম ___ ও ___
(২) যখন একটি মাত্র গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয় তখন তাকে ___ ফল বলে।
(৩) যে ফুলে ___টি অংশ থাকে তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে।
(৪) পরাগায়ন দু‘ধরনের ___ ও ___
(৫) একটি সম্পূর্ণ পুষ্পমঞ্জরি ফলে পরিণত হলে তাকে ___ ফল বলে।
(৬) ডিম্বক পরিণত ফলের ___ পরিণত হয়।
উত্তর :
(১) প্ৰজনন প্ৰধানত দুই রকম অঙ্গজ জনন ও যৌন জনন।
(২) যখন একটি মাত্র গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয় তখন তাকে সরল ফল বলে।
(৩) যে ফুলে পাঁচটি অংশ থাকে তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে।
(৪) পরাগায়ন দু’ধরনের স্বপরাগায়ন ও পর–পরাগায়ন।
(৫) একটি সম্পূর্ণ পুষ্পমঞ্জরি ফলে পরিণত হলে তাকে যৌগিক ফল বলে।
(৬) ডিম্বক পরিণত ফলের বীজে পরিণত হয়।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
(১) অযৌন প্রজনন উদ্ভিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
উত্তর : উদ্ভিদের জন্য অযৌন প্রজনন একটি অতিগুরুপ্তপূর্ণ পক্রিয়া। জীবজগতে প্রায় সমস্ত উদ্ভিদই প্রজননের এই পক্রিয়ার মাধ্যমেই তাদের বংশবৃদ্ধি ঘটিয়ে থাকে। উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রজাতি বংশবৃদ্ধি ঘটানোর জন্য দুই প্রকারের অযৌন প্রজনন পক্রিয়ার সাহার্য্য নেয়। যথা – অঙ্গজ জনন এবং স্পোর উৎপাদন। উদ্ভিদ এই বিশাল জীবজগতে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে অযৌন প্রজননের উপর নির্ভরশীল।
(২) আম গাছের কলম কেন করা হয় ?
উত্তর : গাছের ফলন বৃদ্ধি এবং ফলনের মান বৃদ্ধি করার জন্য আমগাছের কলম করা হয়। এছাড়া কলম করা আমগাছে একটি স্বাভাবিক আমগাছের থেকে অনেক কম সময়ে ফলন হয়। এই কারণে অর্থাৎ আমগাছের ফলনের মান ও ফলনের বৃদ্ধি ঘটানোর জন্য আমগাছের কলম করা হয়। উদ্ভিদের মধ্যে উৎকৃষ্ট ও নিকৃষ্ট মানের ফল উৎপাদনকারিতা লক্ষ করা যায়। একই গাছের বিভিন্ন প্রজাতি আলাদা আলাদা মানের ফল উৎপাদন করে থাকে। এই জন্য ভালো প্রজাতির উদ্ভিদের সাথে নিম্ন প্রজাতির উদ্ভিদের অঙ্গজ জনন ঘটানো হয়। এই প্রক্রিয়াকেই উদ্ভিদের কলম করা বলে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) কোনটি গুচ্ছ ফল?
(ক) আম
(গ) কাঁঠাল
(খ) শরীফা
(ঘ) আনারস
উত্তর :
(গ) কাঁঠাল
(২) পতঙ্গপরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য কোনটি ?
(ক) বর্ণহীন
(খ) গন্ধহীন
(গ) খুব হালকা হয়
(ঘ) রঙিন ও মধুগ্রন্থিযুক্ত হয়
উত্তর :
(ঘ) রঙিন ও মধুগ্রন্থিযুক্ত হয়
নিচের চিত্র থেকে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর পাও :
(৩) চিত্রের কোন অংশটি পরাগরেণু ধারণ করে ?
(ক) m
(খ) o
(গ) n
(ঘ) p
উত্তর :
(ক) m
(৪) চিত্রের P অংশটি
(i) ফলে পরিণত হয়
(ii) বীজে পরিণত হয়
(iii) বংশবিস্তারে সাহায্য করে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) (ক) প্রজনন কাকে বলে?
উত্তর : পৃথিবীর জীবজগতে প্রতিটি উদ্ভিদ ও প্রাণী নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে এর ফলে তারা নিজেদের বংশবৃদ্ধি করে নিজের বৈশিষ্ট সম্পন্ন একটি প্রতিরূপ সৃষ্টি করে। এই নিজগুন ও বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন প্রতিরূপ সৃষ্টি করার পক্রিয়াকেই প্রজনন বা জনন বলে। পৃথিবীর জীব বৈচিত্রে দুই রকমের প্রজনন পক্রিয়া দেখা যায়। যথা (১) অযৌন জনন এবং (২) যৌন জনন। এই অযৌন জনন প্রক্রিয়াটি প্রধানত উদ্ভিদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় এবং যৌন জনন প্রাণীদের মধ্যে।
(খ) পরাগায়ন বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : পরাগায়ন উদ্ভিদের একটি জনন পক্রিয়া। উদ্ভিদের ফুলের ভেতরে পরাগধানী থেকে পরাগরেণু বিভিন্ন মাধমের দ্বারা একই গাছের অন্য ফুলে বা একই প্রজাতির অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে বা ডিম্বাশয়ে স্থানান্তরিত হওয়াকে পরাগায়ন বলে। এই পক্রিয়ার দ্বারা উদ্ভিদ ফল ও বীজ তৈরি করে। উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধিতে এই পক্রিয়া বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পায়রাগায়ন দু রকমের হয় যথা (১) স্ব – পরাগায়ন এবং (২) পর – পরাগায়ন।
(২) (ক) অঙ্গজ প্রজনন কাকে বলে?
উত্তর : কোনো রকমের যৌন বা অযৌন জনন কোষ সৃষ্টি না করে উদ্ভিদ তার বিভিন্ন অঙ্গের দ্বারা জনন পক্রিয়া সম্পন্ন করে। উদ্ভিদের এরকম জননকে অঙ্গজ জনন বলে। উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গ রূপান্তরিত হয়ে নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি করে। উদ্ভিদের জননের এই প্রক্রিয়াটিকে অঙ্গজ নামে অভিহিত করা হয়। বিশেষ কিছু প্রাণীর মধ্যেও এই জনন প্রক্রিয়াটি লক্ষ করা যায়। যেমন আমিবা।
(খ) অঙ্কুরোদগম বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : মাটি থেকে উদ্ভিদের বীজের মধ্যে নতুন ও উদ্ভিদ বা শিশু উদ্ভিদ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে অঙ্কুরোদ্গম বলে। উদ্ভিদের ফুলের পরাগায়নের ফলে ফল ও বীজের সৃষ্টি হয়। এই ফলের বীজ যখন মাটির ভেতরে প্রবেশ করে এবং সঠিক পরিমানে জল, তাপ ও অক্সিজেনের যোগান পেয়ে বিকশিত হয়ে যায় এবং মাটির ভেতরের বীজ থেকে উদ্ভিদের কান্ড, পাতা, ও মূলের সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়াকে অঙ্কুরোদ্গম বলে। এই প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদ ও তার থেকে ফসল উৎপন্ন করার জন্য খুবই আবশ্যিক। এই অঙ্কুরোদ্গম পক্রিয়ার সাহার্য্যেই পৃথিবীর সর্বত্র বিভিন্ন ফসলের চাষ হয়ে থাকে যা পৃথিবীর এই বিশাল পরিমান মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে।
(গ) P ও Q ফুলের মধ্যে পরাগায়ন ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রের P ও Q ফুলের মধ্যে যে পরাগায়ন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে তাকে প-পরাগায়ণ বলে। এই উদ্ভিদের ফুলের পরাগায়নের এই পক্রিয়াটিতে ফুলের মধ্যে উপস্থিত পরাগরেণু বিভিন্ন মাধমের সাহার্য্যে একই প্রজাতির অন্য ফুলের গর্ভকুন্ডে গিয়ে মিলিত হয়। প্রকৃতির বিভিন্ন জীব যেমন – মৌমাছি, প্রজাপতি, পাখি, ইত্যাদি ফুলের মধু খেতে আসলে এদের পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পরাগরেণু লেগে যায়। এরপর এই সকল জীব যখন আবার অন্য ফুলে মধু খেতে বসে তখন আগের গাছের পরাগরেণুগুলো এই গাছের ফুলের গর্ভকুন্ডে মিলিত হয় এবং যদি গাছদুটি একই প্রজাতির হয় তবে সেখানের এই প্রক্রিয়াটি পূর্ণতা পায়। প্রদপ্ত চিত্রটিতে P ও Q এই পক্রিয়ার মাধ্যমেই পরাগায়ন সম্পূর্ণ করেছে।
(ঘ) চিত্রে কোন পরাগায়নটি নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করে? তুলনামূলক বিশ্লেষনের মাধ্যমে মতামত দাও।
উত্তর : চিত্রের পর -পরাগায়ন প্রক্রিয়াটি নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে। কারণ পরাগায়নের দুটি ভাগ একটি স্ব -পরাগায়ন এবং অন্যটি পর-পরাগায়ন। উদ্ভিদের ফুলের স্ব-পরাগায়ন ঘটলে অর্থাৎ একই গাছের দুটি ফুলের মধ্যে বা একই ফুলের মধ্যে পরাগায়ন সম্পন্ন হলে সেখান থেকে সৃষ্ট বীজে বা ফলে কোনো নতুন বৈশিষ্ঠের প্রকাশ পাবে না। কারণ এখানে যে উদ্ভিদের ফুল সেই একই গাছে এর স্ব-পরাগায়ন হয়েছে। তাই এখানে উদ্ভিদের কোনো নতুন বৈশিষ্ট বা বৈচিত্র যুক্ত হয়নি। কিন্তু যদি কোনো গাছের ফুলের পরাগরেণু বিভিন্ন বাহকের দ্বারা অন্য অন্য গাছে বা একই প্রজাতির ভিন্ন বৈশিষ্ট যুক্ত গাছের ফুলের মধ্যে পর -পরাগায়ণ পক্রিয়া সম্পন্ন করে তাহলে ফুলটি থেকে সৃষ্ট ফল ও বীজের মধ্যে নতুন বৈশিষ্ট যুক্ত হবে। কারণ এখানে দুটি ভিন্ন বৈশিষ্ঠের গাছের পরাগরেণুর মধ্যে সমন্বয় হয়েছে। তাই সৃষ্ট ফলে বা বীজে নতুন বৈশিষ্ঠের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে।