NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 8 রাসায়নিক বিক্রিয়া Solution
Bangladesh Board Class 8 Science Solution Chapter 8 রাসায়নিক বিক্রিয়া Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের অষ্টম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 8 Chapter 8 রাসায়নিক বিক্রিয়া:
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 8 |
Subject | Science |
Chapter | Eight |
Chapter Name | রাসায়নিক বিক্রিয়া |
রাসায়নিক বিক্রিয়া অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
শূন্যস্থান পূরণ কর :
(১) রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ___ সৃষ্টি হয় ।
(২) ক্যালসিয়াম অক্সাইড ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের বিক্রিয়ায় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট তৈরির বিক্রিয়া একটি ___ বিক্রিয়া।
(৩) দহন বিক্রিয়ায় ___ শক্তি উৎপন্ন হয়।
(8) শুষ্ক কোষে দস্তার চোঙ ___ হিসেবে কাজ করে।
(৫) হাইড্রোক্লোরিক এসিড তড়িৎ ___ পদার্থ।
উত্তর :
(১) রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়া জাত পদার্থের সৃষ্টি হয় ।
(২) ক্যালসিয়াম অক্সাইড ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের বিক্রিয়ায় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট তৈরির বিক্রিয়া একটি তাপোৎপাদি বিক্রিয়া বা Exothermic Reaction ।
(৩) দহন বিক্রিয়ায় তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
(8) শুষ্ক কোষে দস্তার চোঙ ঋণাত্ত্বক তড়িৎদ্বার বা অ্যানোড হিসেবে কাজ করে।
(৫) হাইড্রোক্লোরিক এসিড তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
(১) দহন বিক্রিয়া বলতে কী বোঝায়? উদাহরণ দাও ।
উত্তর : কোনো মৌলের বা যৌগ পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করার ফলে যদি তাপশক্তি উৎপন্ন করে বা দুটি মৌল বা যৌগের বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হওয়া নতুন পদার্থটি যদি তাপ উৎপন্ন করে তাহলে সেই বিক্রিয়াকে দহন বিক্রিয়া বলে। যেমন – মোমবাতির প্রজ্জলন। একটি মোমবাতিকে প্রজ্জলিত করলে মোমের ভেতরে থাকা সুতোর সাথে বাতাসের অক্সিজেন বিক্রিয়া করে এবং উত্তাপ সৃষ্টি হয় এবং মোম এই তাপের ফলে গলে তরলে পরিণত হয়।
(২) প্রশমন বিক্রিয়া কী তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : কোনো মৌল বা যৌগের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষার যুক্ত হয়ে লবন ও জল উৎপন্ন করলে মৌল বা যৌগের সেই বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। মৌল বা যৌগের এই ধরনের বিক্রিয়াকে এসিড ক্ষার বিক্রিয়াও বলে।
(৩) চুনে পানি যোগ করলে কী ঘটে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : চুনে জল যোগ করলে চুন ও জলের রাসয়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয় এবং ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন করে। এই বিক্রিয়ার ফলে প্রচুর তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। চুনের সাথে লেবুর রস ও পরে জল মিশিয়ে লাইম ওয়াটার প্রস্তুত করা হয়।
(৪) শুষ্ক কোষের গঠন সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করো ।
উত্তর : আমাদের নিত্যদিনের কাজে ব্যাবহৃত রিমোট, টর্চ, বাচ্চাদের খেলনা, রেডিও ইত্যাদি এই সবকিছুই চালিত হচ্ছে ব্যাটারি দিয়ে আর এই ব্যাটারিকেই বলা হয় শুস্ক কোষ বা ড্রাইসেল। এই শুস্ক কোষ তৈরী করতে প্রয়োজন হয় কয়েকটি রাসায়নিক মৌল ও যৌগের। যেমন – অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কয়লার গুঁড়া, ম্যাংগানিজ ডাইঅক্সাইড, দস্তার পাত্র, একটি কার্বন দন্ড, ধাতব টুপি ইত্যাদি। একটি শুস্ক কোষ বানানোর জন্য এই উপাদান গুলির প্রয়োজন হয়।
শুস্ক কোষের গঠন :
একটি কার্যকরী শুস্ক কোষ তৈরী করার জন্য প্রথমে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কয়লার গুঁড়ো ও ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইডকে এক সঙ্গে ভালো করে মিশ্রিত করতে হবে। মিশ্রণটি তৈরী করা সম্পন্ন হলে এই মিশ্রণটিকে দস্তার পাত্রটিতে ঢেলে দিতে হবে। সিলিন্ডার আকৃতির দস্তার পাত্রটিতে একটি কার্বন দন্ডকে এমন ভাবে বসাতে হবে যাতে কার্বন দন্ডটি দস্তার পাত্রটিকে স্পর্শ না করে। শেষে কার্বন দন্ডটির মাথায় একটি ধাতব টুপি লাগিয়ে দস্তার পাত্রটিকে আবদ্ধ করতে হবে। এরপর দস্তার এই সমগ্র পাত্রটিকে একটি শক্ত কাগজের আবরণী দিয়ে মুড়ে দিতে হবে। এই ভাবে একটি কার্যকরী শুস্ক কোষ তৈরী করা সম্ভব হয়।
(৫) তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থের মূল পার্থক্য উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো ।
উত্তর : তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থের মূল পার্থক্য হলো তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ তড়িৎ পরিবহন করতে পারে আর তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ তড়িৎ পরিবহন করতে পারে না। তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থে বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয় এবং নতুন পদার্থের উৎপত্তি হয় অপরদিকে, তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থে তড়িৎ প্রবাহিত হয় না ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়াও সংগঠিত হয় না তাই কোনো নতুন পদার্থের সৃষ্টিও হয় না।
যে সকল পদার্থ তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ প্রবাহের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয়ে নতুন একটি পদার্থের সৃষ্টি করে সেই সকল পদার্থকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে। অপরদিকে, যে সকল পদার্থ তড়িৎ পরিবহন করে না ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয় না সেই সকল পদার্থকে তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ বলে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) কোনটি স্ন্যাক লাইম ?
(ক) Cao
(খ) CaCO3
(গ) CaCl2
(ঘ) Ca(OH)2
উত্তর :
(ঘ) Ca(OH)2
(২) একজন ডুবুরি নিচের কোন যৌগটির বিযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন পায় ?
(ক) CaCO3
(খ) CuCO3
(গ) KCIO3
(ঘ) NH4C!
উত্তর :
(গ) KCIO3
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও
সাহানা ল্যাবরেটরিতে একটি বিকারে কিছু চুন নিল। অতঃপর এর মধ্যে ড্রপার দিয়ে ভিনেগার যোগ করল। কিছুক্ষণ পর সে বিকারটি হাত দিয়ে স্পর্শ করে তাপমাত্রার পরিবর্তন লক্ষ করল।
(৩) বিকারে উল্লেখিত যৌগের মধ্যে কোন ধরনের বিক্রিয়া ঘটবে?
(ক) দহন
(খ) প্রশমন
(গ) সংযোজন
(ঘ) প্রতিস্থাপন
উত্তর :
(খ) প্রশমন
(৪) উদ্দীপকে উল্লেখিত যৌগের মধ্যে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হবে-
(i) ক্যালসিয়াম এসিটেট
(ii) ক্যালসিয়াম কার্বনেট
(iii) পানি
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(গ) ii ও iii
(খ) i ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(গ) ii ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) ফাহাদ ও ফারহান কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটালো, বিক্রিয়াগুলো নিম্নরূপ :
(i) কার্বন + অক্সিজেন → তাপ
(ii) চুনাপাথর → তাপ
(iii) হাইড্রোজেন + অক্সিজেন →
(iv) জিঙ্ক সালফিউরিক এসিড →
(ক) খাবার সোডার সংকেত কী ?
উত্তর : খাবার সোডার সংকেত হলো NaHCO3 । এটি খাবার সোডার অর্থাৎ সোডিয়া বাইকরবোনেটের রাসায়নিক সংকেত। এর IUPAC নাম হলো সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট।
(খ) ii নং বিক্রিয়াটি কী ধরনের বিক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : চুনের সাথে জলের মিশ্রনের ফলে চুন ও জলের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয় এবং প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় তাই এটি একটি তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বা Exothermic Reaction.
(গ) উদ্দীপকের যে বিক্রিয়ায় মৌলিক গ্যাস উৎপন্ন হয় সেটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন বিক্রিয়া করে জল তৈরি করে অর্থাৎ হাইড্রোজেন + অক্সিজেন → জল। অক্সিজেন ও হাউড্রোজেনের এই বিক্রিয়াটি একটি সংমিশ্রণ বিক্রিয়া। কারণ এখানে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন যুক্ত হয়ে জল তৈরী করছে। হাউড্রোজেন ও অক্সিজেনের এই বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ যথা – 2H2 (g) + O2 (g) → 2H2O (l)
(২) তামান্না তার পুতুলে ব্যাটারির সংযোগ দিয়ে পুতুল নাচ দেখছিল। এমন সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ওর ছোট বোন তাহসিনা একটি মোম জ্বালিয়ে আনল ।
(ক) প্রশমন বিক্রিয়া কী ?
উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় মৌল বা যৌগের সাথে এসিড বা ক্ষার যুক্ত হয়ে লবন ও জল উৎপন্ন করে তাকে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। কোনো মৌল বা যৌগের এই ধরণের রাসায়নিক পক্রিয়ার ফলে তাপ উৎপন্ন হতে পারে আবার তাপ বিমোচনও হতে পারে। এই প্রকারের রাসায়নিক পক্রিয়ায় মৌল বা যৌগের সাথে এসিড ও ক্ষার যুক্ত করা হয় বলে একে এসিড-ক্ষার বিক্রিয়াও বলা হয়।
(খ) লাইম ওয়াটার বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : চুন ও জল উভয়কে একত্রিত করলে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয় এবং এই বিক্রিয়ার ফলে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন হয় একে স্ল্যাক লাইম বলে। বিক্রিয়ার থেকে উৎপন্ন স্ল্যাক লাইম জলে খুব অল্প পরিমানে দ্রবীভূত হতে হয় ফলে এই স্ল্যাক লাইম জলের নিচে সঞ্চিত হয় এবং জল উপরে ভেসে থাকে। জল ও স্ল্যাক লাইমের এই সম্পৃক্ত দ্রবনকেই লাইম ওয়াটার বলে।
(গ) তামান্নার পুতুলে ব্যবহৃত ব্যাটারির গঠন ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : তামান্নার পুতুলে ব্যাবহৃত ব্যাটারি একটি শুস্ক কোষ। এই শুস্ক কোষ বা ড্রাইসেল তৈরি করতে বেশ কিছু উপাদানের প্রয়োজন হয়। একটি শুস্ক কোষ বা ড্রাইসেল তৈরী করার জন্য অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কয়লার গুঁড়া, ম্যাংগানিজ ডাইঅক্সাইড, দস্তার পাত্র, একটি কার্বন দন্ড, ধাতব টুপি ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। শুস্ক কোষে প্রথমে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কয়লার গুঁড়া ও ম্যাংগানিজ ডাইঅক্সাইডকে এক সঙ্গে মিশ্রিত করে তাতে খুব অল্প পরিমান জল যুক্ত করে একটি পেস্ট তৈরী করা হয়। এরপর এই মিশ্রণটি একটি সিলিন্ডার আকৃতির দস্তার পাত্রে একটি কার্বন দণ্ডের মাঝে রাখা হয়। এই সময় লক্ষ রাখতে হবে যাতে কার্বন দন্ডটি কোনো ভাবে দস্তার পাত্রটিতে স্পর্শ না করে। এই কাৰ্বন দণ্ডের মাথায় একটি ধাতব টুপি লাগানো থাকে। পরিশেষে এই সমগ্র দস্তার পত্রটিকে একটি শক্ত কাগজের আবরণী দিয়ে ঢেকে দিতে হবে তাহলেই একটি কার্যকারী শুস্ক কোষ বা ড্রাইসেল তৈরী করা সম্ভব হবে। এই শুস্ক কোষের দস্তার পাত্রটি একটি ঋনাত্বক তড়িৎদ্বার বা অ্যানোড হিসেবে কাজ করে এবং কার্বন দন্ডটি একটি ধনাত্ত্বক তড়িৎদ্বার বা ক্যাথোড হিসেবে কাজ করে ফলে এর থেকে তড়িৎ শক্তি উৎপন্ন হবে।
(ঘ) পুতুল ও মোমবাতিতে শক্তির কী ধরনের রূপান্তর ঘটে? বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : পুতুলে বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রণের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার থেকে তড়িৎশক্তি উৎপন্ন হয় অপরদিকে, মোমবাতিতে বিভিন্ন উপাদানের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ পুতুল কাজ করার সময় এর ভেতরে উপস্থিত শুস্ক কোষের মধ্যে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি রুপান্তরিত হয়ে তড়িৎশক্তিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। অপরদিকে মোমবাতিতে দহনের সময় মোমের ভেতরের সুতোর সাথে হওয়াতে উপস্থিত অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে মোমে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি তাপশক্তিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। পুতুল ও মোমবাতি উভয়ের মধ্যে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি তাপশক্তি ও তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে।