NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 3 ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন Solution

NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 3 ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন Solution

Bangladesh Board Class 8 Science Solution Chapter 3 ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের তৃতীয় অধ্যায় ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 8 Chapter 3 ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 8
Subject Science
Chapter 3
Chapter Name ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন

ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

অষ্টম শ্রেণী বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন

শূন্যস্থান পূরণ কর :

(১) স্থলজ উদ্ভিদে প্রস্বেদন ঘটে ___ দিয়ে।

(২) কোষপর্দা এক ধরনের ___ পর্দা।

উত্তর :                        

(১) স্থলজ উদ্ভিদে প্রস্বেদন ঘটে পাতার পত্রবন্ধ দিয়ে।

(২) কোষপর্দা এক ধরনের ভেদ্য পর্দা।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন  :

(১) উদ্ভিদের দেহাভ্যন্তর থেকে পাতার মাধ্যমে পানি নির্গমন প্রক্রিয়াকে কী বলে?

(ক) ব্যাপন

(খ) অভিস্রবণ

(গ) প্রস্বেদন

(ঘ) ইমবাইবিশন

উত্তর :

(গ) প্রস্বেদন

(২) অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায়-

(i) অর্ধভেদ্য পর্দার প্রয়োজন হয়

(ii)  দ্রাব কম ঘনত্ব থেকে বেশি ঘনত্বের দিকে ধাবিত হয়

(iii) দ্রাবক কম ঘনত্ব থেকে বেশি ঘনত্বের দিকে ধাবিত হয়

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i

(খ) ii

(গ) i ii

(ঘ) i iii

উত্তর :

(ক) i

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : 

ঘর সাজানোর জন্য আনোয়ারা কিছু রজনীগন্ধা ফুল ফুলদানিতে রাখল। সন্ধ্যাবেলা সে লক্ষ করল, ফুলের সুবাসে সম্পূর্ণ ঘর ভরে গেছে। এই ঘটনার সংগে তার বিজ্ঞান বইয়ে পঠিত একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মিল লক্ষ করল।

(৩) উদ্দীপকের বিশেষ প্রক্রিয়াটি কী?

(ক) ব্যাপন

(খ) অভিস্রবণ

(গ) প্রস্বেদন

(ঘ) শ্বসন

উত্তর :

(ক) ব্যাপন

 (৪) উল্লিখিত প্রক্রিয়ায়-

(i) জীবকোষে অক্সিজেন প্রবেশ করে

(ii) উদ্ভিদ দেহ থেকে পানি বের করে দেয়

(iii) উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের জন্য কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) i iii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(খ) i ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) জারিফের আম্মা একদিন সেমাই রান্না করার জন্য কিশমিশ ভিজিয়ে রাখলেন। কিছুক্ষণ পরে জারিফ লক্ষ করল, কিশমিশগুলো ফুলে গেছে। অন্যদিকে জারিফের বোন রংতুলি দিয়ে ছবি আঁকছিল। এ সময় হঠাৎ করে রং তুলিতে থাকা কিছুটা রং গ্লাসের পানির মধ্যে পড়ে পানিতে ছড়িয়ে গেল।

(ক) ভেদা পর্দা কাকে বলে?

উত্তর : যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাবের অনু গুলি বাধাহীন ভাবে খুব সহজেই চলাফেরা করতে পারে টি একে ভেদ্য পর্দা বলে। যেমন উদ্ভিদ কোষের কোষপ্রাচীর।

(খ) ইমবাইবিশন বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর : জীবকোষের বিভিন্ন কলোয়েডধর্মী পদার্থ যে পক্রিয়ায় নানান ধরণের তরল শোষণ করে সেই প্রক্রিয়াকে ইমবাইশন বলে। উদ্ভিদের দেহের বিভিন্ন কলোয়েড ধর্মী পদার্থ এই পক্রিয়ার দ্বারাই মাটি থেকে শোষিত তরল গ্রহণ করে।

(গ) কোন প্রক্রিয়ায় জারিফের বোনের রং পানিতে ছড়িয়ে গেল? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : ব্যাপন পক্রিয়ায় সবসময় বেশি ঘনত্বের অনু  কম ঘনত্বের অণুতে ছড়িয়ে পরে। তাই যখন জারিফের বোনের তুলিতে লেগে থাকা কিছুটা রং যখন জলের মধ্যে পড়েছিল তখন সেই রং সমগ্র  জলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। কারণ জারিফের বোনের তুলিতে লেগে থাকা রঙের অনুর ঘনত্ব জলের অনুর ঘনত্বের থেকে অধিক ছিল। তাই তুলিতে লেগে থাকা রং জলের মধ্যে পড়ার পর ধীরে ধীরে সমগ্র জলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।

(ঘ) জারিফের লক্ষ করা কিশমিশ ফুলে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন? বিশ্লেষণ করো।

উত্তর : জারিফের লক্ষ করা প্রক্রিয়াটি হলো ব্যাপন পক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের জন্য বিশেষ ভাবে    গুরুপ্তপূর্ণ কারণ উদ্ভিদের জল শোষণ এবং দেহের বিভিন্ন কলোয়েড জাতীয় পদার্থের মধ্যে বিভিন্ন তরলের শোষণ এই পক্রিয়াতেই হয়। মাটি থেকে শোষিত জলের অণুগুলি কম ঘনত্বের হয় তাই উদ্ভিদের দেহের ভেতরে উপস্থিত বিভিন্ন কলোয়েড জাতীয় পদার্থগুলি এই পক্রিয়ার মাধ্যম জল ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তরলকে শোষণ করতে পারে। এছাড়া উদ্ভিদের মূলের মূলরোম দ্বারা মাটি থেকে জল শোষণ করার ক্ষেত্রেও ব্যাপন বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

(২) মাদরাসা থেকে বাসায় ফিরে আদিবা লক্ষ করল, টবে থাকা গাছগুলো সব নেতিয়ে পড়েছে। বিকাল বেলা সে গাছগুলোতে পানি দিল। পরদিন সকালে দেখল গাছগুলো সতেজতা ফিরে পেয়েছে।

(ক) ব্যাপন কাকে বলে?

উত্তর : আমাদের পৃথিবীর সকল পদার্থ পরমাণু দিয়ে তৈরী হয়েছে এবং এই পরমাণুগুলির মধ্যে রয়েছে অণু। পদার্থের অনু পরমানুর চেয়েও ক্ষুদ্র তাই পদার্থের বেশি ঘনত্বের অণুগুলি  সব সময় থেকে কম ঘনত্ত্বের অনুর দিকে সঞ্চালিত হয় এই প্রক্রিয়াকেই ব্যাপন বলে। অর্থাৎ পদার্থের বেশি ঘনত্বের অনুর কম ঘনত্বের অনুর মধ্যে সঞ্চালিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে। যেমন জলের মধ্যে কোন রঙের এক ফোটা ফেললে সেই রংটি সমগ্র জলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। কারণ এখানে জলের অনুর চেয়ে রঙের অনুর ঘনত্ব অনেক বেশি। আবার ঘরের মধ্যে ধুপ জ্বালালে বা সুগন্ধি স্প্রে করলে তা ঘরের সর্বত্র ছড়িয়ে পরে। কারণ এখানে হওয়া অনুর থেকে ধূপের বা সুগন্ধির অনুর ঘনত্ব অনেক বেশি।

(খ) প্রস্বেদনকে কেন Necessary evil বলা হয় ?

উত্তর : উদ্ভিদের মূলের মূলরোম দিয়ে শোষিত অতিরিক্ত জলকে উদ্ভিদ কাণ্ডের বিভিন্ন অংশ যেমন পত্ররন্ধ, কোষপ্রাচীর ইত্যাদি দিয়ে বায়ুতে বাস্পরুপে বের করে দেয় এই প্রক্রিয়াকে প্রম্বেদন বলে। উদ্ভিদের এই প্রক্রিয়াটি অনবরত চলতে থাকে ফলে কোনো কারণে উদ্ভিদের মূল থেকে শোষিত জলের পরিমান হ্রাস পেলে এই পক্রিয়ার জন্য উদ্ভিদের শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমান জল বাষ্পীভূত হয়ে যেতে পারে ফলে। এর ফলে উদ্ভিদের মৃত্যুও হতে পারে। তাই একদিকে এই প্রক্রিয়াটি যেমন উদ্ভিদের জন্য আবশ্যক তেমনি আবার এই প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর। এই কারণে প্রস্বেদনকে Necessary evil বলা হয়।

(গ) টবে থাকা গাছগুলো নেতিয়ে পড়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : উদ্ভিদের দেহে মূলের দ্বারা মাটি থেকে জল শোষণ এবং মাটির বাইরের অর্থ্যাৎ কাণ্ডের বিভিন্ন অংশ দিয়ে প্রম্বেদন পক্রিয়া সমান্তরাল ভাবে চলতে থাকে। তাই উদ্ভিদের মূলের দ্বারা মাটি থেকে জল শোষণ কম হলে বা বন্ধ হলে প্রম্বেদন পক্রিয়ার জন্য উদ্ভিদের দেহের সব জল বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ফলে উদ্ভিদের দেহে কোষে ও বিভিন্ন অংশে জলের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে উদ্ভিদ প্রথমে নেতিয়ে পরে এবং পরে একদম শুকিয়ে যায়। মূলত এই কারণের জন্যই টবে থাকা গাছগুলি নেতিয়ে পড়েছিল। কারণ পরিচর্চার অভাবে টবের মাটির মধ্যে জলের পরিমান কমে গিয়েছিলো। ফলে গাছগুলো মূলের সাহার্যে পর্যাপ্ত পরিমান জল শোষণ করতে পারছিলো না।

(ঘ) পরবর্তীতে গাছগুলো কীভাবে সতেজতা ফিরে পেল? বিশ্লেষণ করো।

উত্তর : টবের মাটিতে জলের অভাবের জন্য গাছগুলো পর্যাপ্ত পরিমানে জল শোষণ করতে না পেরে নেতিয়ে পড়েছিল। কিন্তু মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে ফিরে আদিবা যখন বিকাল বেলায় টবের মধ্যে  জল দিয়েছিলো তখন মাটি থেকে নেতিয়ে পড়া গাছেগুলো তাদের মূলরোম দ্বারা পুনরায় জলকে শোষণ করতে শুরু করে। এর ফলে ধীরে ধীরে নেতিয়ে পড়া গাছে গুলোর দেহের সব অংশে জল সঞ্চালিত হয়েছিল। এবং উদ্ভিদের বিভিন্ন কলোয়েড জাতীয় পদার্থ গুলি ব্যাপন পক্রিয়ার মাধ্যমে জল ও খনিজ লবন শোষণ করে উদ্ভিদকে সতেজ করতে শুরু করেছিল। এরপর উদ্ভিদের দেহের শোষণ, প্রম্বেদন, ইত্যাদি পক্রিয়া আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল।  এই ভাবে টবের নেতিয়ে পড়া গাছগুলি পুনরায় সতেজ হয়েছিল।

 

More Solutions :  
Updated: October 19, 2023 — 2:40 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *