NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 14 পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র Solution
Bangladesh Board Class 8 Science Solution Chapter 14 পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের চতুর্দশ অধ্যায় পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 8 Chapter 14 পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 8 |
Subject | Science |
Chapter | Fourteen |
Chapter Name | পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র |
পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
শূন্যস্থান পূরণ কর :
(১) যে সমস্ত প্রাণী ___ তারা প্রথম স্তরের খাদক।
(২) বাস্তুতন্ত্রের প্রাণহীন সব উপাদান ___ উপাদান নামে পরিচিত।
(৩) প্রকৃতিতে জীব বিভিন্ন ___ মাধ্যমে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
(৪) প্রকৃতিতে অজীব ও জীব উপাদানের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয়ে ___ সচল থাকে।
উত্তর :
(১) যে সমস্ত প্রাণী তৃণভোজী তারা প্রথম স্তরের খাদক।
(২) বাস্তুতন্ত্রের প্রাণহীন সব উপাদান অজীব উপাদান নামে পরিচিত।
(৩) প্রকৃতিতে জীব বিভিন্ন খাদ্যশ্রেণীর মাধ্যমে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
(৪) প্রকৃতিতে অজীব ও জীব উপাদানের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয়ে বাস্তুতন্ত্র সচল থাকে।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
(২) প্রকৃতি কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে আলোচনা করো।
উত্তর : প্রকৃতি বাস্তুতন্ত্রের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রকৃতি বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে খাদ্য ও খাদকের সম্পর্ক এমন পক্রিয়ায় সৃষ্টি করেছে যে বাস্তুতন্ত্রের সকল সজীব ও আজিব উপাদান একে অপরের ওপর প্রতক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নিৰ্ভৰশীল। বাস্তুতন্ত্রে খাদ্য ও খাদককে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয় যথা – প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী এবং তৃতীয় শ্রেণী। এই তিনটি শ্রেণীতে সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত খাদ্য ও খাদকের স্থান রয়েছে। তাই বাস্তুতন্ত্রে যদি দ্বিতীয় শ্রেণীর খাদকের সংখ্যা বেড়ে গেলে প্রথম শ্রেণীর খাদ্য খাদকের সংখ্যা কমে যাবে। আবার দ্বিতীয় শ্রেণী খাদ্য-খাদকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য তৃতীয় শ্রেণীর খাদকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। এই ভাবে আবার তৃতীয় শ্রেণীর খাদকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে দ্বিতীয় শ্রেণীর খাদকের সংখ্যা কমে যাবে ফলে আবার প্রথম শ্রেণীর খাদ্য-খাদকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এই ভাবে প্রকৃতি পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) নিচের কোনটি প্রথম স্তরের খাদক?
(ক) ফাইটোপ্ল্যাংকটন
(খ) শামুক
(গ) বাঘ
(ঘ) বক
উত্তর :
(খ) শামুক
(২) নিচের কোন খাদ্যশৃঙ্খলটি সঠিক?
(ক) ফাইটোপ্ল্যাংকটন → ছোট মাছ → জু-প্ল্যাংকটন
(খ) ফল → পতঙ্গ → পাখি
(গ) ঘাস → কচ্ছপ → ছোটমাছ
(ঘ) ক্ষুদিপানা → মাছ → শামুক
উত্তর :
(ক) ফাইটোপ্ল্যাংকটন → ছোট মাছ → জু-প্ল্যাংকটন
(খ) ফল → পতঙ্গ → পাখি
নিচের ছকটি লক্ষ করো এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও
বাস্তুতন্ত্র
↓
X (অজীব উপাদান)
Y (জীব উপাদান)
↓
b (খাদক) → a (উৎপাদক) → C (বিযোজক)
(৩) নিচের কোনটি c এর অন্তর্ভুক্ত?
(ক) ফাইটোপ্ল্যাংকটন
(খ) জু-প্ল্যাঙ্কটন
(গ) ব্যাকটেরিয়া
(ঘ) কীটপতঙ্গ
উত্তর :
(গ) ব্যাকটেরিয়া
(৪) উপরের ছকে
(i) x এর উপর Y নির্ভরশীল
(ii) a এর উপর b নির্ভরশীল
(iii) a ও c পরস্পর নির্ভরশীল
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) i, ii ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) ফাহিম একটি বনে বেড়াতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাছপালার মাঝে বিভিন্ন রকমের প্রাণীর উপস্থিতি লক্ষ করল। এদের মধ্যে ছিল খরগোশ, হরিণ, বানর, বাঘ, শূকর ইত্যাদি প্রাণী। সে খেয়াল করল বনের একটি অংশে বড় বড় গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছে আর সে অংশে ঐ সকল প্রাণীর উপস্থিতি খুবই কম।
(ক) বাস্তুতন্ত্র কী?
উত্তর : একটি নির্দিষ্ট স্থানে পরিবেশের বিভিন্ন আজিব ও সজীব উপাদান পরস্পরের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া, আদান-প্রদান, ইত্যাদির মাধ্যমে যে একটি বিশেষ তন্ত্র গড়ে ওঠে তাকেই বাস্তুতন্ত্র বলা হয়। প্রকৃতি এই বাস্তুতন্ত্রের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। বস্তুতন্ত্র জীব বৈচিত্রের জন্য খুবই অত্যাবশ্যক। প্রকৃতির সকল আজিব ও সজীব উপাদান বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত থাকে। একটি বাস্তুতন্যত্র বিভিন্ন উপাদান যেমন – উৎপাদক, খাদক, খাদ্য, বিয়োজক ইত্যাদি সমন্বয়ে গঠিত হয়। পৃথিবীর প্রকৃতিতে প্রধানত দুধরণের বাস্তুতন্ত্র পরিলক্ষিত হয় যথা – স্থলজ বাস্তুতন্ত্র ও জলজ বাস্তুতন্ত্র। একটি নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রের সকল উপাদান একে অপরের উপর পরোক্ষ ও প্রতক্ষ ভাবে নির্ভরশীল থাকে। বাস্তুতন্ত্র প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
(খ) বিযোজক বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : যে কোনো বাস্তুতন্ত্রের একটি মুখ্য উপাদান হলো বিয়োজক। বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে উপস্থিত বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের মৃত শরীরীকে বিয়োজক বিভিন্ন বিভিন্ন পক্রিয়ার মাধ্যমে বিয়োজিত করে বাস্তুতন্ত্রের জন্য উপযোগী বিভিন্ন জৈব ও অজৈব দ্রব্যতে পরিণত করে ফলে বাস্তুতন্ত্র হয়ে ওঠে সমৃদ্ধ এবং পরিচ্ছন্ন। বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও বিভিন্ন অণুজীব মূলরূপ ভাবে বিয়োজকের ভূমিকা পালন করে থাকে। জীবের ও উদ্ভিদের মৃতদেহ থেকে তৈরী খাদ্য বাস্তুতন্ত্রের মাটি ও বায়ুতে সঞ্চিত হয়। এই খাদ্য গুলোকে আবার ও উদ্ভিদ ও প্রথম শ্রেণীর খাদ্য-খাদক গ্রহণ করে থাকে। এই ভাবে বিয়োজকের কারণে বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে।
(গ) ফাহিমের দেখা জীবগুলো দিয়ে একটি খাদ্যশৃঙ্খল তৈরি করে শৃঙ্খলটি ব্যাখ্যা করো ।
উত্তর :
বিভিন্ন ধরনের গাছপালার → খরগোশ, হরিণ, বানর, শূকর → বাঘ
এই খাদ্য শৃঙ্খলাতে প্রথম শ্রেণী অর্থাৎ উৎপাদক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর খাদ্য-খাদক অর্থাৎ খরগোশ, হরিণ, বানর, শূকর ইত্যাদি এবং দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণী অথাৎ সর্বোচ্চ শ্রেণীতে শক্তি স্থানান্তরিত হচ্ছে। এই খাদ্য শৃঙ্খলা থেকে পরিলক্ষিত হচ্ছে কি ভাবে বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রাণী পরস্পরের অপর নির্ভরশীল। এক শ্রেণীর খাদ্য-খাদকের মধ্যে কোনো পরিবর্তন হলে তা পরের শ্রেণীর খাদ্য-খাদকের মধ্যেও পরিলক্ষিত হয়।
(ঘ) বড় বড় গাছপালা কেটে ফেলা অংশে প্রাণীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : জঙ্গলটির যে অংশে বড়ো বড়ো গাছগুলিকে কেটে ফেলা হয়েছে সেখানে বাস্তুতন্ত্রের সকল উপাদানের মধ্যে মুখ্য উপাদান অর্থাৎ উৎপাদক-কে নষ্ট করা হয়েছে। এই কারণে সেখানে আর বাকি অন্য শ্রেণীর কোনো উপাদানের অস্তিত্ব বজায় নেই। কারণ একটি বাস্তুতন্ত্রের সকল শ্রেণীর খাদ্য-খাদক পরস্পর পরস্পরের উপর পরোক্ষ এবং প্রতক্ষ ভাবে নির্ভরশীল। তাই বনের যে অংশটিতে বড়ো বড়ো গাছ গুলিকে কেটে ফেলা হয়েছে সেখানে প্রথম শ্রেণীর খাদ্য-খাদক বিলুপ্ত হয়েছে এর ফলস্বরূপ পর্যায়ক্রমিক ভাবে সেখান থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর খাদ্য-খাদকও বিলুপ্ত হয়েছে। এই কারণের জন্যই ফাকিম বনের সেই ফাঁকা অংশে বনের অন্য অংশের মতো কোনো জীব বৈচিত্র লক্ষ করেনি।
(২) (ক) জৈব উপাদান কী?
উত্তর :
জৈব উপাদান বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে উদ্ভিদ, প্রাণী, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু, নীল-সবুজ শৈবাল ইত্যাদি জৈবিক উপাদান সমন্বিত হয়ে গঠিত হয়। যথা একটি বাসুত্রন্ত্রে উৎপাদক, খাদ্য, খাদক ও বিয়োজক সবই জৈব উপাদানের অন্তর্গত। এক কথায় বলতে হলে প্রকৃতির তৈরী সকল উপাদানই জৈব উপাদান।
(খ) খাদ্যজাল বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : একটি বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত বিভিন্ন খাদ্যশৃঙ্খল পরিলক্ষিত হয়। এই খাদ্য শৃঙ্খলগুলি আবার পরস্পরের উপর নির্ভরশীল থাকে। তাই বাস্তুতন্ত্রের এই সংযুক্ত খাদ্যশৃখল গুলোকেই একত্রে খাদ্যজাল বলে।
(গ) উপরের শৃঙ্খলটিতে শক্তিপ্রবাহ কীভাবে চলে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রের খাদ্য শৃঙ্খলটিতে পরিলক্ষিত হচ্ছে যে বাসুতন্ত্রের প্রথম শ্রেণীর খাদ্য-খাদক থেকে সর্বোচ্চ খাদ্য শ্রেণী অর্থাৎ তৃতীয় শ্রেণীর খাদ্য-খাদক পর্যন্ত শক্তি প্রবাহিত হচ্ছে। নিচের শ্রেণীকরণের সাহায্যে এক শ্রেণী থেকে অন্য শ্রেণীতে শক্তির প্রবাহ বোঝা সম্ভব হবে।
ঘাস → খরগোশ → ঈগল
ঘাস → ইঁদুর → শাপ → ঈগল
ঘাস → পতঙ্গ → টিকটিকি /গিরগিটি → ঈগল
অর্থাৎ প্রথম শ্রেণীর খাদ্য-খাদক ঘাস থেকে শক্তি দ্বিতীয় শ্রেণীর খাদ্য-খাদক অর্থৎ খরগোশ, ইঁদুর, পতঙ্গতে এবং শেষে তৃতীয় শ্রেণীর খাদ্য খাদক অর্থাৎ ঈগলে প্রবাহিত হচ্ছে।
(ঘ) উদ্দীপকে পুষ্টিপ্রবাহের চক্রটি কীরূপ হবে? বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : উদ্দীপকে পুষ্টি প্রবাহ হবে প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত বা সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্ছ শ্রেণী পর্যন্ত। কেননা প্রদপ্ত চিত্রের বাস্তুতন্ত্রের প্রথম শ্রেণীর উক্ত উৎপাদক থেকে পুষ্টি দ্বিতীয় শ্রেণীর খাদ্য-খাদকের মধ্যে অর্থাৎ খরগোশ, টিকটিকি/গিরগিটি এবং ইঁদুরের মধ্যে সঞ্চিত হয়েছে এবং সেখান থেকে ঈগলের মধ্যে অর্থাৎ তৃতীয় শ্রেণীর মধ্যে সঞ্চিত হয়েছে। এই ভাবে পুষ্টি প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত চক্রায়িত হয়েছে।