NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 12 মহাকাশ ও উপগ্রহ Solution

NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 12 মহাকাশ ও উপগ্রহ Solution

Bangladesh Board Class 8 Science Solution Chapter 12 মহাকাশ ও উপগ্রহ Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের দ্বাদশ অধ্যায় মহাকাশ ও উপগ্রহ অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 8 Chapter 12 মহাকাশ ও উপগ্রহ : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 8
Subject Science
Chapter Twelve  
Chapter Name মহাকাশ ও উপগ্রহ

মহাকাশ ও উপগ্রহ অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 12 মহাকাশ ও উপগ্রহ Solution

শূন্যস্থান পূরণ কর :

(১) মহাবিশ্বের অসীম ফাঁকা স্থানকে ___ বলে।

(২) গ্রহকে আবর্তনকারী বস্তুদের বলা হয় ___

(৩) সৌরজগৎ যে গ্যালাক্সিতে রয়েছে তার নাম ___

(৪) মানুষের তৈরি ___ হলো কৃত্রিম উপগ্রহ।

(৫) যে নারী প্রথম ___ ভ্রমণ করেছেন তার নাম ভেলেনটিনা তেরেসকোভা।

উত্তর : 

(১) মহাবিশ্বের অসীম ফাঁকা স্থানকে মহাশূন্য বলে।

(২) গ্রহকে আবর্তনকারী বস্তুদের বলা হয় উপগ্রহ

(৩) সৌরজগৎ যে গ্যালাক্সিতে রয়েছে তার নাম মিল্কিওয়ে।

(৪) মানুষের তৈরি ধাতব সরঞ্জাম হলো কৃত্রিম উপগ্রহ।

(৫) যে নারী প্রথম ভেলেনটিনা তেরেসকোভা ভ্রমণ করেছেন তার নাম ভেলেনটিনা তেরেসকোভা।

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :

(১) মহাকাশ ও মহাশূন্যের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর :  পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬০ কিলোমিটারের উপরের অংশ থেকে মহাকাশ শুরু হয়। সকল গ্রহ, নক্ষত্র, উপগ্রহ, তারামণ্ডল মহাজাগতিক সবকিছু বিদ্যমান থাকে মহাকাশে। মহাকাশ এতটাই বিশাল যে এর কোন শুরু বা শেষ পাওয়া যায় না। অপরদিকে, মহাকাশের দুটি বস্তূর মধ্যে যে ফাঁকা স্থান থাকে তাকেই মহাশূন্য বলে। প্রথমে এই মহাশুন্যকে ফাঁকা বা খালি মনে করা হতো। কিন্তু পরবর্তীকালে বিজ্ঞানীরা এই ফাঁকা স্থানে কম ঘনত্বের হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম অণুর সন্ধান পেয়েছেন।

(২) মহাবিশ্বের বিশালতা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর :  সমগ্র গ্রহ, নক্ষত্র, তারামণ্ডল, উপগ্রহ, উল্কা ইত্যাদি সহ সমগ্র মহাজাগতিক উপাদান যে জায়গাতে বিদ্যমান টি থাকে সেই স্থানকে মহাবিশ্ব বলে। মহাবিশ্বের বিশালতা বিচার করা যায় আলোরগতির সাহার্য্যে। আলোর গতিবেগ প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড। সূর্য্য থেকে আলোকরশ্মির পৃথিবীতে আসতে সময় লাগে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড।  আর এই একই আলোর সূর্যের থেকে এর নিকটবর্তী নক্ষত্র আলফা সেন্টারিতে পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় ৪ বছর। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে মহাবিশ্বের কোন গ্রহ বা নক্ষত্র কতদূরে অবস্থান করে। একই রকম ভাবে পৃথিবী থেকে কোনো আলোকরশ্মির মহাবিশ্বের কোনো তারামণ্ডলে যেতে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর সময় লাগে। মহাবিশ্বের কোনো প্রান্তে কোনো গ্রহ বা নক্ষত্রের বিস্ফোরণ হলে সেই বিস্ফোরণের আলোকরশ্মি আমাদের পৃথিবীতে পৌঁছতে সময় নেয় কয়েক লক্ষ মিলিয়ন  বছর। বর্তমান জোতিষবিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে মহাবিশ্ব ক্রমশ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।  এছাড়া গ্রহ নক্ষত্রের আকার দেখেও মহাবিশ্বের বিশালতার প্রমান পাওয়া যায়। আমাদের পৃথিবী সূর্যের সামনে একটি ছোট বলের মতো আবার আমাদের সূর্য মহাবিশ্বের অন্য নক্ষত্রের সামনে একটি ছোট বলের সামনে  এই ভাবে মহাবিশ্বে এক থেকে এক বড়ো নক্ষত্র রয়েছে। আবার এই বৃহত্তর নক্ষত্র গুলি  তারমন্ডলের সামনে একটি বালির কণা মাত্র। আর মহাবিশ্বে এরকম অফুরন্ত তারামণ্ডল আছে। তাই মহাবিশ্ব কতটা বিশাল তা কল্পনারও বাইরে।

(৩) গ্যালাক্সি কী? আমরা কোন গ্যালাক্সিতে বাস করি?

উত্তর : গ্যালাক্সি হল তারমন্ডল, নাক্ষত্রিক অবশেষ, গ্যাস, ধূলিকণা, গ্রহনক্ষত্রের ধ্বংসাবশে ইত্যাদি পদার্থ মহাকর্ষীয় টানে আবদ্ধ হয়ে সৃষ্ট একটি জগৎ। ‘ছায়াপথ’ শব্দটির ইংরেজি ‘galaxy’ প্রতিশব্দটির উৎস গ্রিক galaxias থেকে। একটি ছায়াপথে অগুনিত সৌরমণ্ডল থাকতে পারে। মহাবিশ্বে এরকম অগুনিত তারামণ্ডল আছে।

আমরা যে তারামণ্ডলে বাস করি তার নাম মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি।

(৪) সৌরজগৎ কাকে বলে? এখানে কী কী গ্রহ আছে?

উত্তর : ছায়াপথে অবস্থিত সূর্য ও সূর্যকে প্রদক্ষিন করতে থাকা বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহকে সৌরমণ্ডল বলে। আমাদের সৌরমণ্ডলে মোট ৮টি গ্রহ আছে যথা – বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন। এই গ্রহগুলিকে কেন্দ্র করে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন উপগ্রহ। একটি গ্রহের এক বা একাধিক উপগ্রহ থাকতে পারে।

(৫) কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর চারদিকে কেন ঘুরে?

উত্তর : কৃত্তিম উপগ্রহ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে নিজের সঠিক অবস্থান বজায় রাখার জন্য। একটি কৃত্তিম উপগ্রহকে পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ২৫০ কিলোমিটার উপরে তুলে যদি প্রতি সেকেন্ডে ৮ কিলোমিটার গতি দেওয়া যায় তাহলে উপগ্রহটি পৃথিবীর সাথে একই গতিতে পরিক্রমণ করবে ফলে পৃথিবী থেকে উপগ্রহটিকে স্থির মনে হবে। উপগ্রহ পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থির ভাবে থাকতে পারে। ফলে উপগ্রহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।

(৬) উপগ্রহ মানুষের অনেক কাজে লাগে- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর :  মানুষের তৈরী ও প্রাকৃতিক উপগ্রহ উভয়ই মানুষের বিভিন্ন কাজে লাগে। প্রাকৃতিক উপগ্রহের চেয়ে কৃত্তিম উপগ্রহ মানুষের বেশি সাহার্য্য করে। আমাদের দৈনিন্দন কাজে ও বিভিন্ন প্রয়োজনে উপগ্রহের ভূমিকা অনস্বীকার্য। টেলিসংযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা, বেতার, টিভি, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, দেশের নির্ভুল মাচিত্র তৈরী করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে উপগ্রহ বিশেষ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে মানুষের সকল কাজ ইন্টারনেট মাধ্যমের দ্বারা চালিত হয় ফলে উপগ্রহ থেকে প্রেরিত ইন্টারনেট এক অত্যাবশ্যক জিনিসে পরিণত হয়েছে। তাই আমাদের জীবনে উপগ্রহের ভূমিকা অনসীকার্য্য। অপরদিকে, পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের জন্য আমাদের পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা সংগঠিত হয়। আমাদের পৃথিবীর ঘূর্ণননের গতি নির্দিষ্ট থাকে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) বৃহস্পতি গ্রহের কয়টি উপগ্রহ?

(ক) ১৪টি

(খ) ২৭টি

(গ) ৬২টি

(ঘ) ৬৭টি

উত্তর : 

(ঘ) ৬৭টি

(২) গ্যালাক্সি হলো-

(i) মহাবিশ্বের কোনো স্থানে ঘনীভূত পদার্থের আধিক্য

(ii) গ্রহ, নক্ষত্রের মাঝে অবস্থিত খালি জায়গা

(iii) নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে পরিভ্রমণকারী জ্যোতিষ্ক

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i

(খ) ii

(গ) i iii

(ঘ) ii iii

উত্তর : 

(ক) i

নিচের ছকটি অবলম্বনে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও

কৃত্রিম উপগ্রহ কাজ
M জাহাজের যাত্রাপথে হিমবাহের উপস্থিতি নির্ণয়
N আকাশে বিমানের অবস্থান নির্ণয়
O মহাবিশ্ব সম্পর্কে অজানা তথ্য নির্ণয়
P ফসলে পোকামাকড়ের আক্রমণের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ

(৩) N উপগ্রহটি কী?

(ক) যোগাযোগ উপগ্রহ

(খ) নৌ পরিবহন উপগ্রহ

(গ) জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক উপগ্রহ

(ঘ) পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ

উত্তর : 

(ঘ) পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ

(৪) ছকে উল্লিখিত কাজের ভিত্তিতে কোন দুটি উপগ্রহ একই প্রকৃতির?

(ক) M N

(খ) M P

(গ) O P

(ঘ) M P

উত্তর : 

(ঘ) M ও P

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) মাছ ধরার নৌকার মালিক বকর সওদাগর রেডিওতে শুনতে পেলেন বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হচ্ছে। যেকোনো সময় উপকূলে আঘাত হানতে পারে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং মাছ ধরার নৌকাকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।

(ক) কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে ?

উত্তর : মানুষের তৈরী করা যে সব বস্তূ পৃথিবীর চারদিকে একটি নির্দিষ্ট কক্ষ পথে প্রদক্ষিণ করে তাদের কৃত্তিম উপগ্রহ বলা হয়। কৃত্তিম উপগ্রহ মানুষের বিভিন্ন কাজে ও প্রয়োজনে ব্যাবহৃত হয়। মানুষের প্রেরিত প্রথম কৃত্তিম উপগ্রহ হলো স্পুটনিক – ১। ততকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এই উপগ্রহটি ১৯৫৭ সালের ৪ঠা অক্টবর এই উপগ্রহটি প্রেরণ করা হয়।

(খ) মহাবিশ্ব বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর :   পৃথিবী সহ অন্যান্য সমস্ত গ্রহ, সূর্য ও অন্যান্য তারা ও নক্ষত্র, তারামণ্ডল, নক্ষত্রমন্ডল, উল্কা,আবিষ্কৃত ও অনাবিষ্কৃত বিভিন্ন নক্ষত্র বা ছায়াপথ এই সবকিছু যে স্থান জুড়ে বিরাজমান তাকে মহাবিশ্ব বলে। মহাবিশ্বের পরিধি কত তা জানা স্মম্ভব হয়নি। তাই এই মহাবিশ্বের শুরু বা শেষ কোথায় তা কেউ জানে না।

(গ) রেডিও অফিসের ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হওয়ার তথ্য পাওয়াতে বকর সওদাগরের কী উপকার হলো ?

উত্তর : মানুষ বর্তমানে বিভিন্ন কৃত্তিম উপগ্রহের সাহার্য্যে আগে থেকেই আবহাওয়ার খবর জানতে পারে। তাই সমুদ্রে উপর কোনো নিম্নচাপের ফলে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জানা যায়। এর ফলে আবহওয়া দফতর আগে থেকে সামুদ্রিক জেলেদের সাবধান করে দিতে পারে যাতে সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছাস ও হওয়ার মধ্যে আটকে পরে কোনো মৎসজীবীর কোনো রকম বিপদ না হয়। তাই রেডিও অফিসে ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হওয়ার খবর জানতে পেরে বকর সওদাগর হতে চলা ক্ষতি ও  বিপদের থেকে রেহাই পেয়েছেন।

(ঘ) আবহাওয়া বার্তাটি বকর সওদাগর ও উপকূলবাসীদের কীভাবে সতর্ক করতে পারে। ব্যখ্যা করো ।

উত্তর : মানুষ বর্তমানে বিভিন্ন কৃত্তিম উপগ্রহের সাহার্য্যে আগে থেকেই আবহাওয়ার খবর জানতে পারে। তাই সমুদ্রে উপর কোনো নিম্নচাপের ফলে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জানা যায়। তাই যারা সমুদ্রে ট্রলারে বা নৌকায় করে মৎসশিকারের জন্য সমুদ্রের অনেক দূর পর্যন্ত যাত্রা করে এবং যারা সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাস করে তারা ঝড়ের থেকে হওয়া বিভিন্ন বিপদের থেকে রক্ষা পাবে এবং মানুষের জীবনহানী ঘটা থেকে আটকানো যাবে। তাই রেডিও বার্তাটি আগে থেকে বকর সওদাগর ও উপকূলবর্তী মানুষ আগে থেকে সাবধান হতে পারবে।

(২) (ক) মহাশূন্য কাকে বলে ?

উত্তর : পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরে এবং বিভিন্ন গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে যে ফাঁকা অংশ থাকে তাকেই মহাশূন্য বলে। এই মহাশুন্যকে ফাঁকা মনে হলেও এটি ফাঁকা নয়। এর মধ্যে থাকে কম ঘনত্বের   হাউড্রোজেন ও হিলিয়াম কণা থাকে। এই মহাশূন্যে সকল মহাজাগতিক উপাদান এই মহাশূন্যে  ভাসমান অবস্থায় আছে।

(খ) চাঁদ ও কৃত্রিম উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর :  আমাদের পৃথিবীতে প্রাকৃতিক উপগ্রহ একটি এবং কৃত্তিম উপগ্রহের সংখ্যা অগুনিত। প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম উপগ্রহের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো প্রাকৃতিক উপগ্রহ মহাজাগতিক ধুলো ও পাথর একত্রিত হয়ে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয়। অপরদিকে, কৃত্তিম উপগ্রহ মানুষের তৈরী। মানুষ তার প্রয়োজনের জন্য বৌজ্ঞানিক ভাবে তৈরী বিভিন্ন ধাতবের তৈরী বিভিন্ন সরঞ্জাম পৃথিবীর বাইরের একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রেরণ করে। এই  ধাতবযন্ত্রকেই কৃত্তিম উপগ্রহ বলে। প্রাকৃতিক উপগ্রহ গতি ও আকার নির্দিষ্ট। অন্যদিকে, কৃত্তিম উপগ্রহ আকার ও গতি মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কৃত্তিম উপগ্রহ প্রাকৃতিক উপগ্রহের চেয়ে আকারে খুবই নগন্য হয়। প্রাকৃতিক উপগ্রহ পরিক্রমণকারী গ্রহের মধ্যে অভ্যন্তরীন পরিবর্তন করতে পারে।

(গ) P কোন ধরনের জ্যোতিষ্ক? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর :   P জোতিস্কটি একটি নক্ষত্র। অর্থাৎ এর নিজস্ব আলো ও তাপ আছে। নক্ষত্র এর চারদিকে প্রদক্ষিত বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহকে আলো ও তাপ প্রদান করে। নক্ষত্র গুলি একেকটি জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিন্ড। নক্ষত্রের মধ্যে হাউড্রোজেন পরমাণু ভেঙে হিলিয়াম অণুতে পরিণত হয় এই বিক্রিয়ার ফলে নক্ষত্রে প্রচুর তাপ ও আলো উৎপন্ন হয়। যেমন সূর্য আমাদের সৌরমণ্ডলের একটি নক্ষত্র।

(ঘ) P Q R সম্পর্কে তুলনামূলক আলোচনা করো ।

উত্তর :  প্রদপ্ত চিত্রে P, Q ও R হলো যথাক্রমে P – নক্ষত্র, Q – গ্রহ, ও R – উপগ্রহ। এই নক্ষত্র, গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে অনেক বৈসাদৃশ্য রয়েছে। নিম্নে আলোচনা করা হলো।

(P) – নক্ষত্র – P জোতিস্কটি একটি নক্ষত্র। অর্থাৎ এর নিজস্ব আলো ও তাপ আছে। নক্ষত্র এর চারদিকে প্রদক্ষিত বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহকে আলো ও তাপ প্রদান করে। নক্ষত্র গুলি একেকটি জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিন্ড। নক্ষত্রের মধ্যে হাউড্রোজেন পরমাণু ভেঙে হিলিয়াম অণুতে পরিণত হয় এই বিক্রিয়ার ফলে নক্ষত্রে প্রচুর তাপ ও আলো উৎপন্ন হয়

Q – গ্রহ : গ্রহ সবসময় একটি বড়ো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে পরিক্রমণ করে। গ্রহের নিজস্ব কোনো আলো বা তাপ নেই। নক্ষত্রের এদেরকে আলো প্রদান করে। গ্রহ আকারে অনেক বড়ো   হলেও নক্ষত্রের সামনে এদের আকার খুবই নগন্য। গ্রহের মধ্যে বিভিন্ন বৈচিত্র দেখা যায়। যেমন  অনেক  গ্রহে  বায়ুমন্ডল থাক, বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান থাকে। আবার কোনো কোনো গ্রহে জীববৈচিত্রও দেখা যায়।

R – উপগ্রহ : গ্রহ সৃষ্টি হওয়ার সময় অবশিষ্ট শিলাখণ্ড এবং ধূলিকণা একত্রিত হয়ে একটি শিলাপিন্ড সৃষ্টি হয় একেই উপগ্রহ বলা হয়। উপগ্রহ গ্রহকে প্রদক্ষিন করে। উপগ্রহেরও নিজস্ব কোনো আলো বা তাপ নেই। রাতের আকাশে গ্রহ থেকে  উপগ্রহকে উজ্বল ভাবে দেখা যায়। কারণ উপগ্রহ নক্ষত্রের আলোকরশ্মিকে প্রফলিত করে রাতের আকাশে উজ্জল হয়ে উঠে।

 

More Solutions :  
Updated: October 20, 2023 — 11:34 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *