NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 13 খাদ্য ও পুষ্টি Solution
Bangladesh Board Class 8 Science Solution Chapter 13 খাদ্য ও পুষ্টি Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের ত্রয়োদশ অধ্যায় খাদ্য ও পুষ্টি অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 8 Chapter 13 খাদ্য ও পুষ্টি :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 8 |
Subject | Science |
Chapter | Thirteen |
Chapter Name | খাদ্য ও পুষ্টি |
খাদ্য ও পুষ্টি অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
(১) কিলোক্যালরি কী?
উত্তর : খাদ্যে তাপশক্তির পরিমাপের একককে কিলোক্যালোরি বলা হয়। খাদ্য গ্রহণের পর তার থেকে দেহে উৎপন্ন তাপ শক্তিকে ক্যালোরিতে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। খাদ্য থেকে উৎপন্ন ১০০০ ক্যালরিকে ১ কিলোক্যালোরি বলা হয়। মানব দেহের শক্তি চাহিদাও এই কিলোক্যালোরিতে প্রকাশ করা হয়।
(২) ভিটামিন ‘এ‘-র অভাবে কী কী অসুবিধা দেখা দেয়?
উত্তর : ভিটামিন এ মানবদেহের জন্য একটি অতিগুরুপ্তপূর্ণ ভিটামিন। মানবদেহে ভিটামিন এ এর অভাব দেখা দিলে রাতকানা রোগ হতে পারে। সঠিক পরিমানে সবুজ শাকসবজি না খাওয়ার জন্য শরীরে ভিটামিন এ অভাব ঘটে। ভিটামিন এ আমাদের শরীরের ত্বক ও শ্বেত ঝিল্লিকে সুস্থ রাখে এবং দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রাখা করে। ভিটামিন মানব দেহের রক্তের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখে এবং দেহের পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সাহার্য্য করে। ভিটামিন এ অভাবে আমাদের দেহের এই কাজ গুলি বাধাপ্রাপ্ত হবে।
(৩) রিকেটস রোগের লক্ষণগুলো কী কী?
উত্তর :
আমাদের দেহে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম এর অভাব দেখা দিলে রিকেটস রোগ হয়। এই রোগের যখন গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো –
রিকেটস রোগের লক্ষন :
(১) এই রেগে আক্রান্ত শিশুর হাড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং হাড় ক্রমশ নরম হয়ে যায়।
(২) এই রোগের ফলে মানবদেহের বুকের হাড় ও পাঁজরের হাড় বাঁকা হয়ে যায়।
(৩) এই রোগের ফলে পায়ের হাড় ধনুকের মতো বেঁকে যেতে শুরু করে ফলে।
(৪) এই রোগ মানব দেহের সমস্ত হাড়কে নরম করে দিতে থাকে ফলে আমাদের দেহের ওজনের ফলে হাড়গুলি বেঁকে যায়।
(৪) রক্তে হিমোগ্লোবিনের প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর : আমাদের রক্তের লাল বর্ণটির হয় মূলত হিমোগ্লোবিনের জন্য। আমাদের দেহের প্রতিটি অংশে ও বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়াই হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ। এছাড়া হিমোগ্লোবিন রক্তের সঠিক ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহার্য্য করে। হিমোগ্লোবিন আমাদের রক্তে উপস্থিত একটি গুরুপ্তপূর্ন প্রোটিন।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) কোনটি দেহে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে ?
(ক) পানি
(খ) ভিটামিন
(গ) স্নেহপদার্থ
(ঘ) খনিজ লবণ
উত্তর :
(গ) স্নেহপদার্থ
(২) কোন ভিটামিনের অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়?
(ক) ভিটামিন এ
(খ) ভিটামিন সি
(গ) ভিটামিন ডি
(ঘ) ভিটামিন ই
উত্তর :
(গ) ভিটামিন ডি
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
সুমি টক খেতে পছন্দ করে না। এমনকি সে সবুজ শাকসবজি এবং টমেটোও খায় না। ইদানীং দেখা যাচ্ছে তার দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়ছে।
(৩) সুমির কী রোগ হয়েছে ?
(ক) স্কার্ভি
(খ) রিকেটস
(গ) মেরাসমাস
(ঘ) কোয়াশিয়রকর
উত্তর :
(ক) স্কার্ভি
(৪) উদ্দীপকের খাদ্যগুলোর অভাবে বয়স্কদের-
(i) হাড় নরম হয়ে যায়
(ii) ত্বক চুলকায় এবং ঘা হয়
(iii) বুকের হাড় ও পাঁজরে ব্যথা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও iii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) তালহা ইদানীং কিছুই খেতে চায় না। তার খাওয়ায় অরুচি এবং বমি বমি ভাব হয়। তার ত্বক খসখসে হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার তাকে ডিম ও দুধ বেশি করে খেতে বললেন।
(ক) খাদ্য কী?
উত্তর : যে সমস্ত সামগ্রী গ্রহণ করার ফলে জীবদেহের বিকাশ, বৃদ্ধি, পুষ্টি, তাপ ও শক্তি উৎপাদন এবং দেহের ক্ষয়পূরণ হয় সেই সকল আহার্য সামগ্রীকে খাদ্য বলে। খাদ্যকে গুনের উপর খাদ্যকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন – শর্করা জাতীয় খাদ্য, প্রোটিন জাতীয় খাদ্য, চর্বি জাতীয় খাদ্য ইত্যাদি।
(খ) পুষ্টি বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : আমাদের খাবার গ্রহণ করার পর সেই খাদ্য আমাদের পরিপাক তন্ত্রের প্রবেশ করে এবং সেখানে এই খাদ্যের বিভিন্ন জটিল উপাদান গুলো সরল উপাদানে পরিণত হয়। এরপর খাদ্যের এই সরল উপাদান গুলি দেহ দ্বারা শোষিত হয়ে কোষের মধ্যে চলে যায় এবং দেহের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে ঠিক করে এবং দেহের বৃদ্ধির জন্য নতুন কোষের সৃষ্টি করে। দেহ গঠনে খাদ্যের এই প্রক্রিয়াকে পুষ্টি বলে। তাই পুষ্টিকে একটি পক্রিয়া বলে।
(গ) ডাক্তার তালহাকে উল্লিখিত খাবারগুলো খেতে বললেন কেন?
উত্তর : তালহা কোয়াশিয়রকর রোগে আক্রান্ত হয়েছে। শরীরে আমিষ জাতীয় খাবারের,অভাব দেখা দিলে এই রোগ দেখা যায়। এই রোগে আক্রান্ত রুগীর প্রোটিনের অবাব দেখা দেয়।কোয়াশিয়রকর রোগ বেশির ভাগ শিশুদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খায়াতে হবে।
(ঘ) ডাক্তারের পরামর্শমতো খাবার না খেলে পরবর্তীতে তালহার আরও কী সমস্যা হতে পারে? বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : ডাক্তারের পরামর্শ মতো খাবার না খেলে পরবর্তী কালে তালহার শারীরিক অবস্থা আরো খারাব হবে। কেননা কোয়াশিয়রকর রোগের কারণে রোগীর পেশি দুর্বল হতে থাকে, ঘন ঘন ডায়রিয়া হয়, এবং সঠিক চিকিৎসার সাথে সাথে পুষ্টি যুক্ত খাবার না খেলে এই রোগের কারণে ধীরে ধীরে রোগীর পেট বড়ো হতে থাকে এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই তালহার ডাক্তারের পরামর্শ মতো খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
নূরজাহান বেগম তার আট বছরের ছেলে বকুলের দৈহিক বৃদ্ধি নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। তিনি তার শারীরিক বৃদ্ধি ও সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য তাকে বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়াতে শুরু করেন। তবে তিনি নিজের এবং বকুলের বাবা, দাদা ও দাদীর খাদ্য তালিকায় ভিন্ন ধরনের খাবার রাখেন।
(ক) প্রোটিন কী?
উত্তর : প্রোটিন বা আমিষ হলো অ্যামিনো এসিডের একটি কঠিন যৌগ। প্রোটিন মূলত কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও সালফার ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত হয়। প্রোটিন জীবের দেহের বিকাশ ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মাছ, মাংশ, মুসুর ডাল, দুধ ইত্যাদি থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়। আমাদের দেহ প্রোটিনকে সরাসরি গ্রহণ করতে পারে না। আমাদের পরিপাক তন্ত্রে প্রোটিন জাতীয় খাবার প্রবেশ করলে, সেই সকল কঠিন ও জটিল খাবারকে সরল ও দেহের শোষণ উপযোগী অ্যামাইনো এসিডে পরিণত করে। এই অ্যামাইনো এসিড আমাদের দেহের কোষ গঠন, ক্ষয়পূরণ, দেহের আকার ও আয়তন বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত আবশ্যিক।
(খ) রাফেজ বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : আমাদের শরীরের গৃহীত বিভিন্ন খাবার যেমন শাকসবজি, ফলমূল ও শস্য দানা ইত্যাদি আঁশ বা ফাইবার জাতীয় খাদ্য পুরোপুরি ভাবে হজম হয় বা দেহের মধ্যে পুরোপুরি হজম হয় না এই সব খাবারের এই অপাচ্য ও অবশিষ্ট অংশকেই রাফেজ বলা হয়। শুধু মাত্র আঁশ যুক্ত খাবার থেকেই রাফেজ পাওয়া যায়। রাফেজ শরীরের জন্য কোন পুষ্টি উপাদান নয় কিন্তু সুসাস্থ বজায় রাখার জন্য রাফেজ গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(ঘ) নূরজাহান বেগমের পরিবারের সদস্যদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন খাদ্য নির্বাচনের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : নুরজাহান বেগম পরিবারের সদস্যদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন খাদ্য নির্বাচন করেছিলেন কেননা তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের বয়স আলাদা আলাদা। নূরজাহানের বেগমের ছেলে বকুলের বয়স মাত্র ৮ বছর। বাকি সদস্যদের বয়স বুকুলের থেকে বেশি তাদের দেহের জন্য যেসব খাদের প্রয়োজন হবে তা বকুলের জন্য উপযুক্ত হবে না। বকুলের জন্য অধিক পুষ্টিযুক্ত, অর্থাৎ প্রোটিন, ফাইবার, মেদ, শর্করা ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাবার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বকুলের দেহের পূর্ণ বিকাশের জন্য তাই বাড়ির বাকি সদস্যদের থেকে ভিন্ন খাবারের প্ৰয়োজনীয়তা রয়েছে।