NCTB Class 7 BGS Chapter 13 টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) Solution/Guide
Bangladesh Board Class 7 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ত্রয়োদশ অধ্যায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 7 Chapter 13 টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 6 |
Subject | BGS |
Chapter | 13 |
Chapter Name | টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) |
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) কত সালে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের কাজ শুরু হয়েছে?
(ক) ১৯৪৫
(খ) ২০০০
(গ) ২০১৫
(ঘ) ২০১৬
উত্তর :
(গ) ২০১৫
(২) নিচের কোনটির উন্নয়নের স্বার্থে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট প্রণীত হয়েছে?
(ক) দক্ষিণ আমেরিকার
(খ) আফ্রিকার
(গ) এশিয়ার
(ঘ) সমগ্র বিশ্বের
উত্তর :
(ঘ) সমগ্র বিশ্বের
নিচের টেবিলে দুটি কর্মসূচি সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করা হলো-
কর্মসূচি ক্রম | কর্মসূচি প্রণয়নকারী সংস্থা | কর্মসূচির মেয়াদকাল | কর্মসূচির লক্ষ্যের সংখ্যা |
1. | জাতিসংঘ | ২০০০-২০১৫ | ০৮টি |
2. | জাতিসংঘ | ২০১৬-২০৩০ | ১৭টি |
(৩) অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘১‘ নং ক্রমিকের কর্মসূচি নিম্নের কোনটি?
(ক) সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য
(খ) টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট
(গ) সামাজিক উন্নয়ন লক্ষ্য
(ঘ) অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্য
উত্তর :
(ঘ) অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্য
(৪) অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘২‘ নং ক্রমিকের কর্মসূচির মাধ্যমে অর্জিত হবে-
(i) শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস
(ii) নারী-পুরুষের সমতা
(iii) সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানির নিশ্চয়তা
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) i, ii ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) চিনু বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় বেড়াতে আসলো। মামার সাথে ঢাকায় বেড়াতে বেরিয়ে সে দেখল জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে বিশাল একটি সাইনবোর্ড যেখানে জাতিসংঘের মনোগ্রামের পার্শ্বে বুলেট পয়েন্টে ১৭টি লক্ষ্য লিখা আছে। টেলিভিশনে রাত ৮ টার সংবাদে একই ধরনের একটি সাইনবোর্ড দেখে সে মামাকে প্রশ্ন করলে মামা চিনুকে সবকিছু বুঝিয়ে বলে। উত্তর শুনে চিনু তার ভগ্নস্বাস্থ্য ও লেখাপড়া নিয়ে ভাবতে লাগল ।
(ক) SDG এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : SDG এর পূর্ণরূপ হলো Sustainable Development Goals বা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট। ২০১৫ সালে MDG এর মেয়াদ শেষ হলে জাতিসংঘ SDG কার্যক্রম এর সূচনা করে। এই SDG এর অধীনে ১৭টি অভীষ্ট গৃহীত হয় সমগ্র বিশ্বের উন্নতির জন্য।
(খ) জেন্ডার সমতা বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : জাতিসংঘের নেওয়া SDG কার্যক্রমের একটি বিশেষ ও গুরুপ্তপর্ণ অভীষ্ট হলো জেন্ডার সমতা অর্থাৎ সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে উভয়কেই সমান অধিকার প্রদান করা। জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশ এই লক্ষ বা অভীষ্ট সফল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সমাজে নারীরা চিরকালই অবহেলিত হয়ে আসছে। তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকছে। অনেক দেশের নারীরা শিক্ষার মতো সাধারন মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত থাকে। জাতিসংঘের এই অভীষ্টের দ্বারা পৃথিবীর সকল দেশের সকল সমাজের নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা আনাই এই অভীষ্টের প্রধান লক্ষ।
(গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত চিনুর দেখা সাইনবোর্ডের কর্মসূচিটি কী? ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর : উদ্দীপকে চিনুর দেখা সাইনবোর্ডটি জাতিসংঘের SDG অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের। সমগ্র বিশ্বের সামগ্ৰিক উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘের দ্বারা স্থির করা হয়েছে ১৭টি লক্ষ যা ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। জাতিসংঘের এই ১৭টি কর্মসূচি হলো –
(১) পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের দারিদ্রতা দূর করা। দারিদ্রতা মানুষকে সঠিক ও সুস্থ জীবন-যাপন করা থেকে বাধা দেয়। তাই পৃথিবী থেকে দরিদ্রতা দূর করা জাতিসংঘের লক্ষ।
(২) বিশ্বের বহু মানুষ খেতে না পাওয়ার জন্য সঠিক পুষ্টির অভাব ও বিভিন্ন রোগের কবলে পড়ছে, এমনকি মৃত্যুও হচ্ছে বহু মানুষের। তাই সকল মানুষকে ক্ষুদা থেকে মুক্তি দেওয়া জাতিসংঘের এই SDG কর্মসূচির একটি মূল উদ্দেশ্য।
(৩) সুস্বাথ প্রত্যেক মানুষের অধিকার আর সুস্থ ভাবে বেচে থাকার জন্য চাই স্বাস্থকর পরিবেশ এর জন্য পৃথিবীর থেকে অস্বাস্থকর পরিবেশকে সুস্থকর পরিবেশে পরিণত করা জাতিসংঘের আরেকটি লক্ষ .
(৪) শিক্ষা ও সঠিক জ্ঞান অর্জন প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার তাই যাতে পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষ সুশিক্ষা এবং সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয় তা সুনিশ্চিত করা এই কর্মসূচির লক্ষ।
(৫) পৃথিবীর মধ্যে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান অধিকার থাকা বাঞ্চনীয় কিন্তু পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দেখা যায়। পৃথিবী থেকে এই বৈষম্যতা দূর করে নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে সমান অধিকার দেওয়াও এই কর্মসুচির লক্ষ।
(৬) বিশুদ্ধ জল যেমন মানুষের জীবন নির্ধারণের জন্য প্রধান উপাদান তেমনি মানুষের থেকে উৎপন্ন বা নির্গত বর্জকে সঠিক ভাবে নিষ্কাশন করাও মানুষের জীবন নির্ধারণের অংশ। তাই মানুষকে স্বাস্থকর জীবন দেওয়ার জন্য শুদ্ধ পানীয় এবং বর্জ নিষ্কাশনও SDG এর লক্ষ।
(৭) পৃথিবীকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা যেমন প্রয়োজন তেমনি পৃথিবীতে মানুষের জীবনকে সচল রাখার জন্য জ্বালানির ব্যবহার আবশ্যিক। তাই যাতে মানুষের জ্বালানির ব্যবহারও থেকে এবং পৃথিবীও দূষিত না হয় সেরকম জ্বালানির উদ্ভাবন করা অর্থাৎ সাশ্রয়ী এবং দূষণমুক্ত জ্বালানির ব্যবহার করা।
(৮) প্রত্যেক দেশের শোভন কাজ অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করা।
(৯) পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কাজ করা।
(১০) পৃথিবীর সকল মানুষ সমান তাই জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, সামাজিক অবস্থা, বয়স এই সকল ক্ষেত্রের বৈষম্য হ্রাস করে পৃথিনী থেকে অসমতা হ্রাস করা।
(১১) পৃথিবীতে প্রত্যেক দেশে স্থিতিশীল উন্নয়ন বা টেকসই উন্নয়ন করা। প্রত্যেক দেশে নাগরিকদের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার জন্য যাতে পৃথিবীর কোনো উপাদানের ক্ষতি না হয় সেই উদেশ্য সফল করা।
(১২) ভবিৎষতে প্রজন্মের জন্য পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ সঞ্চয় করা। নিজেদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমিত ব্যবহার করা এবং ভবিৎষত প্রজন্মের জন্য যাতে পর্যাপ্ত পরিমানে এই সম্পদ বজায় থাকে তা সুনিশ্চিত করা।
(১৩) পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী সকল প্রকার উৎসের সমাধান করা এই কর্মসুচির প্রধান লক্ষ। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পৃথিবীর সর্বত্র অনাবৃষ্টি, খরা, অতিবৃষ্টি , বন্যা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ইত্যাদি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ করা এই কর্মসূচির লক্ষ।
(১৪) দূষণের হাত থেকে জলজ জীবনকে রক্ষা করা, মানুষের চাহিদার থেকে বেশি শিকার জলজ প্রাণীদের স্বাভাবিক জীবনকে নষ্ট করেছে। তাই জলজ প্রাণীদের স্বাভাবিক জীবন আনা SDG কর্মসূচির অংশ।
(১৫) পৃথিবীর জলজ প্রাণীদেরও স্বাভাবিক ভারসাম্যতা ক্ষুন্ন হয়েছে এই কারণে বহু স্থলজ জীব পৃথিবী থেকে চিরকালের জন্য হারিয়ে গেছে এই কারণে স্থলজ প্রাণীদের বা বাস্তুতন্ত্র এর ভারসাম্য ঠিক করা এই কর্মসূচির অংশ।
(১৬) পৃথিবীর সকল স্থান বা দেশের মধ্যে শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা। যাতে পৃথিবীতে যুদ্ধ, বিরোধ, দাঙ্গা ইত্যাদি অসামাজিক কাজ সংগঠিত না হয়।
(১৭) উপরিউক্ত সকল কার্যকে যাতে সঠিক ভাবে ও সঠিক সময়ে সম্পন্ন করা যায় তার জন্য সকল দেশকে পরস্পরের সাহার্য্য করতে হবে এবং সকল দেশেকে এই অভীষ্ট পূরণের জন্য অঙ্গীকার করতে হবে এবং অংশীদারিত্ব গ্রহণ করতে হবে।
পৃথিবীকে মানুষের জন্য একটি নিরাপদ, স্বাস্থকর, এবং ভবিৎষত প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলা জাতিসংঘের গৃহীত SDG কর্মসূচির লক্ষ এবং উদ্দেশ্য।
(ঘ) সাইনবোর্ডে প্রদর্শিত লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে চিনুদের মতো শিক্ষার্থীদের জীবন সার্থক হবে- তুমি কি বক্তব্যটির সাথে একমত? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও ।
উত্তর : ২০১৫ সালের জাতিসংঘের দ্বারা গৃহীত SDG কর্মসূচির সকল অভীষ্টের মধ্যে সব থেকে গুরুপ্তপূর্ণ ও বিশেষ কর্মসূচি হলো পৃথিবীর সকল শিশুকে শিক্ষিত করে তোলা। পৃথিবীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য সকল মানুষের পর্যাপ্ত শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করা সর্বাধিক প্রয়োজন। এই কারণে জাতিসংঘ শিক্ষার অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গরীব ও দুস্থ শিশুদেরকে কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেবার জন্য তৈরী করা হয়েছে বিদ্যালয় ও বিনামূল্যের বিদ্যালয়। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজের দুস্থ বাচ্চাদেড়কে স্কুলমুখী করার প্রয়াস করা হচ্ছে। দেশ-বিদেশের সকল শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য অনুদান বা স্কলারশিপ প্রদান করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবী থেকে ও শিক্ষা বা মূর্খতা দূর করা এই SDG কর্মসূচির প্রধান লক্ষ। এই কারণে জাতিসংঘ নেওয়া এই কর্মসূচি সফল হলে সমগ্র পৃথিবীর শিক্ষার্থীরা লাভবান হবে এবং শিক্ষার আলো সমাজের সকল মানুষের কাছে পৌঁছবে।