NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 10 এসো বলকে জানি Solution
Bangladesh Board Class 9-10 Science Solution Chapter 10 এসো বলকে জানি Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের দশম অধ্যায় এসো বলকে জানি অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 9-10 Chapter 10 এসো বলকে জানি :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 9-10 |
Subject | Science |
Chapter | 10 |
Chapter Name | এসো বলকে জানি |
এসো বলকে জানি অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) গাছ থেকে একটি ফল মাটিতে গছল – এটি কোন বলের উদাহরণ?
(ক) মহাকর্ষ বল
(খ) চৌম্বক বল
(গ) তড়িত চৌম্বক বল
(খ) দুর্বল নিউক্লীয় বল
উত্তর :
(ক) মহাকর্ষ বল
(২) বল :
(i) বস্তুর দিক অপরিবর্তিত রাখে
(ii) বস্তুর আকৃতি পরিবর্তন করে
(iii) স্থির বস্তুকে গতিশীল করে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(গ) ii ও iii
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
N বল প্রয়োগ করার একটি বস্তুর ত্বরণ হল ৪ মি/সে। বল প্রয়োগ বন্ধ করে বস্তুটিকে মেঝেতে ছেড়ে দেওয়া হলো। বস্তুটি কিছু দুর যাওয়ার পর থেমে গেল।
(৩) বস্তুর ভর কত?
(ক) ২০০ gm
(খ) 800 gm
(গ) ৫০০ gm
(ঘ) ৭৫০ gm
উত্তর :
(গ) ৫০০ gm
(৪) কোন বলের কারণে বস্তুটি থেমে গেল?
(ক) ঘর্ষণ বল
(খ) মহাকর্ষ বল
(গ) চৌম্বক বল
(খ) তড়িত চৌম্বক বল
উত্তর :
(ক) ঘর্ষণ বল
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) স্বপ্না বাসে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। বাসটির ভর ছিল ১৪০০ kg এবং এটি ৪ মি/সে স্বরণে চলছিল। চলন্ত বাসটিতে হঠাৎ ড্রাইভার ব্রেক চাপলে স্বপ্নাসহ যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ল। আবার বাসটি যখন চলতে শুরু করল, তখন তারা পিছনের দিকে হেলে পড়ল ।
(ক) স্পর্শ বল কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল কাজে বল প্রয়োগের জন্য কোনো কিছুকে স্পর্শ করে বল প্রয়োগ করতে হয় সেই বলকে স্পর্শ বল বলে।
(খ) বল বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : আমরা কোনো বস্তূকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরাতে, ঠেলতে, বা উপরে তুলতে যে শক্তি প্রয়োগ করি তাকেই বল বলে। আমাদের দৈনিক জীবনের প্রত্যেকটি কাজ করার জন্য বলের প্রয়োজন হয়। যেমন – সাইকেল চালানো, কোনো বস্তূকে সরাতে উপরে তুলতে, খাওয়ার জন্য চামচ বা জলের গ্র্যাসকে উপরে তুলতেও বলের প্রয়োজন হয়। বল প্রয়োগের দ্বারা কোনো স্থির বস্তূকে চালিত এবং কোনো চালিত বস্তূকে থামানো যায়।
(ঘ) যাত্রীরা প্রথমে সামানের দিকে ঝুঁকে পড়লেও পরবর্তীতে পিছনে হেলে পড়ার কারণ বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : যাত্রীরা বাসটিতে স্থির হয়ে বসে থাকলো যেহেতু বাসটি চলমান ছিল তাই বাসের ভেতরে থাকা প্রত্যেক যাত্রীর উপর গতিশীল বল বা চলমান বল কার্যকরী ছিল কিন্তু যখন বাসটি হটাৎ ব্রেক করল তখন বাসের সকলের মধ্যে থাকা চলমান গতিবল সবাইকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু যেহেতু তারা বাসের ভেতরে ছিল তাই সবাই কিছুটা সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলো বা হেলে পড়েছিল। কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যেই বাসের ভেতরে থাকা সকলের মধ্য থেকে গতিশীল বা চলমান বল শেষ হয়ে যায় এবং চলমান বলের থেকে বিপরীতমুখী বলের সৃষ্টি হয় ফলে তাই বাসের সকলে কিছু সময়ের মধ্যেই পেছনের দিকে হেলে পরে। বাসের ব্রেক লাগানোর ফলে বাসের চলমান বা গতিশীল বল বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল এবং স্থিতিক বলে রুপান্তিরিত হয়েছিল।
(২) তুর্য দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকে। একদিন সে বাসায় একটি ভারী টেবিলের সামনের চেয়ারে বসে টেবিলকে টানতে শুরু করল। কিন্তু চেয়ারসহ সে নিজেই টেবিলের দিকে সরে গেল। পরদিন সে একটি মার্বেলকে রুমের মসৃণ মেঝেতে নির্দিষ্ট বলে গড়িয়ে দিল। এরপর বাসার বাইরে পিচের রাস্তায় একই মার্বেলকে একই বলে গড়িয়ে দিল। তখন এটি তার চেয়ে কম দূরত্ব অতিক্রম করল।
(ক) নিউটনের গতিবিষয়ক দ্বিতীয় সূত্রটি কী?
উত্তর : নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রটি হলো বস্তূর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক হয়। অর্থাৎ একটি বস্তূর উপর যে পরিমান বল প্রয়োগ হবে সেই বস্তুটির গতি পরিবর্তনের হার তার সমান বা সমানুপাতিক হবে।
(খ) জড়তা বলতে কী বুঝায় ?
উত্তর : সকল বস্তূ তার স্বভাবিক অবস্থায় থাকতে চায় অর্থাৎ কোনো গতিশীল বস্তূ সবসময় গতিশীল থাকতে চায় এবং কোন স্থিতিশীল বস্তূ সব সময় স্থিতিশীল অর্থাৎ স্থির থাকতে চায়। বস্তূর এই প্রবণতাকে সহজ ভাষায় জড়তা বলা হয়। এই কারণে বল প্রয়োগ না করে কোনো বস্তূকে স্থিতিশীল থেকে গতিশীল করা যায় না আবার একই ভাবে কোনো গতিশীল বস্তূকে স্থিতিশীল করা যায় না। বস্তূর এই রকম অবস্থার জন্যই বল প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয়।
(গ) চেয়ারসহ তূর্য টেবিলের দিকে সরে আসলো কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : চেয়ার সহ তূর্য টেবিলের দিকে সরে এসেছিলো কারণ এখানে তূর্যের দ্বারা প্রয়োগ করা বলের থেকে টেবিলের জড়তা অনেক বেশি ছিল। অর্থাৎ কোনো স্থির বস্তূ সবসময় স্থির এবং কোনো গতিশীল বস্তূ সবসময় গতিশীল থাকতে চায় একেই জড়তা বলে। নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রে এই নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাই কোনো স্থির বস্তূর ভর যত বেশি হবে তাকে গতিশীল করার জন্য ততো বেশি বল প্রয়োগ করতে হবে। তাই টেবিলের উপর তুর্য যে পরিমান বল লাগিয়েছিল সেই বল অপেক্ষা টেবিলের ভর অনেক বেশি ছিল অর্থাৎ টেবিলের সাথে ঘরের মেঝের ঘর্ষণ বলের পরিমান অনেক বেশি ছিল ফলে তূর্যের প্রয়োগ করা বলে টেবিলকে সরানোর জন্য পর্যাপ্ত ছিল না ফলে তূর্যের দ্বারা প্রযোজ্য বল তূর্যকে চেয়ার সমেত টেবিলের সামনে নিয়ে এসেছিলো। কারণ তূর্যের প্রয়োগ করা বল তুর্জ ও চেয়ে ঘর্ষণ বলের থেকে বেশি ছিল। তাই যখন ভারী টেবিলে তুর্জ অনেক বেশি বল প্রয়োগ করলেও তা ওই টেবিলের ঘর্ষণ বল অপেক্ষা অনেক কম ছিল এই কারণে তুর্জ চেয়ার সমতে টেবিলের দিকে সরে আসে।
(ঘ) মার্বেলটির দুইটি স্থানে অতিক্রান্ত দূরত্ব ভিন্ন হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : এই ঘটনার কারণ হলো গতিশীল বস্তূর মধ্যে বাধা সৃষ্টি হওয়া বা গতিশীল বস্তূর সাথে পৃষ্ঠতলের ঘর্ষণ অর্থাৎ ঘর্ষণবল। তূর্য্য মার্বেলকে প্রথমে ঘরের রুমের মসৃন মেঝেতে একটি নির্দিষ্ট বলের সাথে গড়িয়ে দিয়েছিলো। ফলে মার্বেল যা স্থিলিশীল ছিল তা বলের কারণে গতিশীল হয়েছে এবং মেঝে অর্থাৎ পৃষ্ঠতলও মসৃন ছিল ফলে তূর্য্য দ্বারা মার্বেলের উপর প্রযোজ্য বল এবং পৃষ্ঠতলের মসৃন হওয়ার কারণে মার্বেলটিকে গতিশীল অবস্থা থেকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনার জন্য বাধা, বিপরীত বল বা ঘর্ষণ বলের পরিমান অনেক কম ছিল কিন্তু যখন তূর্য্য একই বলের দ্বারা একই মার্বেলকে পিচের রাস্তায় গড়িয়ে দিয়েছিলো তখন মার্বেলটি মসৃন মেঝেতে যতটা দূরত্ব অতিক্রম করেছিল তার থেকে অনেক কম দূরত্ব অতিক্রম করেছিল। এর কারণ হলো পিচের রাস্তা অমসৃণ ছিল এবং এর সাথে সাথে রাস্তায় অনেক ধুলোবালি, নুড়ি, ও বাধা ছিল। ফলে মার্বেলটির গতিশীল অবস্থা থেকে স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য অনেক বাধা, বিপরীত ঘর্ষণ বল প্রযোজ্য ছিল। তাই মার্বেলটি মসৃন মেঝের তুলনায় পিচের রাস্তায় অনেক কম দূর অতিক্রম করে ছিল। এখানে নিউটনের প্রথম সূত্র প্রযোজ্য ছিল।
More Solutions :