NCTB Class 8 Science Bengali Version Chapter 10 অম্ল, ক্ষারক ও লবণ Solution
Bangladesh Board Class 8 Science Solution Chapter 10 অম্ল, ক্ষারক ও লবণ Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের দশম অধ্যায় অম্ল, ক্ষারক ও লবণ অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 8 Chapter 10 অম্ল, ক্ষারক ও লবণ :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 8 |
Subject | Science |
Chapter | Ten |
Chapter Name | অম্ল, ক্ষারক ও লবণ |
অম্ল, ক্ষারক ও লবণ অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
শূন্যস্থান পূরণ কর
(১) এসিডসমূহ পানিতে ___ উৎপন্ন করে।
(২) ক্ষার হলো এক ধরনের ক্ষারক যারা ___
(৩) সকল -কিন্তু সকল ___ নয়।
(৪) এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ায় ___ উৎপন্ন হয়।
(৫) এন্টাসিড হলো ___ জাতীয় পদার্থ।
উত্তর :
(১) এসিডসমূহ পানিতে তাপ করে।
(২) ক্ষার হলো এক ধরনের ক্ষারক যারা জলে দ্রবীভূত হয়।
(৩) সকল ক্ষার ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়।
(৪) এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ায় লবন উৎপন্ন হয়।
(৫) এন্টাসিড হলো ক্ষার জাতীয় পদার্থ।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
(১) এসিড ও ক্ষারকের মূল পার্থক্য কী ?
উত্তর : এসিড ও ক্ষারকের মূল পার্থক্য হলো এসিড বা অম্ল নীল লিটমাস পেপারকে লাল বর্ণে পরিণত করে এবং ক্ষারক লাল লিটমাস পেপারকে নীল বর্ণে রূপান্তরিত করে। এসিড বা অম্লের স্বাদ টক হয় অপরদিকে ক্ষারকের স্বাদ কটু বা তেতো হয়।
(২) সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয় – এ কথার ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : যে সকল ক্ষারক জলে দ্রবীভূত হয় সেই সকল ক্ষারককে ক্ষার বলা হয়। তাই যে সমস্ত ক্ষারক জলে দ্রবীভূত হয় না তা ক্ষার নয়। এই কারণে সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার হতে পারে না।
(৪) বিশুদ্ধ পানি ও লবণ কি লিটমাস কাগজের রং পরিবর্তন করে? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর : বিশুদ্ধ জল ও লবন দুটিই নিরপেক্ষ যা লিটমাস কাগজের রং পরিবর্তন করতে পারে না। কারণ এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ার ফলে লবন উৎপন্ন হয়। তাই লবন একটি নিরপেক্ষ পদার্থ। লবন এসিড বা ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে না। খাবার লবণের সাথে সাথে আরো অনেক লবন আছে যা সব সময় নিরপেক্ষ পদার্থ হিসেবে কাজ করে। অপরদিকে, বিশুদ্ধ জলও লিমাস পেপারের রঙের কোনো পরিবর্তন করে না কারণ বিশুদ্ধ জলও একটি নিরপেক্ষ পদার্থ। বিশুদ্ধ জলে এসিড বা ক্ষারক উপস্থিত থাকে না। তাই বিষ্যুদ্ধ জল লিটমাস পেপারের সাথে কোনো বিক্রিয়া করে না।
(৫) নির্দেশক বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : যখন কোনো বস্তূ এডিস বা ক্ষারীয় পদার্থের সংস্পর্শে এসে আলাদা আলাদা বর্ণ ধারণ করে এবং পদার্থটি এসিড নাক্ষারক তা নির্দেশ করে তখন তাকে নির্দেশক বলে। যেমন – লিটমাস পেপার। লিটমাস পেপার এসিডের সংস্পর্শে এসে নীল বর্ণ থেকে লাল বর্ণে রূপান্তরিত হয়ে যায় এবং ক্ষারকের সংস্পর্শে এসে লাল বর্ণ থেকে নীল বর্ণে রূপান্তরিত হয়ে নির্দেশ করে পদার্থটি এসিডিক না ক্ষারীয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) টমেটোতে কোন এসিড থাকে?
(ক) এসিটিক এসিড
(খ) অক্সালিক এসিড
(গ) ম্যালিক এসিড
(ঘ) সাইট্রিক এসিড
উত্তর :
(খ) অক্সালিক এসিড
(২) কোন এসিড খাওয়া যায় ?
(ক) HNO3
(খ) HCI
(গ) H₂SO
(ঘ) CH3COOH
উত্তর :
(ঘ) CH3COOH
নিচের বাক্যটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও
আদিল একদিন জিঙ্ক অক্সাইড ও হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়া ঘটালো।
(৩) বিক্রিয়াটিতে উৎপন্ন যৌগ হলো-
(i) লবণ
(ii) ক্ষার
(iii) পানি
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i ও iii
(৪) কার্বনেটযুক্ত লবণের সাথে দ্বিতীয় যৌগটির বিক্রিয়া ঘটালে কী উৎপন্ন হবে?
(ক) H2
(খ) O2
(গ) CO2
(ঘ) Cl2
উত্তর :
(গ) CO2
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) ফারাহ তৈলাক্ত খাবার খেতে পছন্দ করে। ইদানীং তার পেটে প্রায়ই ব্যথা হয়। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার জানালেন তার এসিডিটি হয়েছে। ডাক্তার তাকে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করার পাশাপাশি একটি ঔষধ খেতে পরামর্শ দিলেন।
(ক) লবণ কী?
উত্তর : এসিড ও ক্ষারকের মধ্যে বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন উপাদানই হলো লবন। লবন এসিড ও ক্ষারকের বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হয় বলে এই একটি নিরপেক্ষ পদার্থ অর্থাৎ লবন লিটমাস পেপারের রং লাল থেকে নীল বা নীল থেকে লালে পরিবর্তন করে না। লবন সব সময় নিরপেক্ষ থাকে।
(খ) মিল্ক অফ লাইম বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : জল ও ক্যালসিয়াম হাউড্রোক্সাইডের পেস্টকে মিল্ক অফ লাইম বলে। মিল্ক অফ লাইম পোকামাকড় দমন করতে ব্যবহার করা হয়। জলের মধ্যে কলোসিয়াম হাউড্রোক্সাইড যুক্ত করলে একটি কলোসিয়াম হাড্রোক্সাইড সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয় না ফলে একটি পেস্ট তৈরী হয়। এই পেস্টিই মিল্ক অফ লাইম বলে।
(গ) ডাক্তার কী ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন এবং কেন দিলেন?
উত্তর : ফারাহ তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ করে ফলে তার পেটের মধ্যে তেল ও হজমে সাহার্য্যকারী হাইড্রোক্লোরিক এসিড বিক্রিয়া করে এসিডিটির সমস্যা তৈরী করে। এই রোগের থেকে মুক্তির জন্য ডাক্তার ফারাহকে এন্টাসিড ওষুধ খেতে বলে ছিল। অর্থাৎ ডাক্তার তাকে ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ট্যাবলেট খেতে বলেছিলো। কারণ ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড পেটের হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে পেটের ভেতরের এসিডিটিকে কমিয়ে দেবে। এবং পেটের ও বুকের জ্বালাকে কমাতে সাহার্য্য করবে।
(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত এসিডিটি তৈরি হওয়ার উপাদানটি কোন ধরনের যৌগ এবং কেন? বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : উদ্দীপকে উল্লিখিত এসিডিটি তৈরী হওয়ার উপাদানটি একটি ক্ষারক। এই ক্ষারক আমাদের পেটের মধ্যে অবস্থিতিতো হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে এবং গ্যাস উৎপন্ন করে এই গ্যাস আমাদের পেট থেকে গলা দিয়ে উপরে উঠে আসে এবং এর ফলে গলা ও বুকে জ্বলার সৃষ্টি হয়।
(২) মানছুরা খানম মাঝে মাঝে পান খান। তিনি একদিন একটি পাত্রে চুন ভিজিয়ে রাখলেন। কিছুক্ষণ পর লক্ষ করলেন, পাত্রটি অনেক গরম হয়ে গেছে। তিনি আরও লক্ষ করলেন, পাত্র থেকে চুন নেওয়ার সময় চুনের পানিতে নিঃশ্বাস পড়ায় পানিটা ঘোলা হয়ে গেল।
(ক) ক্ষার কী?
উত্তর : যে সকল ক্ষারক পদার্থ জলে সম্পুর্ন্ন ভাবে দ্রবীভূত হয় সেই সকল ক্ষারককে ক্ষার বলে। যেমন – NH4OH, NaOH, Ca(OH)2 এই সকল ক্ষারক পদার্থ জলে দ্রবীভূত হয়।
(গ) মানছুরা খানমের পাত্রে ভিজানো যৌগটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : মানছুরা খানমের পাত্রে ভিজানো যৌগটি হলো ক্যালসিয়াম অক্সাইড বা চুন। ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড বা চুন আমাদের দৈনিন্দন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত হয়। যেমন – এই ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের সাথে ক্লোরিন গ্যাসের মিশ্রণ ব্লিচিং পাউডার পাওয়া যায়। এই ব্লিচিং পাউডার আমাদের বিভিন্ন দরকারে যেমন – জলের জীবাণু নাশ করতে, শ্যাওলা পরিষ্কার করতে, বাড়ির আসে পাশে মশার উপদ্রব কমাতে ব্যবহার হয়। আবার ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের সাথে জল মিশিয়ে লাইম ওয়াটার প্রস্তুত করা হয় যা দেওয়াল রং করার কাজে ব্যবহার করা হয়। আবার এই ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের সাথে জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করলে মিল্ক অফ লাইম পাওয়া যায় যা পোকামাকড় তাড়াতে ব্যবহার করা হয়।
(ঘ) উদ্দীপকে উৎপন্ন ১ম যৌগটি ক্ষার ও ক্ষারক উভয় ধর্মই প্রদর্শন করে, বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : উদ্দীপকের উৎপন্ন ১ম যৌগটি হলো ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড বা চুন। এই পদার্থটি একদিকে জলের সাথে বিক্রিয়া করে প্রচুর পরিমান তাপ শক্তি উৎপন্ন করে। আবার এই যৌগটি জলে দ্রবীভূত হয়েছে। যৌগটির মধ্যে স্বাদ পরীক্ষা করলে দেখা যাবে যৌগটির স্বাদ তেতো বা কটু। পদার্থটি কিছুটা পিচ্ছিল প্রকৃতিরও হয়েছে। অর্থাৎ ক্ষারের সকল ধর্মই উৎপন্ন যৌগটিতে প্রকাশ পেয়েছে। আবার যৌগটি জলের সাথে বিক্রিয়া করে এবং তাপশক্তি উৎপন্ন করে ফলে যৌগটিতে ক্ষারকের ধর্মও প্রকাশিত হয়েছে।