NCTB Class 8 BGS Chapter 4 ঔপনিবেশিক যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য Solution/Guide
Bangladesh Board Class 8 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 4 ঔপনিবেশিক যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য. Solution for Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের চতুর্থ অধ্যায় ঔপনিবেশিক যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 8 Chapter 4 ঔপনিবেশিক যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 8 |
Subject | BGS |
Chapter | চতুর্থ |
Chapter Name | ঔপনিবেশিক যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য |
ঔপনিবেশিক যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) বাংলাদেশে ঔপনিবেশিক যুগ ছিল কোনটি ?
(ক) ১৭৫৭-১৮৫৭
(খ) ১৭৮১-১৮৫৭
(গ) ১৭৫৭-১৯৪৭
(ঘ) ১৮৫৭-১৯৫৭
উত্তর :
(ঘ) ১৮৫৭-১৯৫৭
(২) সোনারগাঁও এর পানাম নগরটি ছিল-
(i) সুলতানি আমলে বাংলার কেন্দ্রস্থল
(ii) ইউরোপীয় স্থাপত্য রীতিতে তৈরি ইমারতের সারিবদ্ধ রূপ
(iii) চওড়াপথের ধারে নিরাপত্তার জন্য পরিখাসমৃদ্ধ
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) i
(খ) ii
(গ) iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) i, ii ও iii
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলে শিক্ষক আজাদ রহমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে শাহবাগে একটি ভবন পরিদর্শনে যান। ভবনটিতে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা বইয়ে পড়া প্রাচীন নিদর্শনগুলো বাস্তবে দেখে খুবই অভিভূত হয়।
(৩) আজাদ সাহেব শিক্ষার্থীদের কোন ভবন পরিদর্শনে নিয়ে যান ?
(ক) বাংলা একাডেমি
(খ) জাতীয় গ্রন্থাগার
(গ) শিল্পকলা একাডেমি
(ঘ) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর
উত্তর :
(ঘ) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর
(8) আজাদ সাহেবের শিক্ষার্থীদেরকে এ ধরনের ভবন পরিদর্শনে নেওয়ার কারণ হলো-
(i) জমিদারদের নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যাদি প্রদর্শন
(ii) ইতিহাসের চরিত্রগুলোর সাথে পরিচিত করানো
(iii) বিভিন্ন আমলের ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) i
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) i, ii ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) অর্নব ও অর্পা ঈদের ছুটিতে মামাবাড়ি বেড়াতে গেল। তারা মামার কাছে স্থানীয় বিখ্যাত নিদর্শনগুলো দেখার বায়না ধরল। মামা তাদেরকে মসলিনের জন্য বিখ্যাত স্থানটি ঘুরতে নিয়ে গেলেন। তারা সেখানকার প্রাচীন বিভিন্ন ইমারতের স্থাপত্য ও নকশা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল। মামা তাদেরকে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্থান হতে প্রাপ্ত পুরাকীর্তিগুলির নিদর্শন দেখাতে নিয়ে যান যাতে তারা অতীত ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে।
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িটি ছিল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে। বর্তমানে এই বাড়িতে সংগ্রহ করা হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহার করা বিভিন্ন দ্রব্য, সরঞ্জাম, এবং আলোকচিত্রতে।
(খ) প্রত্নতত্ত্ব বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : প্রত্নতত্ব বলতে পুরাতন বিষয়ের জ্ঞানকে বোঝায়। বাংলা ভাষায় ‘প্রত্ন’ কথার আক্ষরিক অর্থ হলো পুরাতন বা পুরোনো এবং ‘তত্ব’ কথার অর্থ হলো জ্ঞান। তাই একত্রে প্রত্নতত্ব কথার অর্থ হলো পুরাতন বা পুরোনো বিষয় সম্পৰ্কে জ্ঞানকে। যেমন – দেশের কোনো ঐতিহাসিক স্থান বা অন্যকিছুর সম্পর্কে জানা তথ্যকে প্রত্নতত্ব বলা হবে এবং সেই স্থানকে বা নিদর্শনকে প্রত্নসম্পদ বলা হবে। বাংলা সহ সমগ্র বিশ্বে সকল স্থানে প্রত্নসম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়।
(গ) তারা যে স্থানটি পরিদর্শন করে সেটির ঐতিহ্য ব্যাখ্যা করো ।
উত্তর : তারা যে স্থানটি পরিদর্শন করেন তার নাম সোনারগাঁও। বাংলার ইতিহাসে এই স্থানের ঐতিহ্য ও গুরুপ্ত অপরিসীম। সুলতানি রাজত্বকালে বাংলার রাজধানী ছিল সোনারগাঁও। সোনারগাঁও ছিল মসলিন শাড়ির উৎপাদন কেন্দ্র এবং বাংলার মুখ্য বাবসাকেন্দ্র। এখানে ব্যাবসায়ীরা নিজেদের বসবাসের জন্য নির্মাণ করেছিল বহু ঘরবাড়ি। সোনারগাঁও এর পানাম অঞ্চলকে ব্যাবসায়ীরা নিজেদের থাকার জন্য বেছে নিয়েছিল এবং চওড়া রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধ ভাবে তৈরী করেছিল অট্টালিকা। এই বাড়িগুলি তৈরী করা হয়েছিল ইউরোপীয় রীতি অনুসরণ করে। এবং ব্যাবসায়ীদের জন্য নির্মিত হয়েছিল বলে এই বাড়িঘর গুলোকে সাজানো হয়েছিল কারুকার্য করা পাথর দিয়ে। মেঝেতে পাতা হয়েছিল দামি মার্বেল পাথর। বাড়ির বাইরে দেওয়ালে লাগাও হয়েছিল রঙিন মোজাইক পাথর। প্রাচীন বাংলার প্রত্নসম্পদের এক বিশেষ নিদর্শন হিসেবে গণ্য হয়েছে সোনারগাঁও অঞ্চলের এই অট্টালিকা গুলি। ব্যাবসায়ীদের নির্মিত অট্টালিকা ছাড়াও স্থানীয় জমিদার এবং ব্যাবসায়ীদের বানানো বিভিন্ন বাড়ি। যেমন – সরদারবাড়ি, আনন্দমোহন পোদ্দারের বাড়ি প্রমুখ। এই সকল কারণে তৎকালীন সময়ে সোনারগাঁও অঞ্চল ছিল অর্থনৈক, সামাজিক, ও সংস্কৃতির এক অভাবনীয় মেলবন্ধন এর স্থান এবং সমৃদ্ধ করেছে বাংলার গৌরবময় ইতিহাসকে।
(ঘ) মামা তাদের কোথায় নিলে তারা ঐতিহ্য সচেতন হতে পারবে তা পাঠ্যপুস্তকের আলোকে মতামতসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : উদ্দীপকের মামা যদি অর্ণব ও অর্পাকে বাংলার বিভিন্ন জাদুঘর বা জাতীয় জাদুঘরে নিয়ে যেত তাহলে তারা আরো অনেক বেশি ঐতিহ্য সচেতন হতে পারতো। জাদুঘরে সংরক্ষিত করা রাখা থাকে প্রাচীন সময়ের বিভিন্ন প্রত্নসম্পদ। প্রত্যেক দেশের মানুষের নিজের দেশের গৌরবময় ঐতিহ্যকে জানা এবং সেই সম্পর্কে সচেতন থাকা আবশ্যিক। যা এমমাত্র জাদুঘর, ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ ও পরিদর্শন করে পাওয়া যেতে পারে। এই জন্য প্রত্যেক দেশ স্থানীয় ও জাতীয় জাদুঘর বা মিউজিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। যাতে প্রত্যেক দেশবাসী তার নিজস্ব ঐতিহ্যকে জানতে পারে এবং নিজের ঐতিহ্য সম্পৰ্কে সচেতন হতে পারে। জাদুঘরে প্রাচীনকালের মানুষের ব্যবহার করা বিভিন্ন বস্তূ, রাজা-মহারাজাদের বস্ত্র, সিংহাসন, তলোয়ার, ঢাল, ঘোড়ার গাড়ি, বিভিন্ন প্রাচীন চিত্র নিদর্শন, খাবারের সন্ধান তথ্যাদি সংরক্ষণ করা হয়। জাদুঘর পরিদর্শন করার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পূর্ব-পুরুষদের জীবন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ও জ্ঞান পেতে পারি। এছাড়া এই জাদুঘর গুলির জন্যই আমরা পরিচয় করতে পারি অতীতের সঙ্গে। এই সকল কারণে উদ্দীপকের মামার অর্ণব ও অর্পাকে জাদুঘরে ও দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থানে নিয়েগেলে তবেই তারা তাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে।