NCTB Class 8 BGS Chapter 6 বাংলাদেশের অর্থনীতি Solution/Guide

NCTB Class 8 BGS Chapter 6 বাংলাদেশের অর্থনীতি Solution/Guide

Bangladesh Board Class 8 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 6 বাংলাদেশের অর্থনীতি. Solution for Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 8 Chapter 6 বাংলাদেশের অর্থনীতি : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 8
Subject BGS
Chapter
Chapter Name

বাংলাদেশের অর্থনীতি অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 8 BGS Chapter 6 বাংলাদেশের অর্থনীতি Solution/Guide

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) জাতীয় উৎপাদনে এককভাবে কোন খাতের অবদান সর্বাধিক?

(ক) কৃষি

(খ) শিল্প

(গ) ব্যবসা

(ঘ) স্বাস্থ্য

উত্তর :

(খ) শিল্প

(২) জাতীয় আয়ের অন্তর্গত উপাদান-

(i) গায়কের গান গাওয়া

(ii) গৃহিনীর রান্না করা

(iii) ব্যবসা-বাণিজ্য করা

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i

(গ) ii iii

(খ) i iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(খ) i ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

শফিক ১৬ বছরের যুবক। কিন্তু অনাহারে অর্ধাহারে তার শরীর অত্যন্ত দুর্বল। ফলে সে কোথাও কাজ পায় না। অর্থাভাবে দিন দিন তার অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে।

(৩) শফিকের দুরাবস্থা রাষ্ট্রের কোন পরিস্থিতিকে ইঙ্গিত করে ?

(ক) অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা

(খ) কর্মসংস্থানের অভাব

(গ) দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র

(ঘ) প্রশিক্ষণের অভাব

উত্তর :

(গ) দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র

(8) শফিককে মানবসম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজন-

(i) খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান

(ii) পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা

(iii) শিক্ষার ব্যবস্থা করা

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i

(খ) i iii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(খ) i ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) মিস ওশিন গবেষণার কাজে তথ্য সংগ্রহের জন্য জাপান থেকে পার্শ্ববর্তী একটি উন্নয়নশীল দেশে আসেন। তিনি পর্যবেক্ষণ করেন যে, দেশটির জনগণ তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য নানা প্রচেষ্টায় নিয়োজিত। দেশটির অভ্যন্তরীণ বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ১০,০০০ কোটি মার্কিন ডলার। ঐ বছরে দেশটির প্রবাসী নাগরিকদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ ৫000 কোটি মার্কিন ডলার। দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা ১৫ কোটি। সরকার দেশটির চাষাবাদে যান্ত্রিক পদ্ধতির প্রয়োগ, প্রযুক্তির ব্যবহার ও শিল্পের হার বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিচ্ছে।

(ক) ২০০৯ সালে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার কতো ছিল?

উত্তর : বাংলাদেশে ২০০৯ সালের জনসংখ্যার হার ছিল ৫৪.৮ শতাংশ।  সেই তুলনায় বর্তমান সময়ে বাংলাদশের জনসংখ্যার স্বাক্ষরতার হার ৭৩.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যাবস্থার ব্যাপক উন্নতি এই সাফল্যের সবচেয়ে বড়ো অংশীদার। বাংলাদেশ সরকার দেশের সকল নাগরিকের সামগ্রিক বিকাশের জন্য শিক্ষাখাতের প্রচুর উন্নতি সাধন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যেক গ্রামে চালু হয়েছে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শহরে বৃদ্ধি পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, সহ বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারের শিক্ষার উন্নতির প্রতি সুমনোভাব বাংলাদেশের মোট স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে।

(খ) জাতীয় আয়ধারণাটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : জাতীয় আয় বলে কোনো দেশের একটি নির্দিষ্ট সময়ের (প্রতি বছর) উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার মোট আর্থিক মূল্যকে বোঝায়। সহজ করে বললে, কোনো একটি দেশ বা রাষ্ট্রের নাগরিকর কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রাকৃতিক সম্পদ, শিল্প,  শ্রম ইত্যাদি অর্থনৈতিক উপকরণকে কাজে লাগিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (১ বছর) যে পরিমান পণ্যসামগ্রী এবং সেবা মূলক দ্রব্যের উৎপাদন করে তার মোট আর্থিক মূল্যকে ওই দেশ বা রাষ্ট্রের জাতীয় আয় বলে।

(গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত দেশটির জনগণের মাথাপিছু আয় নির্ণয়সহ পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর :

একটি দেশের কোনো বছরের মোট জাতীয় আয়কে ওই বছরে দেশটির বর্তমান মোট জন সংখ্যা দ্বারা বিভাজন করলে ওই দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় পাওয়া যাবে। যেমন – উদ্দীপকের দেশটিতে ওই বছর জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি এবং ওই একই সময়ে দেশটির মোট জাতীয় আয় ছিল ১০,০০০ কোটি মার্কিন ডলার। তাই যদি দেশটির জনসংখ্যার মাথাপিছু জানার জন্য দেশটির মোট জাতীয় আয়কে দেশটির মোট জনসংখ্যা দ্বারা বিভাজন করতে হবে  অর্থাৎ মাথাপিছু আয় = দেশের মোট জাতীয় আয় / দেশের মোট জনসংখ্যা। অতয়েব, উদ্দীপকের দেশটির মাথাপিছু আয় = ১০,০০০ /১৫ কোটি = ৬৬৬.৬৬ মার্কিন ডলার। উপরিউত্তক্ত, সূত্রের মাধ্যমে আমরা  যে কোনো দেশের একটি  নির্দিষ্ট বছরের মাথাপিছু আয় নির্ণয় করতে পারি।

(ঘ) উদ্দীপকে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের মূল লক্ষ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি‘- বক্তব্যটি মূল্যায়ন করো।

উত্তর : একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ভর করে ওই দেশের শিল্প, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদির উন্নতি এবং দেশের দক্ষ নাগরিকদের শ্রমের উপরে। তাই উদ্দিপকের উল্লিখিত দেশটি অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করার জন্য এই সকল খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করার প্রয়াস নিয়েছে। কৃষি কাজের উন্নতি এবং উন্নত পদ্ধতি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি ঘটানো সম্ভব হবে। এর ফলে দেশের চাষীরা উন্নত হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে এর সুপ্রভাব পরবে। কৃষির উন্নতির সাথে সাথে নতুন কৃষি খামার সৃষ্টি হবে এবং দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। শিল্পখাত সকল দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড। যে সকল দেশের শিল্প যত বেশি উন্নত সেই দেশের অর্থনীতিও ততোবেশি মজবুত হবে। এই কারণে উদ্দীপকের দেশটি শিল্পখাতের উন্নতির জন্য প্রয়াস করছে। এর ফলে একদিকে যেমন দেশের  ছোট শিল্পগুলো বড়ো হয়ে উঠতে পারবে তেমনি আবার সরকারের উৎসাহে ও সাহার্য্যে নতুন নতুন শিল্পের সৃষ্টি হবে। এর ফলে দেশে যেমন কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি পাবে তেমনি আবার দেশের অর্থনীতি মজবুত হবে। অতয়ে, সব দিক থেকে বিবেচনা করলে বোঝা যাচ্ছে যে উদ্দীপকের উল্লিখিত দেশটির সরকারের নেওয়া সকল প্রকার উদ্যোগের মূল লক্ষ হলো দেশের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি এবং দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করার প্রয়াস।

(২) রায়হান সাহেব দীর্ঘদিন চাকরি সূত্রে মালয়েশিয়ায় ছিলেন। কিছুদিন হলো তিনি দেশে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। তিনি লক্ষ করেন তার গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামের কিশোর তরুণেরা স্কুল- কলেজে যায় না, বেকার ও অলস সময় কাটায়, শিশু মৃত্যুর হারও অত্যধিক। তিনি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় এলাকায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন ।

(ক) ২০১১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা কতো ছিল?

উত্তর : ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪, কোটি ৯৭ লক্ষ  ৭২ হাজার ৩৬৮ জন।

(খ) একটি বাড়ি একটি খামারপ্রকল্পটি কী উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পটির মূল লক্ষ হলো বাংলাদেশের গ্রামের সাধারণ মানুষকে দেশের জাতীয় অর্থনীতির অন্তর্ভুক্ত করা। বাংলাদেশে এখনো বহু মানুষ দেশের অর্থনীতির জন্য কোনো সহায়তা করে না। এই অবস্থার পরিবর্তন করে অর্থনীতিকে মজবুত করার জন্য এই দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর লোক গ্রামের সমবায় থেকে আর্থিক সাহার্য্য গ্রহণ করে নিজেদের বাড়িতে বা জমিতে একটি মাঝারি খামার তৈরী করতে পারে। এই খামার তৈরী করার জন্য যাবতীয় প্রশিক্ষণও সরকার দিয়ে থাকে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের বহু মানুষ খামার তৈরী করে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে নিজেদের যোগদান দিচ্ছে। বাংলাদেশের এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের আর্থসামাজিক পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছে। গ্রামের দরিদ্র মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার দেশের দারিদ্র শ্রেণীর মানুষের উন্নতির মধ্যে দিয়ে দেশের জাতীয় অর্থনীতিকে মজবুত করার উদেশ্য নিয়েছে।

(গ) রায়হান সাহেবের নেওয়া উদ্যোগ দেশে যে ধরনের সম্পদ সৃষ্টিতে সহায়ক তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : উদ্দীপকে রায়হান সাহেবের নেওয়া  উদ্যোগ দেশের দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।   যে কোনো দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি তখনি সম্ভব হয় যখন দেশের জনগণ দক্ষ ও সু-শিক্ষিত হয়। অর্থাৎ এক কথায় দেশের মানব সম্পদের উন্নয়ন দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নতির মেরুদন্ড। রায়হান সাহেব দ্বারা গৃহীত পদক্ষেপ এলাকার বেকার ও অদক্ষ মানুষকে সঠিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার মধ্যে দিয়ে দক্ষ ও শ্রমজীবী মানুষে পরিণত করবে।  এর ফল স্বরূপ যেমন এলাকার মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈক ঊন্নতি হবে তেমনি আবার পরোক্ষ ভাবে দেশের জাতীয় অর্থনীতিরও বিকাশ হবে। কারণ দেশের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলে দেশের বিভিন্ন খাতে বাড়বে, বাজারে টাকার আদান-প্রদান বাড়বে। যা সরাসরি দেশের অর্থনীতিকে সাহার্য্য করবে। এই ভাবে রায়হান সাহেবের নেওয়া উদ্যোগ দেশে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি করতে সাহার্য করবে যা পরোক্ষ ভাবে দেশের অথনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত উন্নয়ন সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থা বিশ্লেষণ করো।

উত্তর : উদ্দীপকে বাংলাদেশের গ্রাম্য সমাজের বেহাল দশা ও বেহাল অর্থনীতি পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের বহু গ্রামে এখনো সঠিক শিক্ষা ও আধুনিক কৃষি পদ্ধতি পৌঁছতে পারেনি।  এই কারণে বাংলাদেশের এই সকল গ্রামের বহু সংখক মানুষ দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে কোনো ভাবে অংশ গ্রহণ করতে পারে না। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ করেছে এবং বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের এই সকল অদক্ষ মানুষকে দক্ষ ও শ্রমজীবী মানুষে পরিবর্তিত করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার দেশের অর্থনীতিকে উন্নত করার জন্য দেশের কৃষি ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের বিকাশের প্রয়াস করছে। এই ভাবে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও সঠিক পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *