NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 6 বই পড়া Solution
Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 6 বই পড়া Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 6 বই পড়া.
NCTB Solution Class 9 and 10 Chapter 6 বই পড়া :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 9 and 10 |
Subject | Bengali |
Chapter | Six |
Chapter Name | বই পড়া |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) ‘বই পড়া‘ প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে কীসের ওপর স্থান দিয়েছেন?
(ক) হাসপাতালের
(খ) স্কুল-কলেজের
(গ) অর্থ-বিত্তের
(ঘ) জ্ঞানী মানুষের
উত্তর :
(খ) স্কুল-কলেজের
(২) স্বশিক্ষিত বলতে কী বুঝায়?
(ক) সৃজনশীলতা অর্জন
(খ) সার্টিফিকেট অর্জন
(গ) বুদ্ধির জাগরণ
(ঘ) উচ্চ শিক্ষা অর্জন
উত্তর :
(ক) সৃজনশীলতা অর্জন
উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘পড়িলে বই আলোকিত হই
না পড়িলে বই অন্ধকারে রই।‘
(৩) উদ্দীপকটির ভাবার্থ ‘বই পড়া‘ প্রবন্ধের কোন বাক্যে বিদ্যমান?
(ক) জ্ঞানের ভাণ্ডার ধনের ভাণ্ডার নয়।
(খ) শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না
(গ) সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত
(ঘ) আমাদের বাজারে বিদ্যাদাতার অভাব নেই
উত্তর :
(ক) জ্ঞানের ভাণ্ডার ধনের ভাণ্ডার নয়।
(৪) উদ্দীপকটির ভাবার্থ ‘বই পড়া‘ প্রবন্ধের যে ভাবকে নির্দেশ করে তা হলো-
(i) জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে মৌলিকত্ব অর্জন
(ii) শিক্ষাযন্ত্রের মাধ্যমে বিকশিত হওয়া
(iii) শিক্ষকের মাধ্যমে বিকশিত হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতোই দুই ধারায় প্রবাহিত। এক ধারার নাম আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, আরেক ধারার নাম আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। একদিকে যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা-ফ্যাসাদ প্রভৃতি কদর্য দিক; অপরদিকে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণপ্রদ দিক। একদিকে শুধু কাজের জন্য কাজ। অপরদিকে আনন্দের জন্য কাজ। একদিকে সংগ্রহ, আরেক দিকে সৃষ্টি। যে জাতি দ্বিতীয় দিকটির প্রতি উদাসীন থেকে শুধু প্রথম দিকটির সাধনা করে, সে জাতি কখনও উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না ।
(ক) ‘ভাঁড় ও ভবানী‘ অর্থ কী ?
উত্তর : ভাঁড় ও ভবানী কথার অর্থ হলো রিক্ত বা শুন্য। লেখক এই কথার মধ্য দিয়ে বলতে চেয়েছে বর্তমান সময়ে প্রকৃত জ্ঞান না থাকলে আজকাল ভারও হয় শুন্য।
(খ) অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে মানুষের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা শক্তিকে বোঝানো হয়েছে। সঠিক শিক্ষার সংস্পর্শে এলে এই শক্তি জাগ্রত হয়। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই লুকিয়ে আছে তাদের নিজস্ব অন্তর্নিহিত শক্তি। আর এই শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে প্রয়োজন শুধু সঠিক শিক্ষার। লেখকের মতে মানুষ আজ তার এই সব শক্তির কথা ভুলে শুধু ছুটে চলেছে অর্থের পেছনে। সঠিক শিক্ষার মধ্য দিয়ে মানুষ তার মনকে সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে পারলে তবেই তার অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে পারে।
(গ) উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি ‘বই পড়া‘ প্রবন্ধের যে দিকটিকে ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উদ্দীপকের প্রথম দিকটিতে যেমন মানুষের জীবনকে দুটি ধারায় বর্ণিত করা হয়েছে তেমনি গল্পের লেখক বর্তমান শিক্ষাকে দুটি ধারাতে বিভক্ত করেছেন। উদ্দীপকের সাথে আলোচ্য গল্পের মানুষের শিক্ষা ও প্রকৃত জ্ঞানকে ভিন্ন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। শিক্ষা মানেই যে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করা এই কথা সঠিক নয় তা উল্লেখ করা হয়েছে। লেখক যেমন বলেছেন বর্তমান সময়ে মানুষ শিক্ষা অর্জন করছে শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য জ্ঞান উপার্জনের জন্য নয়। তারা শুধু সেই শিক্ষার পেছনে ছুটে চলেছে যা তাদেরকে নিয়ে যাবে অর্থ উপার্জনের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে। উদ্দীপকে যেমন বলা হয়েছে জীবনের দুটি ধারা বয়ে চলেছে একদিকে আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, যুদ্ধ, মামলা -ফ্যাসাদ আর অন্যদিকে আত্মপ্রকাশ ও পরমার্থ বৃদ্ধি, সাহিত্য, ধর্ম ইত্যাদি। এবং যারা দ্বিতীয় দিকটিকে ভুলে শুধু প্রথম দিকটির জন্য সাধনা করে তার কোনোদিন প্রকৃত বা উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। তেমনি লেখক বলেছেন যারা শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য শিক্ষা গ্রহণ করেন তারা কোনোদিন প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। কারণ প্রকৃত জ্ঞান কখনো পুঁথিগত শিক্ষা থেকে আসে না। তার জন্য মানুষকে তার কন্তৰ্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করতে হয়।
(ঘ) “উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া‘ প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে।”– মন্তব্যটির বিচার কর।
উত্তর : উদ্দীপকে জীবনকে দুটি ধারাতে বিভক্ত করা হয়েছে একদিকে রয়েছে শুধু আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা ইত্যাদি আর অন্যদিকে আছে নিজের আত্মপ্রকাশ, ধর্ম, সাহিত্য। যারা শুধু জীবনের প্রথম ধারাটির দিকে ছুটে চলেছে তারা কোনো দিনই প্রকৃত বা উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। জীবনের পরমার্থ বৃদ্ধির জন্য আমাদের জীবনের দুটি ধারারকেই অবলম্বন করতে হবে। অর্থাৎ জীবনের স্বার্থপ্রসারের সাথে সাথে ধর্ম ও সাহিত্যকে অবলম্বন করে নিজের আত্মপ্রকাশ করানোই মানুষের কর্তব্য। উদ্দীপকের পরমার্থ বৃদ্ধি কথাটি “বইপড়া” প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করেছে। কারণ লেখক বলেছিলেন মানুষ শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য শিক্ষা অর্জন করে চলেছে। মানুস এখন করছে নিজের কাজের ব্যাতিত অন্য কোনো শিক্ষাকে গ্রহণ করতে চায় না। শিক্ষা থেকে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করার জন্য চাই বিভিন্ন সাহিত্য, গ্রন্থ ইত্যাদির জ্ঞান। তাই শুধু তথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করা খুবই প্রয়োজন। তবেই মানুষ তার নিজের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জগারতো করে নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারবে।
Next Chapter Solutions :