NCTB Class 9 and 10 Bengali আশা Solution
Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution আশা Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution আশা.
NCTB Solution Class 9 and 10 আশা :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 9 and 10 |
Subject | Bengali |
Chapter Name | আশা |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) বিত্ত-সুখের দুর্ভাবনায় কোনটি কমে?
(ক) সময়
(খ) অর্থ
(গ) আয়ু
(ঘ) ভালোবাসা
উত্তর :
(গ) আয়ু
(২) ‘প্রতিবেশীর আঁধার ঘরে জ্বালতে পারে আলো‘ – এখানে আলো বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
(ক) পারস্পরিক সম্প্রীতি
(খ) বিপদে সাহায্য করা
(গ) একে অন্যের খোঁজ নেওয়া
(ঘ) কাউকে তুচ্ছ না ভাবা
উত্তর :
(ক) পারস্পরিক সম্প্রীতি
(খ) বিপদে সাহায্য করা
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩- সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
একদা অত্যাচারী এক মোড়ল অসুস্থ হলে তার রোগমুক্তির জন্য কবিরাজ পরামর্শ দেয় সুখী মানুষের জামা পরার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর একজন সুখী মানুষ পাওয়া গেলেও দেখা যায়, তার কোনো জামা নেই।
(৩) উদ্দীপকের সুখী মানুষটির সঙ্গে ‘আশা‘ কবিতায় সাদৃশ্য রয়েছে –
(ক) ধনীদের
(খ) দরিদ্রদের
(গ) আত্মতৃপ্তদের
(ঘ) দুর্ভাবনাগ্রস্তদের
উত্তর :
(ক) ধনীদের
সৃজনশীল প্রশ্ন :
মাদার তেরেসা আশৈশব স্বপ্ন দেখেন মানব সেবার। এক সময় যোগ দেন খ্রিষ্টান মিশনারি সংঘে। মানুষকে আরো কাছে থেকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠা করেন মিশনারিজ অব চ্যারিটি। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আরও অনেকেই এগিয়ে আসেন এ মহান কাজে। এক সময় এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লাভ করেন নোবেল পুরস্কার। সারা জীবনের তাঁর সবটুকু উপার্জনই বিলিয়ে দেন মানবের কল্যাণে ।
(ক) কোথায় মানুষেরা নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে থাকে?
উত্তর : আলোচ্য “আশা” কবিতায় মানুষেরা গভীর নিশুত রাতে জীর্ণ বেড়ার ঘরে নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে থাকে। তাদের নেই কোনো অর্থের বা সোনা-রুপার পাহাড় বানাবার আশা। বা কারো থেকে বড়ো হয়ে উঠার জন্য মনের গরিমা। তারা তাদের জীবনকে খুব সহজ ও সরল ভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তাদের যা আছে তারা তাতেই তুষ্ট থাকে। রাতে আধপেটা খেয়েও তাই তারা নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে পড়তে পারে।
(খ) বিত্ত-সুখের ভাবনাহীন মানুষেরা সংশয়হীন কেন?
উত্তর : বর্তমান সময়ে মানুষ শুধুই অর্থের পেছনে ছুটে চলেছে তাদের ভাবনা একটাই আরো বেশি অর্থের সন্ধান। তারা জীবনে আরো বড়ো হতে চায়, তৈরী করতে চায় সোনা-রুপার পাহাড়ের। এই অর্থলালসার জন্যই তাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায় সুখ শান্তি ও নিদ্রা। তাদের মধ্যে শুধুই অপরের থেকে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। কিন্তু যে সকল মানুষ বিত্ত-সুখের ভাবনা থেকে বহু দূরে তাদের কাছে আছে প্রকৃত সুখ শান্তি নিদ্রা। এই সকল মানুষ তাদের জীবনে অর্থের লালসা করে না। তারা তাদের কাছে গড়তে চায় না সম্পদের পাহাড়। তারা জীবনকে অতি সরল ভাবে নির্যাপন করে। তারা আধপেটা খেয়েও রাতে নির্ভাবনার ঘুমে ঘুমিয়ে পড়তে পারে। বিত্ত-সুখের পেছনে ছুটে চলা মানুষের শরীরে বাসা বাধে নানা রোগ। ধীরে ধীরে তারা ঢলে পরে মৃত্যুর গভীর নিদ্রায়। কিন্তু যারা এই বিত্ত-সুখ বা ভোগ বিলাসের পথে নিজেদের জীবনকে চালিত করে না তারা তাদের কাছে যা আছে তাতেই সুখী থাকে। তাই সেই সকল মানুষের মনে কোনো সংশয়ও থাকে না।
(গ) মাদার তেরেসার মানসিকতা ‘আশা‘ কবিতার যে দিকটিকে তুলে ধরে তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মাদার তেরেসার মানসিকতা আলোচ্য “আশা” কবিতার মানুষের নিঃস্বার্থ, নির্লোভী ও বিত্ত সুখের থেকে বিমুখ চরিত্রের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। মাদার তেরেসার মানসিকতা মানুষকে মানব সেবার প্রতি আকৃষ্ট করে। আলোচ্য কবিতায় প্রকাশিত মূলভাব অর্থাৎ যে সকল মানুষ বিত্ত-সুখের পেছনে ছুটে তারা তাদের জীবনের আসল সুখকে হারিয়ে ফেলে। নিজের সম্পদ বৃদ্ধির পথে জীবনকে বাহিত করে ধ্বংসের পথে ঢলে পরে। আর যে সকল মানুষের মধ্যে বিত্ত-সুখের কোনো আশা থাকে না। থাকে না সবার থেকে বড়ো হয়ে ওঠার কোনো ভাবনা। তারা গড় তুলতে চায় না ধনসম্পদের কোনো পাহার। তাদের কাছে যা আছে তারা তাতেই খুশি ও সুখী। মাদার তেরেসাও তার মানসিকতার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন জীবনের এই চরম সত্যের। মাদার তেরেসা তার সমগ্র জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন মানব কল্যাণের পথে। সাহারা হয়ে উঠেছিলেন সমাজের নিপীড়িত ও গরিব দুঃখী মানুষের। এবং তাদের সেবার মধ্যে দিয়ে খুঁজে পেয়েছিলেন জীবনের আসল সুখের।
(ঘ) “মাদার তেরেসার দর্শনই যেন ‘আশা‘ কবিতার ভাববস্তু।”- যুক্তিসহ প্রমাণ কর ।
উত্তর : আলোচ্য কবিতা আমাদেরকে শেখায় বিত্ত-সুখের জন্যই মানুষ আজ দুঃখী, তাদের জীবন থেকে আজ সুখ হারিয়ে গিয়েছে কোনো অতল গহীনে। তারা আজ অবস্হায়। কেননা তারা শুধু নিজের চিন্তা করেছে। এগিয়ে যেতে চেয়েছে সকলের থেকে আগে। তাদের মধ্যে ফুটে উঠেছে অর্থের লালসা। তাই তাদের চোখে আজ নির্ভাবনার নিদ্রা নেই। তাদের শরীর হয়ে উঠেছে রোগের বাসা। অন্যদিকে, সমাজের যে সকল মানুষের মধ্যে নেই বিত্ত-সুখের কোনো লোভ। অর্থ ও ঐশর্য্যের কোনো দাম্ভিকতা। তারাই আজ প্রকৃত সুখী। তাদের জীবনে নেই কোনো সংশয়। তারা নিজের কাছে যা আছে তাতেই খুশি। এর থেকে বেশি কিছু তাদের আর চাই না। সেই সকল মানুষের চক্ষে দেখা যায় নির্ভাবনার নিদ্রা। তাদের মনেই আছে প্রকৃত সুখ। মাদার তেরেসাও তার জীবন দর্শনের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে একই শিক্ষা প্রদান করে এবং মানব সেবাকে সবচেয়ে বড়ো ধর্ম বলেছেন। মানব সেবার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে জীবনের আসল সুখ। আলোচ্য কবিতাটির প্রত্যেকটি পঙক্তি যেন মাদার তেরেসার দর্শনকে প্রতিফলিত করেছে।
Next Chapter Solutions :