NCTB Class 8 Bengali Chapter 4 সোহরাব রোস্তম Solution


Warning: Undefined array key "https://nctbsolution.com/nctb-class-8-bengali-solution/" in /home/862143.cloudwaysapps.com/hpawmczmfj/public_html/wp-content/plugins/wpa-seo-auto-linker/wpa-seo-auto-linker.php on line 192

NCTB Class 8 Bengali Chapter 4 সোহরাব রোস্তম Solution

Bangladesh Board Class 8 Bengali Solution Chapter 4 সোহরাব রোস্তম Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 8 Bengali Solution Chapter 4 সোহরাব রোস্তম.

NCTB Solution Class 8 Chapter 4 সোহরাব রোস্তম : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 8
Subject Bengali
Chapter Four
Chapter Name                সোহরাব রোস্তম

NCTB Class 8 Bengali Chapter 4 সোহরাব রোস্তম Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) সাদা রঙের চুলওয়ালা ছেলে অভিশাপ ডেকে আনতে পারে- এ বাক্যে সে সময়কার কোন চিত্র প্রকাশ পেয়েছে?

(ক) ধর্মীয় বিশ্বাস

(গ) সামাজিক প্রথা

(খ) অন্ধ-কুসংস্কার

(ঘ) রাজদণ্ডের ভয়

উত্তর : (খ) অন্ধ-কুসংস্কার

(২) সোহরাবের মা তহমিনা তাঁর স্বামীর কাছে মিথ্যা সংবাদ পাঠালেন

(i) পুত্র হারানোর আশঙ্কায়

(ii) অপত্য স্নেহের কারণে

(iii) স্বামীকে হারানোর দুঃখ ভুলতে

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) i iii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :  (খ) i ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদকবিতায় দেখা যায়, মেঘনাদ যখন যজ্ঞরত ছিলেন এবং তাঁর কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না তখন লক্ষ্মণ তাকে যুদ্ধ করার আহ্বান জানান। মেঘনাদ তাঁর চাচা বিভীষণকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কহ, মহারথী, এ কি মহারথী প্রথা?’

(৩) উদ্দীপকের লক্ষ্মণের সাথে সোহরাব রোত্তমগল্পের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে?

(ক) সোহরাব

(খ) রোত্তম

(গ) কায়কাউস

(ঘ) আফরাসিয়াব

উত্তর : (খ) রোত্তম

(8) উভয়ের চরিত্রে সাদৃশ্য রয়েছে-

(i) কাপুরুষতার দিক থেকে

(ii) অন্যায় যুদ্ধ আহবানে

(iii) যুদ্ধের রীতি ভঙ্গ করায়

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) i iii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :  (গ) ii ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) ছয় মাস বয়সী সন্তান রাসু ও স্ত্রীকে রেখে ফেরার হয় রমিজ আলী। মিথ্যা মামলার আসামী হওয়ায় রাতের অন্ধকারে অজানার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন তিনি। যাওয়ার সময় প্রিয় সন্তানের গলায় তারই লকেটটি পরিয়ে যান। মাঝখানে কেটে যায় সাতাশটি বছর। রমিজ আলী হয়ে উঠে দুধর্ষ এক ডাকাত একদিন এক ব্যবসায়ী তার কবলে পড়ে। ব্যবসায়ীর ধনসম্পদের জন্য ডাকাত তাকে আঘাত করলে ব্যবসায়ী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তার গলার লকেটটি খুলে যায়। এক পর্যায়ে ডাকাত তার গলার লকেট দেখে বুঝতে পারে ব্যবসায়ী আর কেউ নয়, তারই সন্তান রাসু। সন্তানের পরিচয় পেয়ে সেদিন থেকে ডাকাতি ছেড়ে রমিজ আলী ফিরে আসে স্বাভাবিক জীবনে।

(ক) রাজা ইরিজির পিতার নাম কী?

উত্তর :  ইরিজির পিতা ছিলেন ইরানের পরাক্রমশালী রাজা ফেরিদুর।

(খ) শাম পুত্র জালকে আলবুরুজ পর্বতে ফেলে এসেছিলেন কেন?

উত্তর :  বীরযোদ্ধা শাম অনেক প্রার্থনার পর যখন একটি পুত্র সন্তান লাভ করেন এবং পুত্রের নাম রাখেন জাল। জাল দেখতে বলিষ্ঠ ও খুব সুন্দর হলেও তার মাথার সব চুল ছিল ধবধবে সাদা। সাদা চুলের বালক অভিশাপের কারণ হতে পরে এই আশঙ্কায় শাম নিজের হাতে তার ছেলেকে আলবুরুজ পর্বতে রেখে এসেছিলো।

(গ) উদ্দীপকের রাসুর সাথে সোহরাব রোস্তমগল্পের সোহরাবের যে দিক থেকে পার্থক্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর :   উদ্দীপকে রাসুর পিতা মিথ্যা অপরাদের থেকে বাঁচতে স্ত্রী ও পুত্রকে রেখে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গিয়েছিলো। এরপর অনেক বছর কেটে যায় এবং রাসু বড়ো হয়ে একজন ব্যাবসায়ী হয়ে ওঠে। একদিন ধনসম্পদের লোভে এক ডাকাত তাকে আঘাত করে এবং কাপড়ে জানতে পারে সে তারই পুত্র। পুত্রের পরিচয় পেয়ে সেদিন থেকে রমিজ আলী ডাকাতি ছেড়ে দেয় এবং পুত্রের সাথে স্বাভাবিক জীবন শুরু করে। কিন্তু অন্যদিকে গল্পে আমরা দেখতে পাই যে সোহরাবের সাথে তার বাবা রোস্তমের এক বিশাল যুদ্ধ হয়েছিল এবং সেই যুদ্ধে সোহরাব তার বাবার হাতে মৃত্যুবরণ করেন।

(ঘ) উদ্দীপকের রমিজ আলী সোহরাব রোস্তমগল্পের রোস্তম চরিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তর :  “সোহরাব রোস্তম” গল্পে রোস্তম ছিল একজন বীর ও পরাক্রমী যোদ্ধা। যে আজপর্যন্ত কোনো যুদ্ধে পরাজিত হননি। রোস্তমের বীরত্বের কথা দেশ-বিদেশ সব জায়গায় চর্চিত। অপরদিকে উদ্দীপকের রমিজ আলী ছিল একজন ভীতু লোক। মিথ্যা মামলার আসামি হওয়ার কারণে সে তার স্ত্রী ও পুত্রকে একা রেখে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গিয়েছিলো। এবং একজন ডাকতে পরিণত হয়েছিল। তাই গল্পের রোস্তমের সাথে উদ্দীপকের রমিজ আলীর চরিত্রের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।

(২) প্রবল বিক্রমে লড়াই করছেন বাংলার দুই বীর সেনা মোগল সেনাপতি মানসিংহ ও বার ভূঁইয়ার প্রধান ঈশা খাঁ। এক পর্যায়ে ঈশা খাঁর প্রচণ্ড আক্রমণে মানসিংহের তরবারি ভেঙ্গে যায়। যুদ্ধরীতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ঈশা খাঁ তাঁকে পুনরায় আঘাত বা বন্দি না করে নিজের কাছে থাকা আরেকটি তরবারি মানসিংহকে এগিয়ে দিলেন। মানসিংহ ঈশা খাঁর এ আচরণে স্তম্ভিত হলেন। তরবারি না ধরে পরাজয় মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

(ক) সোহরাব রোস্তমগল্পটির মূল লেখকের নাম কী?

উত্তর : পাঠ্যের “সোহরাব রোস্তম” গল্পটির মূল লেখকের নাম হলো মহাকবি আবুল কাসেম ফেরদৌসী।    তার রূপান্তর নাম ছিল মমতাজউদদীন আহমেদ।

(খ) রোস্তম একরকম জোর করেই তহমিনার কথা ভুলে থাকতে চাইলেন – কেন ?

উত্তর : ইরানের যুদ্ধ শুরু হয়েছে তাই রোস্তমকে ইরানে যেতে হবে। এই জন্য রোস্তম তার স্ত্রী তহমিনাকে যাওয়ার সময় তার নাম লেখা একটি তাবিজ দিয়ে বলে গিয়েছিলো যে যদি তাদের পুত্র সন্তান হয় তাহলে এটি তার হাতে বেঁধে দিয়ো এবং কন্যা সন্তান হলে তার চুলে। কিন্তু যখন তহমিনার পুত্র সন্তান হয় তখন সে মাতৃ স্নেহে কাতর হয়ে এবং পুত্রকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে রোস্তমকে কন্যা সন্তান হয়েছে বলে মিথ্যা সংবাদ পাঠায়। বীর রোস্তম কন্যা সন্তান হওয়ার খবরে একরকম বিমর্ষ হয়ে পড়েন। এবং তার স্ত্রী তহমিনার কথা ভুলে থাকার চেষ্টা করেন।

(গ) উদ্দীপকে সোহরাব রোস্তমগল্পের যে ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর :  উদ্দীপকের ঘটনার সাথে সোহরাব ও রোস্তমের যুদ্ধের ঘটনার সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। কারণ ইরান ও তুরান যখন লড়াই করতে ব্যাস্ত তখন সোহরাব তুরানের হয়ে এবং রোস্তম ইরানের হয়ে যুদ্ধ করছে। বাবা ও ছেলে দুজনেই পরম বীর এবং পরাক্রমী যোদ্ধা। কিন্তু তরুণ সোহরাবের সাথে রোস্তম যুদ্ধ করতে হিমশিম খায় এবং মাটিতে পরে যায়। এর পর সোহরাব তার বীরত্বের পরিচয় দিয়ে রোস্তমকে ছেড়ে দেয়।

(ঘ) উদ্দীপকের ঈশা খাঁ সোহরাব রোস্তমগল্পের রোস্তম চরিত্রের চেয়ে বীর ও মহানুভব-এ মন্তব্যের স্বপক্ষে তোমার যুক্তি দাও ।

উত্তর : আলোচ্য গল্পে আমরা জানতে পারি,সোহরাব ও রোস্তম যখন একে ওপরের সাথে লরি করছিলো  তখন সোহরাব রোস্তমকে প্রথমে লড়াইয়ে পরাজিত করেও ছেড়ে দিয়েছিলো। এই ঘটনাটি রোস্তম নিজের অপমান হিসেবে নিয়েছিল এবং রাগান্নিত হয়ে উঠে ছিল। এর পরেরদিন যুদ্ধে সে সোহরাবকে পরাজিত করে হত্যা করেছিল। কিন্তু উদ্দীপকে ঈশা খাঁ ও মানসিংহের মধ্যে যুদ্ধের সময় যখন ঈশা খাঁ মানসিংহের তলোয়ার ভেঙে ফেলে ছিল তখ সে তাকে পরাজিত বা হত্যা করে যুদ্ধের নিয়ম অনুযায়ী আরেকটি তরবারি এগিয়ে দিয়েছিলো। আর থেকে ঈশা খায়ের বীরত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। গল্পের রোস্তম রাগের বসে বিচার বিবেচনা না করে সোহরাবকে হত্যা করে কাপুরুষতার পরিচয় দিয়েছেন। অন্যদিকে ঈশা খাঁ তার শত্রুকে আরেকটি সুযোগ দিয়ে বীর ও মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 8, 2023 — 2:14 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *