Warning: Undefined array key "https://nctbsolution.com/nctb-class-8-bengali-solution/" in /home/862143.cloudwaysapps.com/hpawmczmfj/public_html/wp-content/plugins/wpa-seo-auto-linker/wpa-seo-auto-linker.php on line 192
NCTB Class 8 Bengali Chapter 2 রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে Solution
Bangladesh Board Class 8 Bengali Solution Chapter 2 রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 8 Bengali Solution Chapter 2 রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে.
NCTB Solution Class 8 Chapter 2 রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 8 |
Subject | Bengali |
Chapter | Two |
Chapter Name | রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) টম কী রকম ছেলে?
(ক) ভ্রমণবিলাসী
(খ) কল্পনাবিলাসী
(গ) সহানুভূতিশীল
(ঘ) বিদ্যানুরাগী
উত্তর : (খ) কল্পনাবিলাসী
(২) রাজকুমারের কোন কাজটি টমের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়েছিল?
(ক) দারোয়ানের খারাপ ব্যবহারের জন্য অনুতপ্ত হওয়া
(খ) রাজপ্রাসাদ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখানো
(গ) পোশাক পরিধানের অনুমতি দেওয়া
(ঘ) টমের বস্তি জীবনের কথা শুনতে চাওয়া
উত্তর : (গ) পোশাক পরিধানের অনুমতি দেওয়া
(৩) ‘আমি যে গুজব শুনেছিলাম তা দেখছি সত্যি – রাজা এ কথা বলেছেন কেন?
(ক) রাজকুমারের পোশাকে ভিক্ষুক ছেলেটিকে দেখে
(খ) আপনিই হলেন এখানকার রাজা- টমের মুখে এ কথা শুনে
(গ) ল্যাটিন ভাষায় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারায়
(ঘ) আমি আপনার অধীন একজন গরির প্রজা – টম এ কথা বলায়
উত্তর : (ক) রাজকুমারের পোশাকে ভিক্ষুক ছেলেটিকে দেখে
(8) রবির বাবা হতদরিদ্র মানুষ। পুত্রের প্রতি তার দয়া নেই। রবিকে দিয়ে কত বেশি কাজ করানো যায়, পয়সা রোজগার করা যায় এই তার লক্ষ্য।
উদ্দীপকের রবির পিতার সাথে নিচের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে?
(ক) মাইসের
(খ) জন ক্যান্টির
(গ) ফাদার এন্ড্রুর
(ঘ) এডওয়ার্ডের
উত্তর : (খ) জন ক্যান্টির
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) অংশ এক :
“নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস
ও পারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস
অংশ দুই :
‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।
(খ) টম ক্যান্টি কি তাকে ফাঁকি দিল ?- রাজকুমার এ কথা ভাবতে লাগলেন কেন ?
উত্তর : রাজকুমার ও টম ক্যান্টি নিজেদের মধ্যে স্থান পরিবর্তন করে। রাজকুমার হয় ভিক্ষুক এবং ভিক্ষুক হন রাজকুমার। কিন্তু ভিক্ষুক রুপি রাজকুমার কিছুক্ষনের মধ্যেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন। দারোয়ান তাকে চর মারে। টম ক্যান্টির বাবা রাজকুমারকে নিজের ছেলে মনে করে মারতে থাকে। এই সময় ফাদার এন্ড্রু টম ক্যান্টির বাবাকে বাধা দিলে সে তাকেও দুঘা বসিয়ে দেন। এরপরে তোমার বাবা জানতে পারেন যে তার আঘাতের কারণে ফাদার এন্ড্রু মরতে বসেছে। এর ফলে সে সবাইকে নিয়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। এই জন্য রাজকুমার ও টম ক্যান্টির ব্রিজের সামনে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু রাজকুমার ব্রিজের কাছে গিয়ে দেখতে পান যে রাজকুমারের অভিষেকের জন্য বিশাল উৎসবের আয়োজন চলছে। তখন রাজকুমার ভাবতে লাগলেন যে টম ক্যান্টি তাকে ফাঁকি দিয়েছে।
(গ) উদ্দীপকের ‘অংশ-এক‘ এ ‘রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে‘ গল্পের যে সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উদ্দীপকের অংশের সাথে আলোচ্য গল্পের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। আলোচ্য গল্পে যেমন ভিখারি ছেলে টম ক্যান্টি ভাবে রাজপুত্রের জীবন কত না সুখের এবং অপরদিকে রাজার ছেলে রাজকুমার টম ক্যান্টির জীবনের কথা শুনে ভাবে তার জীবন কত না মজার। কিন্তু পরে তারা বুঝতে পারেন যে তারা তাদের নিজস্ব জীবনেই অনেক ভালো ছিলেন। একইরকম ভাবে উদ্দীপকের প্রথম অংশে নদীর এপার ভাবে ওপারে অনেক সুখ এবং এ নিয়ে দুঃখ করে। এই দুই জাগাতেই প্রকাশিত হয়েছে যে সবাই অন্যের জীবনকেই বেশি সুখের মনে করে নিজের জীবন থেকে।
(ঘ) উদ্দীপকে ‘অংশ দুই’-এ ‘রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে‘ গল্পের মূলভাব ফুটে উঠেছে কি? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও ।
উত্তর : হ্যা, উদ্দীপকের অংশ দুইয়ে গল্পের মূল ভাব ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকের কথার মূল হলো যে যার নিজের স্থানেই বেশি স্বচ্ছন্দ। দূর থেকে অন্যের জীবন অনেক বেশি সুখের মনে হলেও আসলে তা নয়। সবার জীবনে নিজের নিজের লড়াই থাকে। তাই কারো জীবন দূর থেকে দেখে সুখের মনে হলেও আদতে তা হয় না। যেমন গল্পে রাজকুমার ভিক্ষুক টম ক্যান্টির জীবনকে অনেক মজার, স্বাধীন ও আনন্দের মনে করেছিল এবং টম ক্যান্টি রাজকুমারের দামি পোশাক ভালো খাওয়াদাওয়া বৃহৎ বাড়িঘর দেখে ভাবতো যে রাজকুমারের জীবন কতই না সুখের ও আরামের। কিন্তু পরে যখন তারা একে ওপরের জীবন অদবদল করেছিল তখন তারা জানতে পরে যে তারা তাদের নিজস্ব জবনেই বেশি স্বচ্ছন্দ ও খুশি ছিল।
(২) ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার আনাচে-কানাচে গেরিলারা ছোট ছোট স্ফূলিঙ্গ জ্বালাতে শুরু করেন। এমনই এক গেরিলা আক্রমণে বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেনের প্রাণ বাঁচায় এক কিশোর। গুলিতে তার এক পা হারিয়ে গেলেও সে মনে করে তার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বেঁচে থাকা জরুরি। দেশ আজ স্বাধীন। এখনও আরেক পা নিয়ে বেঁচে রয়েছেন এক সময়ের কিশোর দীপ্ত। মুক্তিযুদ্ধের সে সময়ের ঘটনা নিয়ে টেলিভিশনে বীরত্ব কাহিনি প্রচারের ফলে মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খুঁজে পান দীপ্তকে । নিজে পঙ্গুত্ব বরণ করে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচানোর জন্য দীপ্তর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাঁর পরিবারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
(ক) সমবয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে টম কী নামে পরিচিত?
উত্তর : সমবয়সী ছেলে মেয়েদের কাছে টম রাজকুমার নাম পরিচিত ছিল।
(খ) যতক্ষণ বেঁচে আছ সুখ স্বপ্ন দেখে নাও- সন্ন্যাসী রাজকুমারকে এ কথা বললেন কেন ?
উত্তর : রাজকুমারের বাবার জন্য সন্ন্যাসীকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল এবং অনেক অত্যাচের সহ্য করতে হয়েছিল। রাজা তাকে দেশ থেকে ও তার ধর্ম থেকে বিতাড়িত করেছিল। তাই যখন রাজকুমার সেই সন্ন্যাসীর কুটিরে উপস্থিত হয় এবং নিজেকে রাজা বলে পরিচয় দেয় তখন সন্ন্যাসী তাকে নিজের কুটিরে বসতে দেয় এবং ভালো করে খাইয়ে দাইয়ে ঘুমোনের জন্য ব্যবস্থ্যা করে দেয়। এরপর যখন রাজকুমার ঘুমিয়ে পরে তখন সন্ন্যাসী রাজকুমারকে উদ্দেশ করে এই কথা বলেছিল এবং তার হাত মুখ বেঁধে ফেললো। এর পরে সে রাজকুমারকে মেরে ফেলার জন্য প্রস্তুত হন।
(গ) উদ্দীপকের ‘দীপ্ত” এর সাথে ‘রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে‘ গল্পের সৈনিক‘ চরিত্রের যে সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উদ্দীপকের দেখা যায় যে ১৯৭১ এ মুক্তি যুদ্ধের সময় মুক্তি যোদ্ধা আকবর হোসেনের প্রাণ রক্ষা করার জন্য নিজের জীবনের পরোয়া না করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দ্বীপ্ত। যেমন গল্পে রাজকুমারকে বাঁচানোর জন্য সৈনিক সব বিপদ নিজের উপরে নিয়ে নিয়েছিল। এর ফলে তার একটি পা কাটা যায়। কিন্তু সে আক্ষেপ না করে বলেছিলো একজন মুক্তি যোদ্ধার বেঁচে থাকা অনেক বেশি জরুরি। সে কোনো কিছুর আশায় এই কাজ করেনি। তার মূল লক্ষ ছিল মুক্তি যোদ্ধাকে বাঁচানো। তাই গল্পের সৈনিক যেমন রাজকুমারকে বাঁচানোর জন্য নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়েছিল তেমনি উদ্দীপকের দীপ্ত মুক্তি যোদ্ধাকে বাঁচানোর জন্য তার একটি পা ত্যাগ করেছিল। উভয়ের মধ্যেই আঘাত অনুগত্ব ও সাহসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।
(ঘ) উদ্দীপকের আকবর হোসেন যেন রাজকুমারেরই প্রতিচ্ছবি- মন্তব্যটি ‘রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে‘ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : উদ্দীপকের আকবর হোসনের সাথে রাজকুমারের অনেক সাদৃশ্য আমরা দেখতে পাই। জেম করে আকবর হোসেনকে বাঁচানোর জন্য একটি কিশোর নিজের প্রাণের চিন্তা না ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এবং বলেছিলো যে একজন মুক্তি যোদ্ধার বেঁচে থাকা অনেক বেশি জরুরি। সেই রকমই আলোচ্য গল্পটিতে আমরা দেখতে পাই সৈনিকটি তার নিজের প্রাণের পরোয়া না করে রাজকুমারকে সব বিপদের হাত থেকে রাখা করে চলেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি আকবর হোসেন যেন রাজকুমারেরই এক প্রতিচ্ছবি।
Next Chapter Solutions :